ডিজেলের দামবৃদ্ধির অনুপাতে বাসের ভাড়া বাড়েনি। এই যুক্তিতে ফের বাস ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে সরব হল ‘জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটস’। শনিবার তারা লিখিত ভাবে রাজ্য সরকারের কাছে এই দাবি জানিয়েছে। পাশাপাশি এ-ও জানিয়েছে, ১৫ জুনের মধ্যে রাজ্য সরকার বাস ভাড়া না বাড়ালে বাস চালানো কঠিন হবে।
কাউন্সিলের নেতা তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পরিস্থিতি এমন পৌঁছেছে যে, আলাদা করে ধর্মঘট ডাকার দরকার হবে না, রাস্তা থেকে বাস এমনিতেই উধাও হয়ে যাবে।”
মানুষের সমস্যা হবে, এই যুক্তিতে ভাড়া বৃদ্ধিতে কখনওই সায় দেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অথচ জ্বালানির দাম বাড়ায় একই ভাড়ায় বাস চালানো যে তাঁদের পক্ষে কার্যত অসম্ভব, সরকারকে সে কথা বার বার জানিয়েছেন বাস মালিকেরা। গত অক্টোবরে বাস ভাড়া বাড়িয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু পরে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সেই বৃদ্ধির হারও কমিয়ে দেওয়া হয়। বাস মালিকেরা তখনই জানিয়েছিলেন, এতে তাঁদের পক্ষে লাভ করা কঠিন। এর মধ্যে গত দু’মাসে ডিজেলের দাম বেড়েছে দেড় টাকারও বেশি। এখন তাই ফের ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে সরব হয়েছেন বাস মালিকেরা।
শনিবার তপনবাবু বলেন, “ভাড়া বাড়ানো না হলে আর বাস চালানো যাবে না। আর ভাড়া বাড়াতে সরকার রাজি না হলে ডিজেলের উপর থেকে সেস তুলুক। সে ক্ষেত্রে ডিজেলের দাম অনেকটা কমবে। আমাদেরও সমস্যা হবে না।” পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র শুধু বলেছেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় নির্বাচনী বিধি কার্যকর হয়ে গিয়েছে। এখন ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা বা ঘোষণা করা যাবে না। নির্বাচন হয়ে গেলে যা করার করা হবে।” বাস মালিকেরা যদিও জানান, সরকারকে ১৫ জুনের মধ্যেই যা করার করতে হবে। |
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ পরিচালনার জন্য একটি অ্যাড-হক কমিটি তৈরি করল রাজ্য সরকার। পর্ষদ পরিচালনা করত যে বোর্ড, তার মেয়াদ গত বছর অক্টোবরে শেষ হয়ে গিয়েছে। পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য শনিবার জানান, মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরেও পর্ষদের আইন মেনে সেই বোর্ডই কাজ চালাচ্ছিল। তিনি বলেন, “মেয়াদ ফুরোনো বোর্ড তো আর অনির্দিষ্টকালের জন্য কাজ চালাতে পারে না। তাই সরকার সম্প্রতি একটি অ্যাড-হক কমিটি তৈরি করেছে। এর মেয়াদ ছ’ মাস।” কমিটিতে ১৫ জন সদস্য ছাড়াও রয়েছেন সভাপতি। |