|
|
|
|
টুকরো খবর |
ঝাড়গ্রামের সেই অগ্নিদগ্ধ বৃদ্ধার মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
চার দিনের জীবন-মরণ লড়াই থেমে গেল। মারা গেলেন ঝাড়গ্রামের অগ্নিদগ্ধ বৃদ্ধা সাবিত্রী সরকার (৬৫)। শুক্রবার রাত ১১টা নাগাদ ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর। শনিবার ময়না-তদন্তের পরে দেহ তুলে দেওয়া হয় পরিজনদের হাতে।
সাবিত্রীদেবীকে পুড়িয়ে মারা চেষ্টার অভিযোগে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন ঝাড়গ্রাম শহরে তৃণমূল নেতা বলে পরিচিত গৌরাঙ্গ প্রধান। এ বার তাঁর বিরুদ্ধে খুনের মামলার ধারা হবে। কাল, সোমবার আদালতে এই সংক্রান্ত আবেদন করা হবে বলে খবর। তবে সাবিত্রীদেবীকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় অভিযুক্ত বাকি ছ’জনের কেউই এখনও ধরা পড়েনি। তাই পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন সাবিত্রীদেবীর পরিজনেরা। শনিবার মায়ের দেহ নিতে ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে আসেন বৃদ্ধার ছোট মেয়ে জয়শ্রী রাউত। তাঁর অভিযোগ, “অভিযুক্তেরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুলিশ কাউকে ধরছে না। গৌরাঙ্গকেও তো পুলিশ প্রথমে ধরেনি। উনি নিজে ধরা দিয়েছেন।” পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ অবশ্য বলেন, “গৌরাঙ্গকে আমরাই ধরেছি। বাকিদের খোঁজেও জোর তল্লাশি চালানো হচ্ছে।” সাবিত্রীদেবীর সঙ্গে তাঁর বড় বউমা রাধারানিদেবীর জমি সংক্রান্ত বিবাদের মীমাংসা করতে গিয়ে গৌরাঙ্গবাবু ও তাঁর দলবল ৫ কাঠা জমি চেয়েছিলেন বলে দাবি। অভিযোগ, জমি না পেয়ে সাবিত্রীদেবীকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হয়। গৌরাঙ্গবাবু-সহ সাত জনের বিরুদ্ধে ঝাড়গ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বৃদ্ধার ছোট ছেলে সঞ্জয়। বৃহস্পতিবার গ্রেফতার হন গৌরাঙ্গ।
|
পুরনো খবর: গ্রেফতার গৌরাঙ্গ, দায় এড়াচ্ছে তৃণমূল
|
ঝাড়গ্রামে ধৃত দুই সিপিএম নেতা
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
পুরনো মামলায় গ্রেফতার হলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলাবেড়িয়া ব্লকের দুই সিপিএম নেতা। ধৃত অশোককুমার দাস পেটবিন্ধি হাইস্কুলের শিক্ষক। তিনি দলের মহাপাল লোকাল কমিটির সম্পাদক তথা এবিটিএ-র ব্লক সভাপতি। অন্য ধৃত দামোদর শী সিপিএমের শাখা কমিটির সম্পাদক। ২০১০ সালে স্থানীয় হিকিম হেমব্রমকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগে ধরা হয়েছে এই দু’জনকে। মৃত্যুর পর হিকিমকে তৃণমূলকর্মী বলে দাবি করা হয়। সিপিএমের বক্তব্য ছিল, প্রাক্তন সিপিএমই কর্মী হিকিম চাপের মুখে জনগণের কমিটিতে যোগ দেন। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ডহরেশ্বর সেন বলেন, “এই দু’জনকে এতদিন কেন ধরা হয়নি। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে শাসকদলের হয়ে সন্ত্রাস চালাচ্ছে পুলিশ।” পুলিশ জানায়, নির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতেই এই গ্রেফতার। ধৃত দু’জনকে ৮ দিনের পুলিশ হাজতে পাঠিয়েছেন ঝাড়গ্রামের ভারপ্রাপ্ত এসিজেএম সুপর্ণা রায়। |
|
|
|
|
|