|
|
|
|
ডেবরায় জলবন্দিদের ক্ষোভের মুখে সেচ-সচিব |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ডেবরা |
টানা বৃষ্টির মধ্যে কংসাবতীর বাঁধ ভেঙে জলমগ্ন পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা ব্লক পরিদর্শনে গিয়ে গ্রামবাসীর ক্ষোভের মুখে পড়লেন সেচ দফতরের সচিব তুষার ঘোষ।
শনিবার দুপুরে সেচ-সচিবকে কাছে পেয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রশ্ন, “শুক্রবার আপনার দফতরের কর্মীরা সব কোথায় ছিলেন? যখন একের পরে এক গ্রাম জলের তলায় চলে যাচ্ছিল, তখন কী ভাবে বাঁধ বাঁধা হবে সেটা বলার মতো লোকও ছিল না।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিশ্রুতির পরেও কেন জল ঢোকার সতর্কবার্তা গ্রামে পৌঁছল না, তা-ও জানতে চান গৌতম মাহালি, পিন্টু মাহালি, সহদেব সিংহরা। তুষারবাবু বলেন, “কোনও ব্যারাজ থেকে জল ছাড়া হয়নি। অতিবৃষ্টিতেই এই পরিস্থিতি। ফলে, কারও কাছে সতর্কবার্তা ছিল না।”
এ দিন ডেবরায় আসার কথা ছিল সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। কিন্তু হাওড়া উপ-নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ততার জন্য তিনি আসতে পারেননি। সেচমন্ত্রী পরে ফোনে বলেন, “দুই মেদিনীপুরের ক্ষতিগ্রস্ত সাতটি বাঁধই দ্রুত মেরামত করে দেবে সেচ দফতর।” |
|
কংসাবতীর বাঁধ ভেঙে জলমগ্ন ডেবরার সত্যপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ |
দুর্যোগে পশ্চিম মেদিনীপুরে জেলার মধ্যে সব থেকে বেশি ক্ষতিস্ত ডেবরা ব্লক। রাইপুর, ট্যাবাগেড়িয়া, মোকারিমপুর ও গোপালপুর চার জায়গায় কংসাবতীর বাঁধ ভেঙেছে। তিনটি পঞ্চায়েতের সাতটি মৌজায় বহু বাড়ি ভেঙেছে। নিরাশ্রয় পরিবারগুলি ত্রিপলের নীচে রাত কাটাচ্ছেন। কেশপুর, খড়্গপুর ২ ও মেদিনীপুর সদর ব্লকেও বেশ কিছু গ্রাম জলমগ্ন। খড়্গপুর ২ ব্লকের পেলাগেড়িয়ায় জলে ডুবে মিঠু আলি নামে এক যুবকের মৃত্যুও হয়েছে। সরকারি সূত্রের খবর, মৃতের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। যাঁদের কাঁচা বাড়ি ভেঙেছে, তাঁরা পাবেন ১০ হাজার টাকা করে। যাঁদের পাকা বাড়ি ভেঙেছে, তাঁদের দেওয়া হবে ২৫ হাজার টাকা করে। পরে ইন্দিরা আবাস যোজনায় বাড়িও পাওয়ার কথা ক্ষতিগ্রস্তদের। |
|
|
|
|
|