ক্লাব-জোটের হুমকি উপেক্ষা করে আইএমজি-রিলায়্যান্স লিগে সই করে দিলেন রহিম নবি। শুক্রবার মুম্বইতে গিয়ে টাকা নিয়ে চুক্তিতে সই করে দেন তিনি। ফলে জাতীয় দলের এই নির্ভরযোগ্য ফুটবলারের ক্লাবের হয়ে মাঠে নামা নিয়ে সংশয় তৈরি হল। কারণ ক্লাব-জোট ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, ফুটবল আইপিএলে সই করা কোনও ফুটবলারকেই আই লিগ বা ফেড কাপের জন্য তারা দলে নেবে না। শুধু নবি নয় শোনা যাচ্ছে, আইকন ফুটবলার হিসাবে নবির মতোই জাতীয় দলের আরও চার তারকা ফুটবলার সুনীল ছেত্রী, সুব্রত পাল, গৌরমাঙ্গী সিংহ এবং সঞ্জু প্রধানও সই করে দিয়েছেন চুক্তিপত্রে।
নবির মোহনবাগান ছেড়ে আইপিএলে সই করবেন জল্পনা চলছিল ময়দানে। কারণ আর্থিক সমস্যায় নতুন মরসুমে যে টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তাতে সন্তুষ্ট নন নবি। হয়তো সে জন্য ক্লাব-জোটের ফরমানকে তোয়াক্কা না করে ‘বিদ্রোহী’ হলেন পান্ডুয়ার ছেলে। এখন প্রশ্ন, তা হলে কি ভারতে নবির ক্লাব-ভবিষ্যৎ শেষ হয়ে গেল? ক্লাব-জোটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ফুটবল আইপিএলে খেলার জন্য সই করা প্লেয়ার আর ক্লাব ফুটবলে খেলতে পারবেন না। |
নবি |
সুনীল |
সুব্রত |
সঞ্জু |
গৌরমাঙ্গী |
|
মোহন-সচিব অঞ্জন মিত্র শনিবার কর্মসমিতির সভার পর জানিয়েও দিয়েছেন সে কথা। নবি অবশ্য শনিবার রাতে বললেন, “আইপিএল থেকে ভাল আর্থিক প্রস্তাব ছিল বলেই ওখানে সই করেছি। আমার বিশ্বাস, ফেডারেশন নিশ্চয়ই আমাদের মতো ফুটবলারদের ক্লাবে খেলার ব্যাপারে কোনও রাস্তা বের করবে। আর যদি সেটা না হয়, তা হলে বিদেশে কোথাও খেলব।” ফিফার নিয়ম অনুযায়ী কোনও ফুটবলারকে লিয়েনে এক ক্লাব থেকে অন্য ক্লাবে যেতে গেলে অন্তত ছয় মাস অপেক্ষা করতে হবে। ফিফাকে চিঠি পাঠিয়ে ফেডারেশন নিয়ম বদলানোর চেষ্টা করছে।
নবি অবশ্য একা ‘বিদ্রোহী’ নন। শোনা যাচ্ছে, গৌরমাঙ্গী সিংহ, সঞ্জু প্রধান, সুনীল ছেত্রী এবং সুব্রত পাল-ও আইপিএলে খেলা চূড়ান্ত করে ফেলেছেন। যদিও সিকিমে সঞ্জুকে ফোনে ধরা হলে তিনি দাবি করলেন, “এখনও সই করিনি। তবে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।” আর সুব্রত প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে বললেন, “কথাবার্তা হলেও চূড়ান্ত কিছু হয়নি।” গত সপ্তাহেই মুম্বইয়ে আইপিএল কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন নবিরা। প্রত্যেক ফুটবলার মেডিক্যাল পরীক্ষা পাস করার পর চূড়ান্ত সইসাবুদের পর্ব শেষ হয়। শোনা যাচ্ছে, আইপিএলের মোট ১১টা টিমের জন্য ৮৮ জন ফুটবলারকে নেওয়া হবে। নবিরা তার শুরুটা করলেন। |