ইস্তফা শুক্লরও, শ্রীনির বাসভূমিতে
আজ হয়তো সাংবিধানিক মহাসঙ্কট
লিত মোদী যা পারেননি।
জগমোহন ডালমিয়া যা পারেননি।
শরদ পওয়ারও যা করতে ব্যর্থ।
নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসন সেটাই করে দেখালেন। ভারতীয় ক্রিকেটকে এমন অবিশ্বাস্য খারাপ আবহাওয়ায় নিয়ে ফেলেছেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট, এয়ারলাইন্সের ফার্স্ট অফিসারের বর্ণনায় তা হল ‘এক্সট্রিমলি টার্বুলেন্ট’!
ঝোড়ো এই আবহাওয়ায় কী হবে, সম্পূর্ণ অনিশ্চিত। এখানে কোনও এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল নেই যারা পথ দেখাতে পারে। বরঞ্চ সবাই যেন দিশেহারা। রোববার দুপুরে শুধু ভারত কেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটমহলের চোখ থাকবে জরুরি ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের দিকে। প্রশ্ন একটাই, শ্রীনি কি ছুটির দিনেই যাবেন? না মেগা সিরিয়ালের মতো আরও টানবেন? সদ্য পদত্যাগপত্র পেশ করা বোর্ড কোষাধ্যক্ষ অজয় শিরকে হাড়ে হাড়ে চেনেন তাঁর প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে। শিরকের পূর্বাভাস, শ্রীনি সহজে ছাড়বেন না। ভয়ঙ্কর ক্ষমতার লড়াই হবে চেন্নাইয়ের বৈঠকে। চেন্নাইয়ে ফোন করে জানা গেল, বোর্ড সদস্যরা নিজেরাও ভয়ঙ্কর উত্তেজিত। কেউ জানেন না শ্রীনি সরে গেলে অন্তর্বর্তিকালীন মুখ কে হতে পারেন, যিনি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য? শ্রীনি বলেছেন শশাঙ্ক মনোহরকে মানবেন না। শিবলাল যাদবকে অনেকে পছন্দ করেন না। অরুণ জেটলি তিনি কি তা হলে হবেন? নাকি অভিজ্ঞতা এবং নিরপেক্ষতা বিচারে জগমোহন ডালমিয়া উঠে আসবেন সর্বসম্মত প্রার্থী হিসেবে? যাঁকে সেপ্টেম্বরের বার্ষিক নির্বাচন পর্যন্ত অন্তর্বর্তিকালীন প্রধান মানা হবে। রাতের দিকে শ্রীনিকে বিরোধী জোটের পক্ষ থেকে সমাধানসূত্র দেওয়া হয় যে, ডালমিয়াকে অন্তর্বর্তিকালীন প্রেসিডেন্ট করা হলে তিনি কি পদত্যাগ করবেন? যেহেতু ডালমিয়া দু’তরফের কাছেই গ্রহণযোগ্য।
শ্রীনি এই প্রস্তাব না মানলে সাংবিধানিক জটই বহাল থাকবে। সবচেয়ে ক্ষুরধার বোর্ড নির্বাচন ঘিরেও ভারতীয় ক্রিকেটের অতীত কখনও এই কুয়াশা দেখেনি।

আজ, রবিবার তাঁর বিয়ে। শনিবার মুম্বইয়ের বাড়িতে
গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে অঙ্কিত চহ্বাণ। ছবি: পিটিআই
কুয়াশার সবচেয়ে বড় কারণ হল গরিষ্ঠ ধারণা যে, যতই অস্ত্রচ্যুত করার চেষ্টা হোক বোর্ড প্রেসিডেন্টকে, তিনি সহজে চেয়ার বিসর্জন দেবেন না। বোর্ডের সংবিধান অনুযায়ী আবার তিনি নিজে না গেলে ওয়ার্কিং কমিটির তাঁকে সরানোর কোনও এক্তিয়ার নেই। বড়জোর তারা সুপারিশ করতে পারে বিশেষ সাধারণ সভা ডাকার। সেই সভা তিন-চতুর্থাংশ সংখ্যাধিক্যের সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কিন্তু সেটাও একুশ দিন বাদে। সভার নোটিস দেওয়ার জন্য এই তিন সপ্তাহ অপেক্ষা করতেই হবে। শ্রীনি-বিরোধী বোর্ড সদস্যরা পাল্টা ভাবছেন, সংবিধান যদি এত অচলায়তন হয়, তা হলে স্ট্রেট ব্যাটে খেলে হবে না। টি-টোয়েন্টি হিটিংয়ের মতো ইমপ্রোভাইজ্ড শট খেলতে হবে। সেই শট হল শ্রীনিকে অনড় দেখলে বাকিরা সবাই পদত্যাগ করা। রবিবার বারবেলার বৈঠকে পাঁচ অঞ্চলের প্রতিনিধি এবং পাঁচ প্রধান টেস্ট কেন্দ্রের প্রতিনিধি ছাড়া থাকবেন বোর্ডের বাকি সব কর্তা। সাকুল্যে জনাকুড়ি। এমন পরিস্থিতি কি সম্ভব, যেখানে শ্রীনিকে নড়ানো অসম্ভব দেখে বাকি সবাই পদত্যাগ করে দিলেন? যেখানে আশি বছরের ভারতীয় বোর্ডে অভূতপূর্ব সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হয়ে গেল। জল্পনা, গসিপ এবং রটনা মিলিয়ে চেন্নাইয়ের সভা নিয়ে যা ঘটছে, সেই কৌতূহল গত বছর চেন্নাইয়ের আইপিএল ফাইনাল ঘিরেও ছিল না।
অভূতপূর্ব শব্দটা অবশ্য ভারতীয় বোর্ড প্রশাসন ঘিরে প্রায় রোজ ব্যবহারের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। নইলে তিন বোর্ড কর্তা দু’দিনের মধ্যে পদত্যাগ করবেন, এমন পরিস্থিতি কেউ দুঃস্বপ্নেও কখনও ভাবেনি। এ দিন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার বলছিলেন, বেচু দত্তরা নিশ্চয়ই ওপরে নড়েচড়ে বসছেন।
ভারতীয় ক্রিকেটের অলিন্দের প্রাচীন প্রবাদ, রেলমন্ত্রীও তিন-চারটে রেল দুর্ঘটনার পর পদত্যাগ করতে রাজি থাকেন। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট অফিশিয়াল হলে কোনও দিন নয়। সোজা বাংলায় এঁদের স্টান্স হল টিকেসি। মানে, টিল খাটিয়া কাম্স। অথচ এমনই পরিস্থিতি যে, কর্তারা যেন যাচ্ছেন-আসছেন। জল্পনা চলছে সমঝোতা না হলে আর ক’টা চিঠি চেন্নাই দেখবে?
অ্যাদ্দিন শ্রীনিবাসনের স্ট্যান্ড ছিল, যেতে পারি কিন্তু কেন যাব। সেই স্ট্যান্ডটা পরিবর্তিত হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেতেই পারি কিন্তু নিয়ে যাব। আরও দোষী যারা, তারাও সঙ্গে যাক।
শ্রীনিবাসন শিবির এ দিন ভাসিয়ে দেয়, আইসিসি থেকে দুর্নীতি দমন শাখার অফিসাররা গুরুনাথ সম্পর্কে যখন সতর্ক করেন, তখন তাঁরা প্রথমে আইপিএল সিইও সুন্দর রামনকে সতর্ক করেন। রামন দ্রুত দু’জনকে সেই সতর্কীকরণের কথা জানান শ্রীনি এবং আইপিএল চেয়ারম্যান রাজীব শুক্ল। শ্রীনিবাসনের লোকেরা বলছেন, যে অপরাধে আজ বোর্ড প্রেসিডেন্টকে সরে দাঁড়ানোর জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে, সেই চুপ করে থাকার অপরাধে তো শুক্ল নিজেও দোষী। শোনা যাচ্ছে, এ সব ঘনঘটা দেখে শুক্ল আগেভাগেই পদত্যাগ করে দিলেন, যাতে আজ, রবিবার বোর্ডের সভায় এটা নিয়ে তোড়ফোড় না হয়। এই মহলের মতে, শুক্লর সিদ্ধান্ত যত না আবেগ বা বিবেকের দংশনের, তার চেয়ে অনেক বেশি কৌশলী স্ট্র্যাটেজি।

রাজধানীর আবার খবর, রাজীব শুক্লর ইস্তফার জন্য চাপ এসেছিল খোদ সনিয়া ও রাহুল গাঁধীর কাছ থেকে। কংগ্রেস হাইকম্যান্ড মনে করছে, দুর্নীতি নিয়ে একের পর এক জলঘোলায় দেশবাসী এমনিতেই অসন্তুষ্ট। তার ওপর স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারি, যেখানে আইপিএল চেয়ারম্যান এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কাজেই গোটা ঘটনায় নৈতিক দায়িত্বের কথা বলে কেন্দ্রীয় সরকারের দিকেও আঙুল উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করছিল কংগ্রেস। এই ভাবনা থেকেই আইপিএল চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিতে বলে শুক্লর ওপর চাপ বাড়ানো হয়। ললিত মোদী আবার শুক্লকে একহাত নিয়ে বলেছেন যে, ‘পদত্যাগ করে তুমি নিজের দোষ এড়াতে পারো না। তোমার আমলেই এ সব কেলেঙ্কারি ঘটেছে। হয় তুমি সম্পূর্ণ অপদার্থ, অথবা ষড়যন্ত্রকারীদের এক জন।’ অন্য দিকে, প্রায় তিন দশক পঞ্জাব ক্রিকেট সংস্থার প্রেসিডেন্ট থাকা আইএস বিন্দ্রা নিজের ব্লগে দাবি জানিয়েছেন, “শ্রীনিবাসনের উচিত ভারতীয় ক্রিকেটের আরও বড় ক্ষতি না করে এখনই প্রেসিডেন্টের চেয়ার ছেড়ে দেওয়া।”
বোর্ড রাজনীতির উত্তাপ বেড়ে যায় এ দিন শ্রীনিবাসনের দেওয়া চার শর্তে। এত চাপে পড়া লোক যে এ রকম শর্ত দিতে পারেন, তাঁর বিরোধীরা ভাবতেই পারেননি। এঁরা রীতিমতো হতবাক হয়ে যান। শ্রীনির শর্তগুলো এ রকম:
এক) বোর্ড প্রেসিডেন্ট বাইরের কেউ হলে হবে না। বকলমে যা দাঁড়াচ্ছে, শরদ পওয়ার বা শশাঙ্ক মনোহর প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না।
দুই) আইসিসি-র যাবতীয় বৈঠকে শ্রীনিকেই ভারতীয় বোর্ডের প্রতিনিধি হিসেবে পাঠাতে হবে।
তিন) সঞ্জয় জাগদালেকে কোনওমতেই বোর্ডে ফেরানো চলবে না।
চার) অজয় শিরকেকে ফেরানো চলবে না।
এই চারটে শর্তের মাধ্যমে আসলে শ্রীনিবাসনের তরফে পরিষ্কার বলে দেওয়া হল যে, চন্দ্রগুপ্তের ভূমিকায় আমাকে না রাখলেও আমি এখনও চাণক্যের রোলে চলে যাচ্ছি। আমি মনমোহন সিংহ না হয় থাকলাম না তোমাদের চাপে পড়ে। কিন্তু হয়ে গেলাম সনিয়া। প্রধানমন্ত্রী না থেকে সব ক্ষমতাশালী পার্টি প্রেসিডেন্ট।
শ্রীনিবাসনের ঘনিষ্ঠরাও বুঝতে পেরে গিয়েছেন যে, তাঁর চলে যাওয়া অনিবার্য। নিছকই সময়ের অপেক্ষা। তা বলে বিনা যুদ্ধে সূচ্যগ্র মেদিনী দেবেন না। চেন্নাইয়ে যে বৈঠক ডাকা হয়েছে, বোর্ডের সাধারণ নিয়মে তা ডাকার কথা তিন দিনের নোটিসে। আদৌ এই বৈঠকের সাংবিধানিক ঔচিত্য আছে কি না, সেটা নিয়েই নানা শিবিরে প্রশ্ন। সভায় যাঁরা যোগ দেবেন তাঁরাও সম্পূর্ণ বিভ্রান্ত।
সিএবি প্রেসিডেন্ট ডালমিয়া যেমন সন্ধেয় চেন্নাই যাওয়ার ফ্লাইটে বসে বলছিলেন, “কী হবে জানি না। আমি খোলা মন নিয়ে যাচ্ছি। আর এ তো আলিবাবার চিচিং ফাঁক নয় যে শ্রীনিবাসনকে সরালেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। সমস্যা অনেক গভীরে।” এ দিকে শ্রীনিবাসন-পন্থীরা বলছেন, রবিবারের বৈঠকের পর ওয়ার্কিং কমিটি সুপারিশ করতে পারে, কিন্তু সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনও অধিকার নেই তাদের। টি-টোয়েন্টি ম্যাচের মতোই কি তা হলে নতুন নতুন সব স্ট্রোক দেখা যাবে শ্রীনিবাসনের বাসভূমিতে? ভারতীয় ক্রিকেটের সঙ্গে চল্লিশ-পঞ্চাশ বছর যুক্ত মানুষেরাও গত ক’দিনের কাণ্ডকারখানা দেখে বিস্ফারিত। রাতে মুম্বই থেকে ফোনে দিলীপ বেঙ্গসরকর বলছিলেন, “লোকে একটা ক্রিকেট টিমের বাজে সময়ের কথা বলে। ভারতীয় কর্মকর্তাদের এর চেয়ে খারাপ টিম টোটাল আর হতে পারে না! এত দিন সেই চুয়াত্তরের ইংল্যান্ডে ভারতের ৪২ অল আউট ছিল এ দেশের ক্রিকেটের সব চেয়ে লজ্জাজনক পারফরম্যান্স। কিন্তু এখন আমাদের ক্রিকেট কর্তারা যেন সেই ‘সামার অফ ফর্টি টু’-কেও ছাপিয়ে যাচ্ছেন।”
বেঙ্গসরকরের ভাষাটা এ মুহূর্তে জনতারও ভাষা। অনেকেরই ধারণা যে, শ্রীনি এ দিন যা মনোভাব দেখালেন, তাতে তিনি যতই টার্নিং ট্র্যাকে ব্যাট করুন, যতই তাঁর মুখে-মাথায় বল লাগুক, তাঁর অন্তিম আস্ফালন যাওয়ার নয়।
সাধারণত টি-টোয়েন্টি ম্যাচের বিরতিতেও ম্যাচের ফল নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করতে বড়-বড় ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা ভয় পান। ফর্ম্যাটটাই যে অনিশ্চয়তায় ভরা। রোববার কী হতে যাচ্ছে, সেটা আরও অনিশ্চিত। সেই এয়ারলাইন্সের ফার্স্ট অফিসারের বর্ণনা মতো, ‘এক্সট্রিমলি টার্বুলেন্ট’!
বিন্দ্রার ব্লগে...
আইসিসি যদি গুরুনাথ নিয়ে ভারতীয় বোর্ডকে সতর্ক করে থাকে আর বোর্ড তা নিয়ে কোনও পদক্ষেপ না করে থাকে, তা হলে বোর্ড অবশ্যই দোষী। একটা ঘটনার কথা বলি। ২০১০-এ শ্রীলঙ্কা সফরে ভারতীয় দলের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন শ্রীলঙ্কান আর্মির এক অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল। এক রাতে টিমের সঙ্গে থাকা এক অফিশিয়াল এক ভারতীয় ক্রিকেটারের ঘরে একটি মেয়েকে নিয়ে যান। এই ক্রিকেটারটি ছ’বছর ধরে সিএসকে-র গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। ওই মেয়েটিকে যে পাঠিয়েছিল, আইসিসি-র সন্দেহভাজন বুকিদের তালিকায় তার নাম ছিল। জেনারেলের রিপোর্ট অনুযায়ী শ্রীলঙ্কা বোর্ড পুরো ঘটনাটার প্রমাণ-সহ বিবরণ ভারতীয় টিম ম্যানেজার এবং আইসিসি প্রতিনিধিকে দেয়। পরে জনৈক ভারতীয় বোর্ড কর্তার চাপে শ্রীলঙ্কা বোর্ড বাধ্য হয় রিপোর্ট ফিরিয়ে নিতে। খবরের কাগজে ব্যাপারটা নিয়ে লেখা হলে বোর্ড মুখপাত্র সব অস্বাকীর করে। শ্রীলঙ্কা বোর্ডকেও চাপের মুখে সব অস্বীকার করতে হয়।
এখন মনে হচ্ছে, তখন ওই ঘটনা নিয়ে কিছু না করার দামটাই কি এখন চোকাতে হচ্ছে?
শ্রীনিবাসন প্রেসিডেন্ট হওয়ার আট বছরে ইন্ডিয়া সিমেন্টসের কোনও কর্মী সব সময় ভারতীয় দলের সঙ্গে দেশে-বিদেশে ঘোরে। এই ব্যক্তি কিন্তু আইসিসি বা বোর্ডের নির্দেশনামার অধীনে নেই। কিন্তু এরা টিমের স্ট্র্যাটেজি মিটিং, ড্রেসিংরুমের কথাবার্তা থেকে যাবতীয় গোপন তথ্য শোনার সুযোগ পায়। এটা কি যথেষ্ট বিতর্কের বিষয় নয়?

পুরনো খবর:




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.