জলপাইগুড়ির মাসকলাইবাড়িতে পুরসভা বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের পূর্ণাবয়ব মূর্তি প্রতিষ্ঠা করে সহস্রাব্দের গোড়ার দিকে। সেই থেকে ‘নজরুল কুঞ্জ’ নামে পরিচিত ওই জায়গায় কবির জন্মজয়ন্তী পালিত হয়। ২৬ শে মে ২২ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির আয়োজনে কবির ১১৪তম জন্ম দিবস পালিত হল। প্রাক্তন পুর চেয়ারম্যান দীপক কৃষ্ণ ভৌমিক, প্রাবন্ধিক উমেশ শর্মা, নাট্য ব্যক্তিত্ব অশোক ভট্টাচার্য ও বিশিষ্টজনেদের মূর্তিতে মাল্যদানের মাধ্যমে শ্রদ্ধার্ঘ্য অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। শিলালী নাট্যমের সহযোগিতায় একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন সঙ্গীতে দেবশ্রী চন্দ, সায়ন্তনী দাস, গৈরিক চন্দ, পারমিতা দাস, বিনয় সরকার, মুনিয়া দাস। আবৃত্তিতে পার্থিব সেনগুপ্ত, অরুন্ধতি দাস, নয়ন চন্দ ও নৃত্যে প্রথমা দত্ত ও জিয়া গুহ। কবির জীবন বাণী ও কবিতার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অভিজিৎ হালদার। জলপাইগুড়ির তিস্তাপাড়ের পঞ্চবটিতে কবি প্রণামের আয়োজন করে তিস্তা নন্দিনী সাহিত্য পত্রিকা। সম্পাদক তনুশ্রী পাল সঞ্চালনা করেন। বক্তব্য রাখেন কবিতা পাল, কবি রামকান্ত রায় ও শঙ্কর চট্টোপাধ্যায়। তিস্তাচরের সারদাপল্লির পিছিয়ে থাকা মেনকা, ইউলি, প্রিয়াঙ্কা, সোমা, কুসুম, সুব্রত, বিজয়, মধুমিতা, পূজা, সোনাইদের দিয়ে তিস্তা নন্দিনীর পাঞ্চালী রায় নাচ গান আবৃত্তির একটি অনুষ্ঠান করেন। এর পাশাপাশি, সংবর্ধনা জানানো হয় বিশিষ্ট গদ্যকার জ্যোস্নেন্দু চক্রবর্তীকে।
|
কবিপক্ষে ১৯শে মে রবীন্দ্র ভবনে কলামণ্ডলম এবং সৃজা শ্রদ্ধা জানাল কবিগুরুকে। কৃষ্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালনায় কবির গানে ভরতনাট্যমের আঙ্গিকে ৮টি নৃত্য পরিবেশন করে কলামণ্ডলমের ছাত্রীরা। এর মধ্যে ভানু সিংহের পদাবলি থেকে জয় ‘জগদীশ হরে’ ও ‘একি লাবণ্যে পূর্ণ প্রাণে’-র সঙ্গে মূল কর্নাটকী সুরের ‘লাবণ্য রামতনু’ গানটিকে মিলিয়ে কৃষ্ণাদেবীর নৃত্য পরিকল্পনা বিশেষতা দাবি করে। ভাষ্যে মানস ভৌমিক। জলপাইগুড়িতে ‘সৃজা’ একটি পরিচিত নাম। একুশ বছর ধরে মধুমিতা মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে এখানে রবীন্দ্রসঙ্গীতের চর্চা হয়ে আসছে। পাঁচটি দলে ‘সৃজা’র ৭৫ জন শিল্পী এদিন মঞ্চে গান গাইলেন। ছোটরা গাইল ‘সবাই রাজা’,‘খর বায়ু বয় বেগে’, ‘আকাশ ভরা সূর্য তারা’। সব শেষে ছিল কবির বাউল আঙ্গিকের দশটি গান নিয়ে একটি গীতি আলেখ্য ‘মনের মানুষ’, গ্রন্থনা করেন মধুমিতা নিজে। ভাষ্যে আরাত্রিকা গুহরায়, তবলায় অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায়।
|
মেচিনি নাচ-গানের প্রতিযোগিতা হল ময়নাগুড়ি জল্পেশ মন্দির চত্বরে। গত ২৬ মে মন্দির কমিটি আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানটিতে জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহার জেলার মোট ২৪টি দল অংশগ্রহণ করে। বেলা ১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে মালকানি এলাকার শান্তি রায় গোষ্ঠী, দ্বিতীয় ময়নাগুড়ির বটেশ্বরের মায়া রায় গোষ্ঠী। প্রতিযোগিতা শুরুর আগে এই নাচ-গান নিয়ে আলোচনা করেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক দীপক রায়। |