গত ১৮ মে সুজাতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠিতে যে তথ্য উল্লেখ করেছেন তা সঠিক। আশুতোষের সঙ্গে প্রতিভাদেবীর বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠিক কোন তারিখে কৃষ্ণনগরে এসেছিলেন তার উল্লেখ রবীন্দ্রজীবনীতে নেই। তবে সেটা ১৮৮৬ সালের মে মাসে অর্থাৎ বাংলা হিসাবে ১২৯৩ সালের বৈশাখ বা, জৈষ্ঠ ওই দুই মাসের কোনও এক সময়। আশুতোষ ও প্রতিভার বিয়ে হয় ১৪ অগস্ট, রাখি পূর্ণিমার দিন। আশুতোষের পিতা দুগার্দাস চৌধুরি ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে দিনাজপুরে ছিলেন। বিয়েতে তিনি আসেননি। তবে পাত্রীর রূপগুণ ও বংশগৌরবের কথা শুনে সম্মতি দেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে তাঁর অন্য ভ্রাতারা, যোগেশ, কুমুদ, প্রমথ, মন্মথ, দাদাকে নিয়ে জোড়াসাঁকোয় গিয়ে বিবাহকার্য সম্পন্ন করে বধূকে নিয়ে বাড়িতে আসেন। বিয়েতে পাত্রপাত্রী আগ্রহী ছিলেন। আশুতোষের অগ্রজা প্রসন্নময়ীদেবী, যিনি নিজেও এক জন লেখিকা ছিলেন এবং তাঁর কন্যা প্রিয়ম্বদাদেবী নামকরা কবি লিখছেন, ‘খুল্লতাতের মুখে অবগত হইয়া মনোমত পাত্র বিবেচনায় প্রতিভাদেবীও মনে মনে আশুতোষকেই বিবাহ করিবেন স্থির করিয়াছিলেন।’ আর আশুতোষ ছিলেন সুপাত্র। তিনি একই বছরে বিএ এবং এমএ পাশ করেন। বিলেতে গিয়ে কেম্ব্রিজ থেকে অংকে ট্রাইপাস নিয়ে বি এ এবং পরে ব্যারিস্টারি ও এম এ পাশ করে দেশে ফেরেন। এই মেধাবী পাত্রকে পেয়ে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথও বলেছিলেন, ‘আশু আমার একটা অর্জন। অনেক সাধানায় প্রতিভা এমন পাত্রে পরিণীতা হইয়াছে।’ পরে আশুতোষ ব্যারিস্টার ও হাইকোর্টের বিচারপতি হয়েছিলেন। বিয়ের পর রবীন্দ্রনাথ আর কৃষ্ণনগরে আসেননি। কারণ, আশুতোষ তখন কলকাতায় স্কটস লেনের বাসায় থাকেন ও সিটি কলেজে আইন বিষয়ে অধ্যাপনা করেন। প্রমথ চৌধুরি লিখেছেন, “প্রসন্নময়ীও-যে, রবীন্দ্রনাথ ও সত্যপ্রসাদ প্রায় নিয়মিত সেই গৃহে সদাসর্বদা আসিয়া ক্ষুদ্র গৃহটিকে আনন্দনিকেতন করিয়া তুলিয়াছিলেন।” সুতরাং প্রিয় বন্ধু বা আদরের ভাইঝিকে দেখার জন্য রবীন্দ্রনাথকে আর কৃষ্ণনগরে আসতে হয়নি। সুজাতাদেবী তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, কৃষ্ণনগরে গানের আসরে রবীন্দ্রনাথ কেবল বাংলা গানই গাননি, ‘জন ছুঁয়া মোরি বঁইয়া নাগরওয়া’ এই হিন্দি গানটিও প্রমথ চৌধুরিকে শুনিয়েছিলেন। তথ্যটি একটু বিভ্রান্তিকর। কারণ, প্রমথ চৌধুরি লিখেছেন, ‘এই সময়ে আমি তাঁর গানও শুনেছি। . . .তিনি একটি হিন্দি গান গেয়েছিলেন যা আজও আমার মনে আছে। তার প্রথম কথা গুলি ‘জন ছুঁয়া. . .।” প্রমথ চৌধুরীর এই লেখা পড়ে স্বাভাবিক ভাবেই মনে হয় ওই গানটি রবীন্দ্রনাথ আশুতোষের বাড়িতেই গেয়েছিলেন, সত্যচরণ লাহিড়ির গানের আসরে নয়।
নির্মল সান্যাল, কৃষ্ণনগর
|
কৃষ্ণনগরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া জলঙ্গি নদীর নাব্যতা কমেছে। বর্ষা ছাড়া অন্য সময় স্রোত থাকে না। কৃষ্ণনগরের বিপরীত পাড় থেকে মাটি কেটে নেওয়া হয়েছে। এমন চলতে থাকলে অঞ্জনা নদীর মতোই জলঙ্গিও এক দিন হারিয়ে যাবে। প্রশাসন, কৃষ্ণনগরের পুরপ্রধান ও ভূমি সংস্কার দফতরের কাছে আবেদন— মাটিকাটা বন্ধ করুন নদীটিকে রক্ষা করুন।
বিশ্বজিৎ দত্ত, কৃষ্ণনগর
|
বাংলাদেশের সীমন্তবর্তী মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম প্রাচীন নগরী। বর্তমান রাজ্য সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর ব্যারাকপুর, সল্টলেক, আসানসোল, দুর্গাপুর, শিলিগুড়ি কমিশনারেট হয়েছে। বহরমপুরের আইনশৃঙ্খলাকে আরও শক্তপোক্ত করতে সেখানেও কমিশনারেট চালু করা হোক।
সুভাষ ঘোষহাজরা, পাঁচথুপি
|
রঘুনাথগঞ্জ শহরের ম্যাকেঞ্জি রোড ধরে এগিয়ে গেলে খাসি ও মুরগির মাংস বিক্রির অস্থায়ী দোকান দেখা যাবে। প্রকাশ্যে এ রকম দোকান সম্ভবত আইনসিদ্ধ নয়। ওই সব দোকান থেকে নির্গত গন্ধ পথচারীদের অসুবিধায় ফেলে। নিরামিষাশী লোকজনদের ওই দৃশ্য দেখা খুবই কষ্টকর। আবার ছোট ছোট শিশুরা স্কুলে যাওয়ার সময় ওই দৃশ্যের সামনে পড়ে যা কোনও মতেই অভিপ্রেত নয়। অন্য দিকে ওই মাংস বিক্রেতাদেরও ব্যবসার প্রয়োজনে অবশ্যই ঘর দরকার। তাই প্রশাসন ও পুরসভার কাছে প্রতিকার চাইছি।
শান্তনু রায়, রঘুনাথগঞ্জ |