হাসপাতালে ভাঙচুর রোগীর আত্মীয়দের
|
রোগী সহায়তা কেন্দ্রে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে বচসার জেরে বহরমপুর সদর হাসপাতালে ভাঙচুর চালাল রোগীর বাড়ির লোকজন। অভিযোগ, প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যে রোগীর বাড়ির লোকেরা সহায়তা কেন্দ্রে দাঁড়াতে গেলে হাসপাতালের কর্মীরা প্রতিবাদ করে। এমনকী কারও কারও গায়ে জলও ঢেলে দেওয়া হয়। এরপরই উত্তেজিত জনতা হাসপাতালের দরজার কাচ ভেঙে দেয়। এক রোগীর আত্মীয়, রাজু দে বলেন, “প্রবল বৃষ্টি হওয়ায় আমরা সহায়তা কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে ছিলাম। কিন্তু সেখান থেকে চলে যেতে বলা হয়। এমনকী গায়ে জলও ঢেলে দেওয়া হয়।” বহরমপুর সদর হাসপাতালের ডেপুটি সুপার আনন্দ মণ্ডল বলেন, “সহায়তা কেন্দ্রে সকলে দাঁড়িয়ে থাকায় কর্মীদের কাজে অসুবিধা হচ্ছিল। হয়তো বা কেউ ভেতর থেকে জল ঢেলে দিয়েছিলেন।” এর সঙ্গেই যোগ দেয় চিকিৎসার গাফিলতিতে তিন দিনের এক শিশু মৃত্যুর ঘটনা। শিশুটির মামা সমীর দে বলেন, “বুধবার রাতে শিশুটিকে আমরা হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলাম। ওর জ্বর হয়েছিল। কিন্তু ২ ঘণ্টা কোনও চিকিৎসা করা হয়নি। বৃহস্পতিবার ভোরে শিশুটি মারা যায়। আমরা অভিযোগ জমা গিয়েছি থানায়।” শিশুমৃত্যু প্রসঙ্গে আনন্দবাবু বলেন, “শিশু মৃত্যুর বিষয়ে কোনও লিখিত অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে।”
|
বিষাক্ত ফল খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ল ৩০ জন ছাত্র। বুধবার বেলডাঙা বড়ুয়া কলোনি অঞ্চলের কয়েকজন ছাত্র স্কুল থেকে ফেরার পথে একটি গাছের ফল খায়। তাদের দেখে অন্য বন্ধুরাও সেই ফল খায়। এরপরই পেট ব্যথা, বমি শুরু হয় তাদের। এর মধ্যে ১৭ জনকে রাতে বহরমপুুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বেলডাঙা-১ স্বাস্থ্য আধিকারিক অপূর্ব দাস বলেন, “কোনও বিষাক্ত ফল খেয়ে ৩০ জন অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের হাসপাতালে আনা হলে কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি ১৭জনকে বহরমপুর সদর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।” বহরমপুর সদর হাসপাতালের ডেপুটি সুপার আনন্দ মণ্ডল বলেন, “বিষ ফল খেয়ে কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। কিন্তু চিকিৎসার পর সকলেই সুস্থ। তিনজনের এখনও চিকিৎসা চলছে। বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”
|
বাবা-ছেলেদের চিকিৎসার ভার নিলেন গগৈ
|
থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত তিন সন্তানের মৃত্যু ও নিজের আত্মহননের অনুমতি চাওয়া বাবার পাশে দাঁড়ালেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। জানিয়ে দিলেন, তিন সন্তানের চিকিৎসার সব ব্যয়ভার বহন করবে সরকার। নিজের তিন সন্তানকে ১৫ বার রক্ত দিয়েছেন বাবা। নিজের পক্ষে আর রক্ত দেওয়া সম্ভব নয়। বিক্রি করেছেন দোকান, কারখানা, জমি। রক্ত-ওষুধের জন্য আর টাকা নেই। তাই নিজের ও তিন সন্তানের স্বেচ্ছামৃত্যুর আর্জি জানিয়ে কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কথা ভাবছিলেন আবদুল রহিম। সংবাদপত্রে সেই খবর পড়েন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। |