সেবক রোডের কাছে পরেশনগরে একটি জমিতে অবৈধ ভাবে বিল্ডিং প্ল্যান পাশ করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মেয়রের বিরুদ্ধে। রাস্তা দখল করে ওই জমিতে বাড়ি তৈরির নকশা তৈরি করা হয়। তৃণমূল কাউন্সিলরদের বাধায় বোর্ড মিটিংয়ে তা আটকে যায়। এর পরেই নির্মাতারা হাই কোর্টে একটি মামলা করে। অথচ পুরসভার তরফে এ ব্যাপারে কোনও আইনজীবী না দিয়ে অবৈধ ওই নকশা পাশ করতে সাহায্য করে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে অভিযোগ তোলেন তৃণমূল কাউন্সিলর তথা দলের জেলা নেতৃত্বের অন্যতম কৃষ্ণ পাল। তিনি বলেন, ‘‘সেবক রোড লাগোয়া ওই জমিতে বেআইনি ভাবে বিল্ডিং প্ল্যান পাস করিয়েছেন মেয়র। বিল্ডিং প্ল্যান আটকে দেওয়া নিয়ে হাইকোর্টে মামলা হয়। অথচ পুরসভার তরফে ইচ্ছে করেই কোনও আইনজীবী দেওয়া হয়নি। সে কারণেই সহজেই ব্যবসায়ী মামলাটিতে জিতে যায়।” আজ, শুক্রবার বোর্ড মিটিংয়ে সেই প্রশ্ন তোলার কথা জানান তৃণমূল কাউন্সিলররা। ওই দাবিতে মেয়রের পদত্যাগ প্রস্তাব আনতে চলেছেন তাঁরা। মুখোমুখি প্রশ্নের সম্মুখিন হতে বলেই ওই বোর্ড মিটিংয়ে মেয়র এবং তার দলের কাউন্সিলররা আসছেন না বলে দাবি কৃষ্ণবাবুর।
মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত বলেন, “ওই জমিটি নিয়ে ব্লক ভূমি সংস্কার আধিকারিকের সঙ্গে কথা হয়েছে। ১৯৭৬ সালে জমিটির নামজারি হয়েছে। এসজেডিএ থেকে এলইউসিসি দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টের রায় মেনেই বিল্ডিং প্ল্যান দেওয়া হয়। মামলার জন্য পুরসভার তরফেও আইনজীবী দেওয়া হয়। বিষয়টি না জেনেই কৃষ্ণবাবু ভুল কথা বলছেন।”
কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়, নান্টু পাল চেয়ারম্যান থাকলে তারা বোর্ড মিটিংয়ে উপস্থিত হবেন না। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে এ কথা জানিয়ে দেন মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত। বারবার এভাবে শাসকপক্ষ বোর্ড মিটিং-এ যোগ না দিয়ে মেয়র পারিষদের সিদ্ধান্তগুলি আটকে রেখে অচলাবস্থা তৈরি করতে চাইলে বিষয়টি দলের কাউন্সিলরদের তরফে রাজ্য সরকারকে জানানোর কথা বলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি বলেন, “রাজ্য সরকার বিষয়টি নজরে রাখছে। এ ভাবে বারবার অচলাবস্থা তৈরি করতে চাইছে রাজ্য সরকারের পুর দফতরকে তা জানানো হবে। তাদের তরফে পুরসভাকে প্রয়োজনে শো-কজ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত বলেন, “এ রকম কোন নিয়ম আছে বলে আমার জানা নেই।” তৃণমূলের দাবি, নান্টু পাল চেয়ারম্যান থাকলে বোর্ড মিটিংয়ে কংগ্রেস এখন না যেতে চাইলেও বাজেট মিটিং-এ তাঁকেই চেয়ারম্যান হিসেবে মেনে নেয় তারা। মেয়র বলেন, “অনৈতিক কাজ করেছেন নান্টু পাল। তাকে সমর্থন জানিয়েছে তৃণমূলও।” মুলতুবি সভায় নানা অশালীন মন্তব্য করে প্রস্তাব এনেছে তৃণমূল। মেয়রকে হেনস্থা করার জন্য তা হচ্ছে বলে অভিযোগ কংগ্রেস কাউন্সিলরদের। |