পাঁচ মাস বয়সে বাবা মারা গিয়েছেন। সংসারের নিত্য অভাব সামলাতে মা পুস্পি ওরাও-কে ইটভাটায় মজুরের কাজ করতে হয়। কাজের খোঁজে অনেক দিন হল দুই মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে আদতে ঝাড়খন্ডের বাসিন্দা পুস্পিদেবী
|
সেবাই লক্ষ্য।
—নিজস্ব চিত্র। |
ধানতলার হালালপুর এলাকায় থাকেন। দিন আনি দিন খাই এই পরিবারের মেয়ে টুম্পা ওরাঁও এ বছর হিজুলী শিক্ষা নিকেতন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৫৩৮ পেয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। পাঁচটি বিষয়ে লেটার পেয়ে ভাটা শ্রমিক পরিবারের মেয়ে টুম্পা সবাইকে চমকে দিয়েছে। বাংলা, গণিত, ভৌত বিজ্ঞান, জীবন বিজ্ঞান ও ভূগোলে টুম্পার নম্বর আশির উপর। বাবা মারা যাওয়ার পর টুম্পার বেড়ে ওঠার পথ মোটেও মসৃণ ছিল না। মায়ের সামান্য রোজগার। তা দিয়েই দু’বোনের লেখাপড়ার খরচ জুগিয়ে সংসার চালানোর জন্য কার্যত অবশিষ্ট আর কিছুই থাকে না। এত কষ্টের মধ্যেও পুস্পিদেবী মেয়েদের লেখাপড়া চালিয়ে যেতে নিরন্তর উৎসাহ যুগিয়েছেন। তাঁর কথায়, “ঝুপড়ি ঘরে থেকে অতি কষ্টে পড়াশুনা করেছে মেয়ে। ওর ভালো ফলে আমরা সকলেই খুশি।” টুম্পা চায় ডাক্তার হতে। সেই লক্ষ্যে একাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তির তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে।
|
জ্যাঠার ছেলেকে খুনের অভিযোগে পুলিশ অভিজিৎ মণ্ডল নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের বাড়ি কৃষ্ণনগরের নাইকুড়ো এলাকায়। পুলিশ জানায়, সোমবার অভিজিৎ তার জ্যাঠার ছেলে কিশোর মণ্ডলকে বাইকে করে কৃষ্ণনগরে নিয়ে আসে। সন্ধ্যায় কিশোরের বাড়ি সংলগ্ন ভীমপুর স্বামীজি বিদ্যাপীঠের মাঠে দু’জনে মদ খায়। তারপরই অভিজিৎ কিশোরের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। জখম কিশোরকে ফেলে রেখে চম্পট দেয় সে। পরেরদিন পুলিশ তাকে উদ্ধার করে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেখানেই মঙ্গলবার রাতে কিশোর মণ্ডল (২০) মারা যায়। মৃতের বাবা পাঁচুগোপাল মণ্ডল ওই দিনই অভিজিতের নামে কৃষ্ণনগর থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। বুধবার সকালে পুলিশ অভিযুক্তকে পাকড়াও করে।
|
পঞ্চায়েত নির্বাচনের মহড়া সারলেন দেশের রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী। বৃহস্পতিবার দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে ডোমকল জনকল্যাণ ময়দানে সভা করেন তিনি। শাসকদলকে বিঁধে এ দিন তিনি বলেন, “টিকিট না পাওয়া লোকেদের ধরার জন্য ঘাপটি মেরে বসে আছে তৃণমূল। টিকিট না পেয়ে যেই এখটু রাগ করবে তাকেই ধরে দলের টিকিট দেবে ওরা।” দলের টিকিট বিরতণ নিয়ে তাঁর পরামর্শ, ইমানদার মানুষ দেখেই টিকিট দেবেন।
|
প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে রেললাইন পারাপার তাঁদের নিত্য ব্যাপার। তাই সালারের টেঁয়া অঞ্চলের পাচটি গ্রামের মানুষ চাইছেন আন্ডারপাস। টেঁয়ার আন্ডারপাস নিয়ে আজিমগঞ্জ-কাটোয়া নিত্যযাত্রী সংগঠনের পক্ষেও বার বার দরবার করা হয়েছে। তবে রেলের কাছে সাড়া মেলেনি। রেলের তরফে অবশ্য স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, এখনই ওই এলাকায় আন্ডারপাস তৈরির পরিকল্পনা নেই।
|
ট্রাফিক সিগন্যালের দাবিতে সরব এলাকাবাসীরা। কান্দির দোহালিয়া বাইপাস মোড়ে সব সময় যানজট লেগেই থাকে। অথচ তা নিয়ন্ত্রণের জন্য ট্রাফিক ব্যবস্থার কোনও বালাই নেই। বাসিন্দাদের দাবি, মাঝেমধ্যে তাঁরাই উদ্যোগী হয়ে যানজট নিয়ন্ত্রণে পথে নামেন। কান্দির এসডিও সন্দীপ মণ্ডল বলেন, “ওখানে দ্রুত ট্রাফিক পুলিশ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।”
|
সূর্য ডোবার সঙ্গে সঙ্গেই অন্ধকারে ডুবে যায় সালারের কাগ্রাম বাজার এলাকা। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, অনেকবার কাগ্রাম অঞ্চল প্রধানকে পথবাতি লাগানোর দাবি জানানো হয়েছে। কিন্তু তিনি গা-ই করেন না। পঞ্চায়েত প্রধান কংগ্রেসের বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, “২০টি সোলার লাইট বসানো হয়েছে।” |