|
|
|
|
আসতে পারে ৩০০ কোটি |
টাটা হিতাচি-র হাত ধরে রাজ্যে লগ্নি বাড়ছে সহযোগী শিল্পে
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
সিঙ্গুর বিতর্ক না-মিটলেও টাটাদের যৌথ উদ্যোগের হাত ধরেই রাজ্যে নির্মাণ শিল্পের যন্ত্রপাতি তৈরির প্রকল্পে লগ্নি বাড়ছে।
খড়্গপুরে নির্মাণ শিল্পের যন্ত্র তৈরির কারখানায় ইতিমধ্যেই টাটা ও জাপানের হিতাচির যৌথ উদ্যোগ ৫৫০ কোটি টাকারও বেশি লগ্নি করেছে। ওই যৌথ উদ্যোগটির হাত ধরেই সেখানে সহযোগী যন্ত্রাংশ শিল্পে আরও প্রায় ৩০০ কোটি টাকার লগ্নি আসতে চলেছে। মাস চারেকের মধ্যেই সহযোগী শিল্পের একাংশ যন্ত্রাংশ উৎপাদনও শুরু করে দেবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর।
২০০৯ সালে খড়্গপুরের কাছে রূপনারায়ণপুরে বিদ্যাসাগর শিল্প তালুকে রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমের কাছ থেকে ২৫০ একর জমি পায় টাটা হিতাচি কনস্ট্রাকশন মেশিনারি (পূর্বতন টাটা টেলকন) সংস্থাটি। তাদের সহযোগী শিল্পের জন্য আরও ৯০ একর বরাদ্দ হয়। সেই সময়ে এই প্রকল্পটিকে ঘিরে একটি সার্বিক শিল্প তালুক তৈরির পরিকল্পনা নেয় নিগম। বছর তিনেক আগে কারখানাটি চালু হয়। জামশেদপুর ও কর্নাটকের ধারওয়ারে সংস্থার অন্য দুটি কারখানা থাকলেও খড়্গপুরের কারখানাটিকেই পণ্য রফতানির মূল কেন্দ্র (এক্সপোর্ট হাব) হিসেবে গড়ে তুলতে চায় সংস্থাটি। গত বছর সংস্থার নাম পরিবর্তনের সময়েই সে কথা জানিয়েছিলেন কর্তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর, সহযোগী শিল্পের জন্য বরাদ্দ জমিতে ১৪-১৫টি সংস্থাকে জায়গা দেওয়া সম্ভব। এখনই ছ’টি সংস্থা সেখানে জায়গা নিয়েছে। এর মধ্যে চারটি ভারতীয় ও জাপানি যৌথ উদ্যোগ। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে সেগুলি চালু হবে বলে আশা সংস্থার এমডি রণবীর সিংহর। তিনি জানান, বছর দু’য়েকের মধ্যে সহযোগী শিল্পের সবক’টি কারখানা পুরোদমে চালু হলে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা শুধু সেখানেই লগ্নি হবে।
আফ্রিকা ও পশ্চিম এশিয়ার সঙ্গে সঙ্গে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাজারও তাঁদের লক্ষ্য, জানিয়েছেন রণবীরবাবু। খড়্গপুরের কারখানায় তৈরি নতুন যন্ত্র (হাইড্রলিক এক্সকাভেটর) বাজারে এনেছে সংস্থাটি। সেই উপলক্ষেই কলকাতায় এসে তাঁর সুরেই হিতাচি কনস্ট্রাকশন মেশিনারি সংস্থার শীর্ষ কর্তা ওয়াই সুজিমোতো জানিয়েছেন, রফতানির পাশাপাশি ভারতের বাজারও তাঁদের কাছে গুরুত্বপর্ণ। আপাতত মন্দা চললেও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রের মতো ভারতেও আগামী দিনে পরিকাঠামো শিল্পের সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদী রণবীরবাবু। তিনি জানান, চাহিদা বাড়লে খড়্গপুরের কারখানায় তাঁরা আরও ২০০ কোটি টাকা লগ্নি করতে পারেন।
সংস্থাটির পরিকল্পনা অনুযায়ী, জামশেদপুর কারখানায় ৬৫ টনের চেয়ে ভারী বড় ধরনের খনি ও নির্মাণকাজে ব্যবহৃত যন্ত্র (এক্সকাভেটর) তৈরি হবে। আর খড়্গপুরের কাখানায় তৈরি হবে ২০-৪৫ টনের ছোট ও মাঝারি ওই ধরনের যন্ত্র। সব মিলিয়ে সেখানে ১৪টি যন্ত্র তৈরির পরিকল্পনা আছে সংস্থাটির।
টাটাদের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ধাপে ধাপে অংশীদারি বাড়িয়ে জাপানের হিতাচির মালিকানা এখন ৬০%। বাকিটা টাটা গোষ্ঠীর হাতে। ভবিষ্যতে অংশীদারি আরও বাড়ানোর সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেননি সুজিমোতো। তবে তাঁর বক্তব্য, যৌথ সঙ্গী টাটাদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। |
|
|
|
|
|