|
|
|
|
|
|
|
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
ঋতুপর্ণর আকস্মিক মৃত্যু আমার কাছে ব্যক্তিগত ক্ষতি। ২০ মে, বঙ্গবিভূষণ সম্মান পাওয়ার দিন রাতে ফোন করেছিল। বলেছিল, “তুমি যে জুঁই ফুল দিয়েছ, বাবা-মায়ের ছবির সামনে রাখব। কাঁথা স্টিচের উত্তরীয়টা নিজে ব্যবহার করব।” ও জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পরে আমি মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের হাত দিয়ে একটা উপহার পাঠিয়েছিলাম। ঋতু বলেছিল, “আমার তো বাবা-মা নেই! দিদি, তুমিই আমার অভিভাবক!’’ কথাগুলো কখনও ভুলব না।
|
|
|
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য
চিত্রপরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষের আকস্মিক মৃত্যুতে আমরা গভীর শোকাহত। তিনি চলচ্চিত্র নিয়ে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতেন। বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে বড় সাফল্য লাভ করেছিলেন। |
|
|
অমিতাভ বচ্চন
খবরটা শুনে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছি। এই সেদিনই সুজয় ঘোষের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। ও তো সবেমাত্র ঋতুর ছবিটা শেষ করেছে। কয়েক সপ্তাহ আগে ঋতুদার সঙ্গেও কথা হয়েছিল। একসঙ্গে নতুন ছবি করার কথা চলছিল। এটা শুধু বাংলার ক্ষতি নয়, সারা দেশের সিনেমা জগতের ক্ষতি। আমি অত্যন্ত শোকাহত। |
|
|
গুড বাই, খুব মিস করব তোমাকে
সুজয় ঘোষ |
নন্দনে শ্রদ্ধা সুজয়ের। ছবি: পিটিআই |
সত্যিই কিছু বলার নেই! সকালে খবরটা শুনে সঙ্গে সঙ্গে প্লেনের টিকিট কেটে কলকাতায় ছুটে এসেছি। গত রাতে এক বন্ধুর বাবা স্পেনে মারা গিয়েছেন। সে সব নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। এর মধ্যে ঋতুদা নেই, এই খবরটা শুনতে হবে, দুঃস্বপ্নেও ভাবিনি। ঋতুদা আমার থেকে মাত্র দু’বছরের বড়। ওর ‘সত্যান্বেষী’ ছবিতে ব্যোমকেশের চরিত্রে অভিনয় করার অভিজ্ঞতাটা অনবদ্য। শু্যটিংয়ের কাজ এত ভাল ভাবে মিটে গিয়েছিল যে আমরা সবাই খুব খুশি হয়েছিলাম। গত পরশুই অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলাম। আলোচনার অনেকটাই জুড়ে ছিল ঋতুদা। অভিনেতা হিসেবে ঋতুদার সঙ্গে কাজ করাটা আমার কাছে বিরাট গর্বের। কারণ, ঋতুদা নিজেও এক জন অসাধারণ অভিনেতা। ওর নেওয়া শেষ শটে আমি ছিলাম, এটা ভাবলে সেই গর্বটা দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। গুড বাই, ঋতুদা। তোমাকে খুব মিস করব। |
|
|
মৃণাল সেন
খুবই বড় মাপের পরিচালক। প্রথম ছবিটা দেখেই বুঝেছিলাম ও বহু দূর দৌড়বে। ওর চিন্তা-ভাবনা, ছবির ভাষা এবং লেখা সবই আমাকে বারবার অবাক করেছে, মুগ্ধ করেছে। ও আমার খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধুও ছিল। এমন এক জনের এ ভাবে শেষ হয়ে
যাওয়াটা কিছুতেই মানতে পারছি না।
|
|
|
সন্দীপ রায়
ওর সঙ্গে বন্ধুত্ব অনেক দিনের। প্রথম ছবিটা নিজেই দেখিয়েছিল। সে দিনই বুঝেছিলাম লোকের থেকে অভিনয়টা বার করে নেওয়ার একটা অদ্ভুত ক্ষমতা আছে ওর। পরের সব ক’টা ছবিতেই সেটা বারবার বুঝিয়েছে। ও যে নেই, এখনও বিশ্বাসই করে উঠতে পারছি না আমরা কেউই। এই তো তিন দিন আগেও ছবির কাজ করছিল। আজ সকালে খবরটা শুনে আকাশ ভেঙে পড়ল যেন! |
|
|
অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়
যখন ‘সত্যান্বেষী’ করতে গেলাম, তখনও কি ভেবেছিলাম এটা ওঁর শেষ ছবি হয়ে থেকে যাবে? চাকরি সূত্রে ওঁর সঙ্গে একটা এমন একটা সম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছিল যে, উনি প্রায় আমার অভিভাবক হয়ে গিয়েছিলেন। সেই সূত্রেই জানি, ঋতুদার এখনও অনেক ছবির পরিকল্পনা ছিল। সবই ক্লাসিক মেজাজের। বাংলা ছবির জগৎ সেই সব কিছু মিস করল। |
|
|
দেবশ্রী রায় ‘১৯শে এপ্রিল’ করার সময়ে প্রথম আলাপ। রিনাদি বা আমার সঙ্গে সেটে এমন দাপটের সঙ্গে কথা বলত, কে বলবে ওর দ্বিতীয় ছবি! আসলে প্রচুর পড়াশোনা ছিল তো! কিছু ভুল করলেই বলত, ‘বোকার মরণ, এটা করলি কেন?’ ওর নিথর দেহের সামনে দাঁড়িয়ে মনে হচ্ছিল, ঠিক এই কথাটাই আজ
ওকে বলি! |
|
|
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত
ঋতুদার চলে যাওয়াটা আমার ব্যক্তিগত ক্ষতি। ওঁর ‘দহন’-এর রোমিতা চরিত্রের হাত ধরেই আমার প্রথম ‘রিয়েল লাইফ ক্যারেক্টর’ হয়ে ওঠা। উনিই তো শিখিয়েছিলেন, যত বড় সুপারস্টারই হই না কেন, রিয়েল লাইফ ক্যারেক্টর হতে হবে। ভাবতে পারছি না, যে মানুষটা এত দিন আমাদের সাজতে, সাজাতে শিখিয়েছেন, তাঁকেই শেষ বারের
মতো সাজিয়ে এলাম। |
|
|
|
খবরটা এখনও বিশ্বাস
করতে পারছি না।
ঈশ্বর ওঁর
আত্মাকে শান্তি দিন।
ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন |
এক মাত্র ঋতুদার সঙ্গেই আমাদের
পরিবারের সকলে
আলাদা আলাদা ভাবে কাজ
করেছে। ব্যাপারটা এইমাত্র খেয়াল হল।
অভিষেক বচ্চন |
|
এটা কি কোনও যাওয়ার বয়স!
মৃত্যু আমাকে খুব বিচলিত করে! বুঝিয়ে দেয়,
যে কোনও সময় চলে যেতে হতে পারে।
বিপাশা বসু |
রেনকোট ছবিতে তাঁর সঙ্গে কাজ করার
অভিজ্ঞতা দারুণ। সব কিছুকে আলাদা
চোখে দেখার ক্ষমতা ছিল ওঁর।
অজয় দেবগণ |
|
তাঁর অসাধারণ ছবিগুলির জন্য ঋতুপর্ণ চিরস্মরণীয় হয়ে
থাকবেন। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।
নরেন্দ্র মোদী |
|
ঋতুপর্ণ ঘোষের মতো
প্রতিভাবান
পরিচালকের অকাল
প্রয়াণের খবর
শুনে স্তম্ভিত।
অক্ষয় কুমার |
সকাল থেকেই খুব হতাশ
লাগছে।
আমার অন্যতম প্রিয় পরিচালক
ঋতুপর্ণ ঘোষ আর নেই।
শ্রেয়া ঘোষাল |
|
|
তখন মনোযোগী ক্রেতা। ২০১১-র পৌষমেলায়। ফাইল চিত্র
|
|
|
|
|
|