টুকরো খবর |
বৈষম্যের অভিযোগ পাঠভবনে
নিজস্ব সংবাদদাতা • শান্তিনিকেতন |
কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বৈষম্যের অভিযোগ তুলে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের দ্বারস্থ হলেন পাঠভবনের অনাবাসিক পড়ুয়াদের অভিভাবকদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, বেছে বেছে পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণির নির্দিষ্ট কিছু অনাবাসিক পডুয়াকেই ‘ডে বোর্ডিং’ হিসেবে থাকতে বলে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু ওই নির্দেশ থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে বিশ্বভারতীর কর্মীদের পড়ুয়াদের। কর্তৃপক্ষের এই ‘বৈষম্যমূলক’ আচরণে পড়ুয়াদের মধ্যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে বলেই তাঁদের দাবি। অভিযোগ অস্বীকার করে বিশ্বভারতীর মিডিয়া ইন্টারফেস কমিটির চেয়ারপার্সন অধ্যাপিকা সবুজকলি সেন বলেন, “এ রকম ভাবে তুলনা করাই ঠিক নয়। বিশ্বভারতীর নিয়ম মেনে অভিভাবকদের দেওয়া মুচলেকা অনুযায়ীই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” বিশ্বভারতী সূত্রের খবর, গত ১৩ মে পাঠভবনের অধ্যক্ষা বোধিরূপা সিংহ একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। তাতে সাত বছর আগে মৃণালিনী আনন্দ পাঠশালায় ভর্তি করার সময়ে বিশ্বভারতীর কর্মী নন এমন অভিভাবকদের দেওয়া মুচলেকা অনুযায়ী, প্রকাশিত নামের তালিকার ছাত্রছাত্রীদের ‘ডে বোর্ডার’ হিসেবে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। অভিভাবক শোভনলাল বিশ্বাস, সুশান্ত দাস, রামপ্রসাদ সাহাদের প্রশ্ন, “সাত বছর আগেকার মুচলেখা কী ভাবে আবাসিকীকরণের নির্ণায়ক শর্ত হতে পারে? বিশ্বভারতীর কর্মীদের সন্তানসন্ততিদের এই উদো্যগের বাইরে রাখা হচ্ছে কেন?” যদিও বিশ্বভারতীর অধ্যাপকসভার সাধারণ সম্পাদক কিশোর ভট্টাচার্য ও কর্মিসভার সভাপতি দেবব্রত সরকারের দাবি, “ওই অভিভাবকদের দাবি ঠিক নয়। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহযোগিতা করা উচিত।”
|
বিক্ষোভে হামলার নালিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • মাড়গ্রাম |
সুষ্ঠু বিদ্যুৎ পরিষেবা চালুর দাবিতে বুধবার রাতে গ্রাহকদের একাংশ জড়ো হয়েছিলেন রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির রামপুরহাট সাবস্টেশনে। অভিযোগ, ওই সময় একদল দুষ্কৃতী তাঁদের উপর হামলা চালায়। বৃহস্পতিবার মাড়গ্রামের বিষ্ণপুর অঞ্চলের ওই গ্রাহকেরা রামপুরহাট মহকুমাশাসকের কাছে এ নিয়ে স্মারকলিপি দেন। মহকুমাশাসক রত্নেশ্বর রায় বলেন, “মারধরের ঘটনা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলব। তবে আমি অভিযোগকারীদের এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ জানাতে বলেছি। বিদ্যুৎ নিয়ে সমস্যার কথাটি নিয়ে ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গেও কাথা বলেছি।” ওই গ্রাহকদের অভিযোগ, প্রায়দিনই ওই এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হয়। সম্প্রতি পরিষেবা চালু রাখার দাবিতে ওই সাবস্টেশনের এক কর্মীকে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল গ্রাহকদের একাংশের বিরুদ্ধে। এ দিন বিষ্ণুপুর গ্রামের বাসিন্দা তথা রামপুরহাট ২ পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ অপূর্ব চৌধুরীর অভিযোগ, “সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিক ও ঠিকাদারদের মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীরাই গ্রাহকদের গাড়ি ভাঙচুর করেছে। তাঁদের মারধরও করেছে।” বিদ্যুৎ কোম্পানির মাড়গ্রাম গ্রাহককেন্দ্রের সহকারী বাস্তুকার শিশুনাথ দাস জানান, সম্প্রতি ঝড়ে বুধিগ্রাম ফিডারের বেশ কিছু বিদ্যুৎবাহী খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যার জেরে ওই ফিডারের বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত থাকায় সাময়িক ভাবে বিষ্ণুপুর ফিডারের সঙ্গে ওই লাইনকে যুক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, “মেরামতির কাজ চলছে। শীঘ্রই সমস্যা মিটে যাবে।” গ্রাহকদের মারধরের প্রসঙ্গে কিছু জানেন না বলেই তাঁর দাবি।
|
বধূকে অ্যাসিড, জেল
নিজস্ব সংবাদদাতা • সিউড়ি |
কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক বধূর গায়ে অ্যাসিড ছুঁড়েছিল এক যুবক। বৃহস্পতিবার সেই যুবককে সাড়ে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা দিল সিউড়ি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত। সরকারি আইনজীবী সৈয়দ সমিদুল আলম বলেন, “২০০৯ সালের ১৪ মার্চ রাজগ্রাম থানা এলাকার ওই ঘটনায় কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় প্রথমে ওই বধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করে দোষী যুবক উত্তম দাস। শেষ পর্যন্ত ধর্ষণ করতে না পেরে তাঁর উপরে অ্যাসিড ঢেলে দেয়। এ দিন বিচারক হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায় ৩৭৬/৫১১ ধারায় উত্তমকে সাড়ে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাস কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়াও ৩২৪ ধারায় আরও দু’ বছর কারাদণ্ড হয়েছে। দু’টি সাজাই একসঙ্গে চলবে।” পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন ওই বধূ রান্নার জ্বালানির জন্য স্থানীয় একটি জঙ্গলে শুকনো পাতা কুড়োতে গিয়েছিলেন। ওই সময়ে গ্রামেরই যুবক উত্তম দাস তাঁকে কুপ্রস্তাব দেয়। তাতে রাজি না হওয়ায় ওই যুবক এই অপরাধ করে। কোনও অভিযোগ না জানাতেও সে হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। যদিও ওই সাহসী বধূ রাজনগর থানায় যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের ভিত্তিতে করেন। পুলিশ উত্তমকে গ্রেফতারও করে। পরে অবশ্য জামিনে ছাড়া পায়। উত্তমের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, তাঁরা উচ্চ আদালতে যাবেন।
|
পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে বৈঠক
নিজস্ব সংবাদদাতা • সিউড়ি |
পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা হতেই নিরাপত্তা বিষয় নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ-প্রশাসন। দ্বিতীয় দফায় বীরভূমের নির্বাচন রয়েছে। হিসেব মতো সে সময় ভরা বর্ষা। তাই নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে বৃহস্পতিবার জেলার সমস্ত থানার আইসি, ওসিদের নিয়ে সিউড়িতে বৈঠক করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেবস্মিতা দাস। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিনের বৈঠকে আলোচনার বিষয় হল বিভিন্ন থানা এলাকার রাস্তাঘাটের অবস্থা। কোন বুথ এলাকায় বন্যা হলে বা রাস্তা ডুবে গেলে কী ভাবে পুলিশ পৌঁছবে, কিংবা গণ্ডগোল বাধলে কী ভাবে মোকাবিলা ও আক্রান্তদের উদ্ধার করা হবে। কোন এলাকায় কতগুলি নৌকা বা বোট লাগবে। কোন থানা এলাকায় কত বাড়তি ফোর্স প্রয়োজন। জেলার সমস্ত থানায় পর্যাপ্ত লাঠি ও অস্ত্র আছে কি না। কেন্দ্র বাহিনী ও রাজ্য বাহিনী কোথায় কী ভাবে রাখা হবে। দেবস্মিতা দাস বলেন, “এ দিনের বৈঠক একান্ত প্রশাসনিক। তাই এ বিষয় নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।”
|
দুর্নীতির অভিযোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা • মুরারই |
১০০ দিন কাজের প্রকল্পে একই জায়গায় একই আর্থিক বর্ষে দু’ বার কাজ দেখানোর অভিযোগ উঠল মুরারই পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। ওই পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, স্থানীয় একটি খেলার মাঠে মাটি ফেলার কাজে ওই দুর্নীতি হয়েছে। অভিযোগকারী চঞ্চল গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “মাস্টাররোলে শ্রমিকদের মজুরি বাবদ ৪ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে বলে দেখানো হয়েছে। কিন্তু প্রকল্পের বিধি মেনে যে বোর্ড টাঙানো হয়েছে তাতে দেখানো হয়েছে ২ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা। তাতেই বোঝা যাচ্ছে ওই কাজে দুর্নীতি হয়েছে।”মুরারই পঞ্চায়েতের প্রধান, কিশোর পিপাড়া বলেন, “ভিত্তিহীন অভিযোগ। ভুল করে মাস্টাররোলে ওই পরিমাণ টাকা দেখানো হয়েছে। কম্পিউটারে তা সংশোধন করে নেওয়া হয়েছে।” মুরারই ১ ব্লকের বিডিও আব্দুল কালাম বলেন, “অভিযোগের তদন্ত করেছি। তদন্ত রিপোর্ট মহকুমাশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে। তাঁর নিদের্শ মেনে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।”
|
লাইনে ফাটল
নিজস্ব সংবাদদাতা • সাঁইথিয়া |
রেললাইনে ফাটল থাকায় বুধবার রাতে বর্ধমান-সাহেবগঞ্জ লুপ লাইনে প্রায় দু’ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাত ৮টা নাগাদ আপ লাইনের একটি মালগাড়ির চালক বাতাসপুর স্টেশন ম্যানেজারকে লাইনে ফাটল থাকার খবর দেন। আমোদপুরে বিশ্বভারতী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার ও বর্ধমান-রামপুরহাট প্যাসেঞ্জারকে কোপাই স্টেশনে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আবহাওয়ার কারণে হয়ে থাকতে পারে বলে রেলের তরফে জানানো হয়েছে।
|
দেহ উদ্ধার |
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গৌতম দত্ত নামে এক দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। সিউড়ি থানার কেন্দুয়া দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা ওই ব্যক্তি সাঁইথিয়ায় তাঁর কর্মস্থল থেকে মোটরবাইকে করে বাড়ির উদ্দেশ্যে বেরিয়ে ছিলেন। কেউ ম্যাটাডরে করে তাঁর দেহ সিউড়ি হাসপাতালে দিয়ে যায়। মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট নয়। |
|