এমডি-তে ভর্তির তথ্য বদল নিয়ে বিভ্রান্তি
প্রথমে নির্দিষ্ট তারিখ উল্লেখ করা হয়েছিল। কিন্তু পরে মেডিক্যালের স্নাতকোত্তরে ভর্তির জন্য টাকা জমা দেওয়ার সময়সীমা হিসেবে ‘অতি দ্রুত’ কথাটি বসানো হয়। ওই স্তরে ভর্তির ব্যাপারে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত নিয়মাবলিতে এই রদবদল নিয়ে বিভ্রান্তির অভিযোগ উঠেছে।
স্বাস্থ্য দফতরের ওয়েবসাইটে প্রথমে জানানো হয়েছিল, এমডি, এমএসে ভর্তির জন্য ১২ জুনের মধ্যে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের টাকা জমা দিতে হবে। কিন্তু ২৭ মে, সোমবার আচমকাই ওয়েবসাইটে দেওয়া ভর্তির নিয়মাবলিতে সরকারি বয়ান বদলে যায়। পরিবর্তিত নির্দেশে স্বাস্থ্য দফতর থেকে জানানো হয়েছে, ১২ জুন নয়, ‘অতি দ্রুত’ (ওয়েবসাইটে ‘ইমিডিয়েটলি’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছিল) ভর্তির টাকা জমা দিতে হবে। কিন্তু ‘অতি দ্রুত’ মানে ঠিক কত দিনের মধ্যে টাকা জমা দিতে হবে, স্বাস্থ্য দফতর তা জানায়নি।
এমনটা হল কেন? রাজ্যের স্বাস্থ্য (শিক্ষা) অধিকর্তা সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের জবাব, “এ-রকম হতেই পারে।” কিন্তু ১২ জুনের পরিবর্তে ‘অতি দ্রুত’ মানে কত তারিখের মধ্যে ভর্তির টাকা জমা দিতে বলা হয়েছে? “৩১ মে-র মধ্যে দিয়ে দেওয়াই ভাল,” জবাব দেন সুশান্তবাবু। এই তারিখটা কেন ওয়েবসাইটে বলে দেওয়া হল না? সুশান্তবাবু বলেন, “সব কিছু অত বলা যায় না। আর সব কাজে ত্রুটি খোঁজাও উচিত নয়।”
চিকিৎসাবিদ্যার স্নাতকোত্তর স্তরে ভর্তির জন্য ২০১২ সালের ডিসেম্বরে এন্ট্রান্স বা প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া হয়। কয়েকটি আবেদনের ভিত্তিতে ফলপ্রকাশের উপরে স্থগিতাদেশ জারি করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু গত ১৩ মে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। তারা ৩১ মে-র মধ্যে ভর্তির প্রক্রিয়া শেষ করার কথা বলেছিল। কিন্তু স্বাস্থ্য দফতর ওই ৩১ মে-র সময়সীমার কথা বেমালুম ভুলে গিয়ে ১২ জুনের সময়সীমা জানিয়ে দেয়। পরে তাদের টনক নড়ে। তড়িঘড়ি ভুল সংশোধিত হয়।
অভিযোগ, তার পরেও ওয়েবসাইটে ৩১ মে তারিখটি জানানো হয়নি এবং কেন ১২ জুন তারিখ বাতিল হল, তার কারণও ওয়েবসাইটে স্পষ্ট করে ব্যাখ্যা করার ধার ধরেননি স্বাস্থ্যকর্তারা।

আক্রান্তেরা সুস্থ হচ্ছেন বুদবুদে
বুধবার পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক ছিল বুদবুদ গ্রামে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, যাঁরা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তাঁরা অনেকটাই সুস্থ। নতুন করে আর কেউ আক্রান্তও হননি। দু’একজনের জ্বর থাকলেও গ্রামের অস্থায়ী শিবিরেই চিকিৎসা চলছে তাঁদের। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক মহাপ্রসাদ পাল জানান, পুরষা ব্লক হাসপাতালে ভর্তি আক্রান্তদের মধ্যে ১৮ জনকে সুস্থ করে বাড়ি পাঠানো হয়েছে। বাকিদের অবস্থা স্থিতিশীল। তিনি আরও জানান, জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে এই এলাকার জলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য নিয়ে গিয়েছে। মহাপ্রসাদবাবু বলেন, “স্থানীয় ক্লাবে অস্থায়ী স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি রাখা হয়েছে। এখন সেটি থাকবে।” তবে সংক্রমণের কারণ সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু বলতে পারেননি তিনি। মঙ্গলবার ভোর থেকে জ্বর, বমি, পায়খানা শুরু হয় বুদবুদের বেশ কিছু মানুষের। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে। আক্রান্তদের পুরষা ব্লক হাসপাতাল ও মানকর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। গ্রামে অস্থায়ী শিবিরও চালু করা হয়।

পুরনো খবর:



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.