থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত তিন সন্তানের চিকিৎসার সামর্থ্য নেই তাঁর। কিন্তু তিলে-তিলে তাদের মরতেও দেখতে চান না অসহায় ওই ব্যক্তি। তিন সন্তানের সঙ্গে নিজের স্বেচ্ছামৃত্যুর (মার্সি কিলিং) আর্জি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলেন শিলং-এর ব্যবসায়ী আব্দুল রহিম।
সাংবাদিক বৈঠক ডেকে এক সময়ের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী রহিম জানান, সন্তানদের বাঁচাতে লড়াই চালিয়েছেন থ্যালাসেমিয়ার বিরুদ্ধে। বাড়ি, জমি, ব্যবসা বিক্রি করেছেন। লাভ হয়নি। সাহায্যের করেছেন অনেকেই। এখন তাও বন্ধ।
এখন আগামী মাসে তিন সন্তানের ওষুধ কেনা, রক্ত বদলানোর টাকাও নেই তাঁর। বিনা চিকিৎসায় সন্তানদের মরতে দেখার চেয়ে মৃত্যুই তা-ই শ্রেয়। রহিম জানান, শিলং-এর মাওবায় জুতোর ব্যবসা ছিল তাঁর। পাঁচ সন্তানকে নিয়ে স্ত্রী থাকেন অসমের বাড়িতে। বিপদের শুরু ১৯৯৭-এ। ওই বছরই তাঁর তৃতীয় সন্তান সাদিক আহমেদের থ্যালাসেমিয়া ধরা পড়ে। চিকিৎসা শুরু হয়। চার বছর পর, চতুর্থ সন্তান সুহেলের রক্তেও ছড়ায় একই রোগ। ২০১১-তে ছোট ছেলে মহম্মদ সামিমও একই রোগে আক্রান্ত হয়। সাংবাদিকদের প্রশ্নে রহিম বলেন, “ওদের চিকিৎসার জন্য মাসে অন্তত ৪৫ হাজার টাকা প্রয়োজন। কিন্তু, আমার কাছে বিক্রি করার মতো আর কিছুই বাকি নেই।
ভেলোরে চিকিৎসকেরা বলেছিলেন, তিন জনই সুস্থ হয়ে যাবেন। কিন্তু খরচ হবে ৩৫ লক্ষ।” টাকার জোগাড় হবে কী ভাবে, তা নিয়েই চিন্তিত রহিম। ছেলেদের সুস্থ করতে অনেক চিকিৎসাই করিয়েছিলেন রহিম। কিন্তু, এ বার অর্থাভাবে হাল ছেড়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, “আমি চাই ওদের যেন একেবারে মরে যাওয়ার অনুমতি দেয় আদালত। অক্ষম পিতা হিসাবে আমিও নিজেকে শেষ করে দিতে চাই। আশা করি আমাদের অসহায় পরিস্থিতির কথা বিচার করে আদালত সে অনুমতি দেবে।” |