মোহনবাগানে টোলগে ওজবের ইনিংস শেষ। বুধবার তাকে সে কথা জানিয়েও দেওয়া হল ক্লাবের পক্ষ থেকে।
কিন্তু দু’বছরের চুক্তিবদ্ধ অস্ট্রেলীয় স্ট্রাইকারকে চুক্তি ভেঙে দেশে ফেরত পাঠাতে হলে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে প্রায় তিরিশ লাখ টাকা। চুক্তিতে সে রকমই আছে। ফলে বাতিলের প্রক্রিয়াটি চূড়ান্ত হল না। অন্য ক্লাবগুলির মতো বাগানেও আর্থিক সমস্যা চলছে। ফলে টোলগের ক্ষতিপূরণের টাকা কোথা থেকে আসবে এবং কে দেবে তা নিয়ে সমস্যা তৈরি হওয়ার পুরো ব্যাপারটি ঝুলে থাকল এ দিনও।
পয়লা জুন ক্লাব তাঁবুতে কার্যকরী কমিটির সভা ডেকেছেন সচিব অঞ্জন মিত্র। ক্লাব সূত্রের খবর, কর্তারা অনেকেই চাইছেন সভার পরই টোলগের ক্ষতিপূরণের টাকার ব্যবস্থা করে তাকে দেশে ফেরার বিমানের টিকিট ধরিয়ে দিতে। যদিও ক্লাব সচিব অঞ্জন মিত্র বুধবার রাতে বললেন, “টোলগেকে নিয়ে সমস্যার সমাধান বৃহস্পতিবারই হয়ে যাবে।” টোলগে অবশ্য এ ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। কোনও ফোন ধরছেন না। কথা বলছেন না কারও সঙ্গে। এ দিন তাঁর ফ্ল্যাটে যান ফুটবল সাব কমিটির দুই সদস্য। তাঁরা জানিয়ে আসেন ক্লাবের সিদ্ধান্ত। টোলগে নাকি বলে দেন, ক্ষতিপূরণের টাকা পেলে বান্ধবী নিয়ে অস্ট্রেলিয়া ফিরে যাবেন।
|
টোলগের জায়গায় কাকে নেওয়া হবে তা নিয়ে অবশ্য এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এ দিন ইউনাইটেড মিডিও লালকমল ভৌমিকের সঙ্গে কথা বলেন মোহন-কর্তারা। কিন্তু লাল যে টাকা দাবি করছেন তা দিতে নারাজ বাগান। ফলে চূড়ান্ত কিছু হয়নি।
টোলগের সঙ্গে বাগান থেকে বাদ যাচ্ছেন জুয়েল রাজা, রাকেশ মাসি, খেলেম্বা সিংহ, বরুণদীপ সিংহরা। জুয়েল ডেম্পোতে সই করলেও রাকেশ-খেলেম্বা এখনও দল পাননি। বাগান দলে নিল ওএনজিসি-র রাইট ব্যাক শালি ওহাইদকে। অ্যারোজের মিডিও প্রণয় হালদারকে দলে নিতে পারে বাগান। এ দিকে আর্থিক মন্দার রেশ পড়েছে ওডাফার ওপরও। চুক্তির টাকা কমার পাশাপাশি দামি ফ্ল্যাট ছেড়ে একই আবাসনের কম দামের ফ্ল্যাটে এ দিন উঠে যেতে হল ব্যর্থ গোলমেশিনকে। |