গঙ্গাস্নান করে বাড়ি ফেরার পথে ছিনতাইবাজের মারে মাথা ফাটল এক বৃদ্ধার। খোয়া গেল তাঁর গলার হার। বুধবার ভোর পৌনে পাঁচটা নাগাদ উত্তরপাড়ার শিবতলা এলাকার ঘটনা। বীণাপাণি ভৌমিক নামে বছর পঁয়ষট্টির ওই বৃদ্ধাকে উত্তরপাড়ার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়েছে। তবে, সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বীণাপাণিদেবী হিন্দমোটরের দেশবন্ধুনগর রোডে থাকেন। প্রতিদিন ভোরে শিবতলা শ্মশান লাগোয়া ঘাটে গঙ্গাস্নানে যান। এ দিন স্নান সেরে ছাতা মাথায় দিয়ে হেঁটে ফিরছিলেন। |
আহত বৃদ্ধা। —নিজস্ব চিত্র |
শিবতলার কাছে মধুবাগান এলাকায় তাঁর মাথায় ভারী কিছুর একাধিকবার আঘাত পড়ে। রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি লুটিয়ে পড়তেই এক দুষ্কৃতী তাঁর গলার ইমিটেশন হার ছিনিয়ে নিয়ে চম্পট দেয়। পুলিশের কাছে লিখিত ভাবে এই অভিযোগ জানিয়েছেন বীণাপাণিদেবীর ছেলে অনুপ ভৌমিক।
তবে, দুষ্কৃতীরা সংখ্যায় কত জন ছিল সে ব্যাপার নিশ্চিত নন বীণাপাণিদেবী। ভোরে রাস্তা শুনশান ছিল। সাহায্য করার মতো কাউকে তিনি পাননি। নিজেই কোনওমতে বাড়ি পৌঁছন। বাড়ির লোকজন প্রথমে তাঁকে হিন্দমোটর হাসপাতালে নিয়ে যান। মাথায় স্ক্যান করার পরে তাঁকে উত্তরপাড়ার একটি নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করানো হয়। সেখানে আইসিসিইউ-তে রাখা হয়েছে বীণাপাণিদেবীকে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁর মাথায় আটটি সেলাই হয়েছে। ডান কানের উপরেও গভীর ক্ষত রয়েছে।
অভিযোগ পাওয়ার পরেই পুলিশ তদন্তে ঘটনাস্থলে যায়। অনুপবাবু বলেন, “মা খুব ধীরে হাঁটেন। হার ছিনতাই করতে এসে ওরা মাকে অমন ভাবে মারল, ভাবতেই পারছি না।” জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। ওরা নিশ্চয়ই ভেবেছিল বৃদ্ধা সোনার হার পড়ে রয়েছেন। তাই ছিনতাই করে। কিন্তু কেন ওই ভাবে মারল তা পরিষ্কার নয়।” |