|
|
|
|
উদ্ধার প্রচুর অস্ত্রও |
হোটেলে ধৃত মাওবাদী নেতা
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি ও পটনা |
বিহারের একটি হোটেলে হানা দিয়ে মঙ্গলবার রাতে এক মাওবাদী নেতাকে গ্রেফতার করল ঝাড়খণ্ড পুলিশ। রাজ্য পুলিশের দাবি, ধৃত ব্যক্তি ছত্তীসগঢ়, বিহার এবং ঝাড়খণ্ডে মাওবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। আজ তাঁকে সঙ্গে নিয়েই লাতেহারের কাটিয়া জঙ্গলে তল্লাশি চালানো হয়। পুলিশ জানিয়েছে, জঙ্গলে মাওবাদীদের গোপন ডেরা থেকে কিছু অস্ত্রশস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ধৃত মাও-নেতার নাম অনুজ ঠাকুর ওরফে সুভাষ। তিনি ছত্তীসগঢ়, ঝাড়খণ্ড এবং বিহারে ওই জঙ্গি সংগঠনের ‘স্পেশাল এরিয়া কমিটি’ সম্পাদক। ঝাড়খণ্ডে মাও-নাশকতার একাধিক ঘটনায় তাঁর হাত রয়েছে বলেও দাবি করেছে পুলিশ।
ঝাড়খণ্ড পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার বলেন, “বিহারের একটি হোটেলে বান্ধবীর সঙ্গে লুকিয়েছিলেন ওই মাওবাদী নেতা।”
ছত্তীশগঢ়ে কংগ্রেসের ‘পরিবর্তন যাত্রা’য় মাওবাদী হামলার কোনও সূত্র অনুজের থেকে পাওয়া যায় কি না, তা-ও দেখছে পুলিশ। এক পুলিশকর্তার কথায়, “ধৃত মাও-নেতা ছত্তীসগঢ়েও যাতায়াত করতেন। ওই ঘটনার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ রয়েছে কি না, তা নিশ্চয়ই জানার চেষ্টা করা হবে।”
বিহার পুলিশ জানিয়েছে, ৭-৮ দিন ধরে মুজফফ্পুরের রেল স্টেশনের কাছাকাছি একটি হোটেলে ছিলেন অনুজ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিনীতা ভারতী নামে এক মহিলা। তাঁকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঝাড়খণ্ড পুলিশ সূত্রের খবর, এ বছর জানুয়ারিতে লাতেহারের একটি জঙ্গলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ১১ জন জওয়ানকে গুলি করে মারে মাওবাদীরা। নিহত এক জওয়ানের পেটে বিস্ফোরক ভরে দেওয়া হয়। পুলিশের দাবি, ওই হামলার পরিকল্পনায় তিনি যুক্ত ছিলেন বলে অনুজ জেরায় জানিয়েছেন। চতরার নির্দল বিধায়ক ইন্দর সিংহ নামধারীর উপর হামলার ঘটনাতেও ধৃত মাও-নেতা জড়িত ছিলেন।
অন্যদিকে, আজ সকালে বিহারের হাসেপুর এলাকার জঙ্গলে পুলিশ এবং মাওবাদীদের মধ্যে গুলির লড়াই চলে। তবে হতাহতের কোনও খবর নেই। জঙ্গলের জঙ্গি-ডেরা থেকে প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার করেছেন নিরাপত্তাকর্মীরা। |
|
|
|
|
|