|
|
|
|
এনএসি-তে থাকতে আর চান না অরুণা
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
সনিয়া গাঁধীর নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় উপদেষ্টা পরিষদে (এনএসি) আর থাকতে চান না বলে জানালেন সমাজসেবী অরুণা রায়। এনএসি-র সদস্য হিসাবে তাঁর মেয়াদের আজই ছিল শেষ দিন। কিন্তু মেয়াদ বাড়ানোর ব্যাপারে অরুণা আগ্রহ দেখাননি। বরং এনএসি-র সভানেত্রী সনিয়াকে চিঠিতে জানান, যে হেতু সামাজিক কর্মসূচি রূপায়ণে সরকার তাঁর সুপারিশ মানেনি, তাই তিনি আর পরিষদের সদস্য হতে চান না।
তবে সনিয়ার ঘনিষ্ঠ, মন্ত্রিসভার এক সদস্যের দাবি, এনএসি-র যে সব সদস্য সামাজিক আন্দোলনের ক্ষেত্রে কট্টরপন্থী বলে পরিচিত তাঁদের মেয়াদ আর বাড়ানো হবে না বলে এক প্রকার সিদ্ধান্ত হয়েই গিয়েছিল। অতীতে হর্ষ মন্দারের মেয়াদও বাড়েনি। অরুণার মেয়াদও সম্ভবত বাড়ত না। কারণ, ওই মন্ত্রীর কথায়, এই সদস্যরা সরকারের সীমাবদ্ধতা বা অসুবিধা বোঝেন না।
কংগ্রেস সূত্রে খবর, এমনিতেই এনএসি এখন অকেজো। সনিয়াও দীর্ঘদিন পরিষদের বৈঠকে যাননি। কেন না দ্বিতীয় ইউপিএ-র আমলে যে সব কর্মসূচি গ্রহণের কথা বা নীতি নির্ধারণের প্রয়োজন ছিল তা প্রায় সমাপ্ত হয়েছে। তাই অরুণা রায় সরে দাঁড়ানোয় অসুবিধা হবে না।
গত ন’বছরে ইউপিএর বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচির নীতি নির্ধারণের সঙ্গে জড়িত ছিলেন অরুণা। আজ মনমোহন সিংহ সরকারের সমালোচনা করেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, একশো দিন কাজে মজুরদের ন্যূনতম মজুরি না দিয়ে সার্বিক বৃদ্ধির শর্ত মানেননি প্রধানমন্ত্রী। তবে কেন্দ্রের নেতাদের বক্তব্য, এ ব্যাপারে রাজ্যগুলির আপত্তি রয়েছে। কারণ, একশো দিন কাজে মজুরি বেশি হলে কৃষি বা অন্য প্রকল্পে মজুর মেলে না। কেন্দ্রেরও আর্থিক সীমাবদ্ধতা আছে। কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, অরুণাদেবীর সমালোচনা নতুন নয়। পরিষদের সদস্য হিসেবেও তিনি সরকারের বহু সামাজিক কর্মসূচির সমালোচনা করেছেন। |
|
|
|
|
|