আরও হামলার আশঙ্কায় কেন্দ্র
জাতীয় স্তরে প্রচারে থাকতে এ বার দিল্লি-সহ দেশের বিভিন্ন শহরেও ‘সহজ নিশানা’ খুঁজতে পারে মাওবাদীরা। সালওয়া জুড়ুমের প্রতিষ্ঠাতা মহেন্দ্রকুমার কর্মাকে হত্যা করাটা দীর্ঘদিন ধরেই তাদের ঘোষিত কর্মসূচি। কিন্তু
কটকম সুদর্শন। যাঁর চিঠি
এখন গোয়েন্দাদের সূত্র।
গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে যে, গত দু’তিন বছর ধরেই ক্রমশ কোণঠাসা হতে হতে মাওবাদীরা জাতীয় স্তরে প্রচারে উঠে আসতে মরিয়া হয়ে উঠছিল। ছত্তীসগঢ়ে কংগ্রেসি নেতাদের উপর হামলার সেটাও অন্যতম প্রধান কারণ। এ বার এখানেই থেমে না থেকে আরও চোখ ধাঁধানো কিছু করতে চাইছে মাওবাদীরা। তার জন্য তারা শহর, রেল স্টেশনের মতো জনবহুল এলাকায় নাশকতা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা গোয়েন্দাদের।
সম্প্রতি ছত্তীসগঢ়েই বিজাপুরের পিড়িয়া এলাকায় একটি মাওবাদী শিবিরে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু নথি উদ্ধার করেছে পুলিশ। সিপিআই (মাওবাদী)-র সাধারণ সম্পাদক গণপতি ওই শিবিরে বেশ কিছু দিন কিছু দিন ছিলেন বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। ওই শিবির থেকে অন্যান্য নথিপত্রের সঙ্গে মাওবাদী নেতা কটকম সুদর্শনের লেখা চিঠি পাওয়া গিয়েছে। এই সুদর্শনই ছত্তীসগঢ়ে কংগ্রেসি নেতাদের হামলার পিছনে মূল প্রেরণা বলে গোয়েন্দাদের একাংশের দাবি। দলের আর এক নেতা শ্যামকে লেখা চিঠিতে সংগঠনের দুরবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সুদর্শন। তেলুগুতে লেখা ওই চিঠির ছত্রেছত্রে রয়েছে বিভিন্ন রাজ্যে পুলিশের গুলিতে মাওবাদীদের নিহত হওয়া, ধরা পড়া ও অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ নিয়ে উদ্বেগ।
সুদর্শন লিখেছেন, মার্চ মাসে ঝাড়খণ্ডে পুলিশ ও পুলিশি মদতপ্রাপ্ত তৃতীয় প্রস্তুতি কমিটি-র অভিযানে ১০ জন ক্যাডার মারা গিয়েছেন। এর মধ্যে আঞ্চলিক কমিটির সদস্য গোপালের মৃত্যু যে দলের বড় ক্ষতি, তা-ও লিখেছেন সুদর্শন। কারণ গোপালই দলের হয়ে বিদেশি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। একই ভাবে মার্চ মাসেই গঢ়ছিরৌলী ও পূর্ব বস্তারে পুলিশের অভিযানে ক্যাডারদের মৃত্যু নিয়েও উদ্বেগ জানিয়েছেন সুদর্শন। আত্মসমর্পণের প্রসঙ্গে সুদর্শনের বক্তব্য, এটা দলের শীর্ষনেতাদের দোষ এবং সাংগঠনিক ত্রুটি। দলে একতারও অভাব রয়েছে। সুদর্শন লিখেছেন, “আমরা চার দিক থেকে আক্রান্ত হচ্ছি, প্রতিটি কোণে ধাক্কা খাচ্ছি, কিন্তু মাওয়ের নীতি থেকে সরছি না আমরা।” এই পরিস্থিতিতে নিয়মিত প্রচারে থাকতে ও ক্যাডারদের চাঙ্গা করতেই মাওবাদী নেতারা হিংসার রাস্তায় ফিরতে চাইছেন বলে মনে করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। মন্ত্রকের এক কর্তার কথায়, “সংগঠন দুর্বল বলে তারা সহজ নিশানা হিসেবে বেছে নিচ্ছে রাজনৈতিক নেতাদের।”
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এখন সব থেকে বেশি মাথা ব্যথা অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টের এক নির্দেশ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে চলা মামলা। ২০০৯-এ অন্ধ্র হাইকোর্টের পাঁচ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ রায় দিয়েছিল, পুলিশি সংঘর্ষে মৃত্যু হলেই সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় খুনের মামলা হবে। এর বিরুদ্ধে অন্ধ্রের পুলিশ অফিসারদের সংগঠন সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে। সুপ্রিম কোর্ট অন্ধ্র হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয়।
অন্ধ্রপ্রদেশ সিভিল লিবার্টিজ অ্যাসোসিয়েশন সুপ্রিম কোর্টে স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আবেদন জানিয়েছে। মামলার যাতে রোজ শুনানি হয়, সেই নির্দেশও আদায় করেছে তারা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে তাই হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে জোরালো আবেদন করা হয়েছে শীর্ষ আদালতে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বক্তব্য, হাইকোর্টের রায় খারিজ না হলে ভারত রাষ্ট্রের অস্তিত্বই ধাক্কা খাবে। কারণ দেশের নিরাপত্তা বাহিনী মাওবাদ-সহ সব রকম সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়ছে।

সর্বদল বয়কট
মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংহের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠক বয়কট করল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার রায়পুরে এই বৈঠক হওয়ার কথা। ছত্তীসগঢ় প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বুধবার সন্ধ্যায় বলা হয়েছে, দরভায় কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের নিরাপত্তায় বড়সড় ফাঁক ছিল। কংগ্রেসের অভিযোগ, বিজেপি সরকার জেনেশুনেই নিরাপত্তা ব্যবস্থায় এই ফাঁক রেখেছিল। তারা তাই এই সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসবে না। যদিও রাজ্য বিজেপি-র অভিযোগ, কংগ্রেস অবিবেচকের মতো এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.