|
|
|
|
সন্দেহ খুন |
অফিসে নিরাপত্তারক্ষীর রক্তাক্ত দেহ
নিজস্ব সংবাদদাতা |
|
|
এক নিরাপত্তারক্ষীর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার হল। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাতে বেলেঘাটা মেন রোডের ধারে বন্ধ থাকা একটি রং কারখানার ভিতরের অফিসে সাধন সরকার (৬০) নামে ওই রক্ষী রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন। তাঁর কপালে, মাথায় ও গলায় ধারালো অস্ত্রের একাধিক চিহ্ন ছিল। নীলরতন সরকার হাসপাতালে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পুলিশের সন্দেহ, সাধনবাবুকে খুন করা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ বুধবার জানায়, ৯৩ নম্বর বেলেঘাটা মেন রোডে ২৪ কাঠার একটি জমিতে রং তৈরির কারখানা ছিল। কারখানাটি দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ। ওই জমিটি কৃষ্ণেন্দু, স্বপন ও মিলন পোদ্দার নামে তিন ভাইয়ের। ওই জমির একাংশে স্বপনবাবু এবং মিলনবাবুর প্রোমোটিং সংস্থার কার্যালয় রয়েছে। ওই অফিসে দু’টি শিফটে বেসরকারি দুই নিরাপত্তারক্ষী কাজ করে। সাধনবাবু গত পাঁচ বছর ধরে সেখানেই নৈশপ্রহরী ছিলেন। স্ত্রী, মেয়ে ও নাতনিকে নিয়ে কারখানার লাগোয়া লেবুগোলা বস্তিতে থাকতেন তিনি।
সাধনবাবুর স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জেনেছে, প্রতি দিনের মতোই মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ তিনি মেয়ে ও নাতনিকে নিয়ে সাধনবাবুকে রাতের খাবার দিতে গিয়েছিলেন। অফিসের দরজা ঠেলে খুলতেই তিনি দেখেন, তাঁর স্বামী মাটিতে চিৎ হয়ে পড়ে আছেন। চার পাশে চাপ চাপ রক্ত। পাড়ার লোকজনের কাছে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়।
পুলিশ জানায়, কী কারণে ওই রক্ষীকে খুন করা হল তা বুধবার রাত পর্যন্ত নিশ্চিত জানা যায়নি। সকালে যে রক্ষী পাহারা দেন তাঁকে এবং জমির মালিক তিন ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সাধনবাবুর সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল কি না, অথবা ওই অফিস থেকে গুরুত্বপূর্ণ কোনও কাগজপত্র
খোওয়া গিয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
অন্য দিকে, তিলজলার পঞ্চান্ন গ্রামের একটি নয়ানজুলি থেকে বুধবার অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, মৃতের বয়স আনুমানিক ৪০ বছর। এ দিন সকাল পৌনে আটটা নাগাদ ওই ব্যক্তিকে নয়ানজুলিতে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। |
|
|
|
|
|