টুকরো খবর
ফের টেন্ডার, বলবেন এজি
রাসবিহারী অ্যাভিনিউয়ে নিকাশি উন্নয়নের অসমাপ্ত কাজ কী ভাবে শেষ হবে, তা জানতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের (এজি) পরামর্শ চাইল পুর-প্রশাসন। জানতে চাওয়া হয়েছে, ১) অসমাপ্ত কাজের ফের টেন্ডার করা যাবে কি না? ২) কাজটি নতুন সংস্থার হাতে দেওয়া যায় কি না? ৩) প্রথম বার দরপত্রের সময়ে দ্বিতীয় স্থানাধিকারী সংস্থাকে একই দরে (সর্বনিম্ন) কাজ করতে অনুরোধ জানানো উচিত কি না? এক অফিসার জানান, পুরসভাও কোনও বিশেষজ্ঞকে দিয়ে কাজ করাতে পারে। পুরসভা সূত্রে খবর, রাসবিহারী অ্যাভিনিউ-সহ কিছু রাস্তায় মাটির নীচে পলিমার পাইপ বসানোর প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। টেন্ডারের মাধ্যমে কাজের বরাত পায় অস্ট্রিয়ার এক ঠিকাদার সংস্থা। হঠাৎ কাজ বন্ধ করে তারা। পরে অস্ট্রিয়ার কোর্ট জানায়, সংস্থাটি দেউলিয়া হয়েছে। অস্ট্রিয়ার আর একটি সংস্থা দাবি করে, ওই কাজ শেষের দায়িত্ব পেয়েছে তারা। তার ভিত্তিতে পুরসভার পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার নীলাংশু বসু দ্বিতীয় সংস্থাকে কাজ দেওয়ার প্রস্তাব দেন। তা থেকেই বিরোধ বাধে পুরসভার অন্দরে। অর্থ দফতর জানায়, পুর-আইন অনুযায়ী দ্বিতীয় সংস্থাকে কাজটি দেওয়া উচিত হবে না। সে জট কাটাতে মঙ্গলবার মেয়র পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, অ্যাডভোকেট জেনারেলের পরামর্শ নেওয়া হবে। সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে শো-কজের মতো ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে বলে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে।

টাকা তছরুপ, ধৃত ২
রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্কের ৬০ কোটি টাকা তছরুপের ঘটনায় দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম কুশল বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুধীর পাঁজা। মঙ্গলবার রাতে কৈখালির বাসস্ট্যান্ডের সামনে একটি রেস্তোরাঁ থেকে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মাস কয়েক আগে তিনটি ব্যাঙ্কে ২০ কোটি টাকা করে ফিক্সড্ ডিপোজিট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সমবায় ব্যাঙ্কের কর্তারা। অতিরিক্ত সুদের টোপ দিয়ে সেই টাকা হাতিয়ে নেয় জালিয়াতেরা। এক গোয়েন্দাকর্তা জানান, তিনটি ব্যাঙ্ক থেকে ভুয়ো ফ্যাক্স পাঠিয়ে তিনটি নম্বরে টাকা জমা দিতে বলা হয়েছিল। পরে দেখা যায়, তিনটি অ্যাকাউন্টই জালিয়াতদের। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরেই সমবায় ব্যাঙ্কের কর্তারা কলকাতা পুলিশে অভিযোগ জানান। তদন্তে নেমে এক প্রাক্তন আমলা-সহ কয়েক জনকে গ্রেফতার করেছিলেন গোয়েন্দারা। পুলিশ সূত্রের খবর, কুশল ও সুধীর ওই ফ্যাক্স পাঠিয়েছিলেন। তাঁদের সঙ্গে ওই ব্যাঙ্কের কর্মীদের একাংশ জড়িত বলেও পুলিশের সন্দেহ।

মেট্রোয় ‘ঝাঁপ’, মৃত
মেট্রোয় কাটা পড়ে মৃত্যু হল এক কিশোরীর। বুধবার, মাস্টারদা সূর্য সেন স্টেশনে। মৃতার নাম রাজনন্দিনী সিংহ (১৬)। বাড়ি বাঁশদ্রোণী এলাকায়। তার বাড়ির লোকজনকে খবর দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ দমদমগামী একটি ট্রেন যখন ওই স্টেশনে ঢুকছিল, তখন ওই কিশোরী আচমকা লাইনে ঝাঁপ দেয়। কী কারণে ওই কিশোরী ঝাঁপ দিল, এখনও তা জানাতে পারেনি পুলিশ। এই ঘটনায় আধ ঘণ্টা মেট্রো চলাচল বিপর্যস্ত হয়। মেট্রোর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রত্যুষ ঘোষ বলেন, “এ বছর মেট্রোয় কাটা পড়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। এর আগে এই বছরে যে সাত জন মেট্রোর সামনে ঝাঁপ দেন, তাঁদের সকলকেই বাঁচানো গিয়েছে।” মেট্রো সূত্রে খবর, ওই কিশোরীকে দেখে এ দিনও ব্রেক কষেন চালক, কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।

হুমকির নালিশ ছাত্রের
বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপদে লেখাপড়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন এবং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর দ্বারস্থ হতে হল বিএ দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রকে। ক’দিন আগে পরীক্ষায় নকল করতে বাধা দেওয়ায় রবীন্দ্রভারতী বিশ্ব-বিদ্যালয়ের সংস্কৃতের এক শিক্ষক প্রহৃত হন। তাঁর পাশে দাঁড়ানোয় মারধর করা হয় প্রসেনজিৎ দাস নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগেরই এক ছাত্রকে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তিও করাতে হয়। দু’টি ঘটনাতেই অভিযুক্ত রবীন্দ্রভারতীতে (টিএমসিপি) ইউনিট সভাপতি তথা পর্যবেক্ষক বিশ্বজিৎ দে (বাপ্পা) ও তাঁর তিন সঙ্গী। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এই প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে ভয় পাচ্ছেন প্রসেনজিৎ। তাই অভিযুক্তদের শাস্তি ও নিজের নিরাপত্তা চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল এবং শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন তিনি। প্রসেনজিতের কথায়, “আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। বাধ্য হয়ে মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল এবং শিক্ষামন্ত্রীর দফতরে গিয়ে চিঠি জমা দিয়ে এসেছি। যাতে তাঁরা দোষীদের শাস্তি এবং আমার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেন।” শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “আমি ও রকম কোনও চিঠি পাইনি। তবে তার সঙ্গে অন্যায় হলে, নিরাপত্তার পূর্ণ আশ্বাস আমি দিচ্ছি।”

সম্পর্ক
—নিজস্ব চিত্র
২০০৭ সাল থেকে শুরু হয়েছে কলকাতা পুলিশের জনসংযোগ কর্মসূচি ‘সম্পর্ক’। সেই কর্মসূচিতে বুধবার যাদবপুর থানায় চারটি স্কুলের ৮০ জন ছাত্রছাত্রীকে শেখানো হল থানার কাজকর্ম। বোঝানো হল এফআইআর, জেনারেল ডায়েরি কাকে বলে। দেখানো হল থানার অস্ত্রাগার, মালখানা। এ দিন উত্তর কলকাতায় এপিসি রোডের ধারে কলকাতা পুলিশের জাদুঘরটিও দেখানো হয় স্কুলপড়ুয়াদের।
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.