বেতন ও দৈনিক ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে মটর শ্রমিকদের কর্মবিরতির জেরে বহির্বাণিজ্য ব্যাহত হল পেট্রাপোলে। বুধবার থেকে শুরু হওয়া এই কর্মবিরতির জেরে বৃহস্পতিবারেও পণ্য আমদানি-রফতানি বন্ধ ছিল। পেট্রাপোল শুল্ক দফতর সূত্রের খবর, এর ফলে কেন্দ্রের প্রায় দেড় কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে।
বনগাঁর ট্রাকচালক ও খালাসিদের কয়েকটি সংগঠনের সদস্যরা বনগাঁ মটর শ্রমিক বাঁচাও কমিটি নামে এই সংগঠনটি তৈরি করেছেন। গত ২৭ মে থেকে সংগঠনটি মাসিক বেতন ও দৈনিক ভাতা বাড়ানোর দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করে। সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক প্রদীপ সাহা বলেন, “ট্রাক মালিক সমিতিগুলির তরফে প্রতি বছর আমাদের বেতন বাড়ানো হয়। কিন্তু ২০১২ সালের অক্টোবর মাস থেকে এখনও পর্যন্ত বার বার দাবি জানানো সত্ত্বেও মালিক সমিতিগুলি এ বিষয়ে উদাসীন। |
উল্টে কারা কমিশন প্রথা চালু করার কতা বলছে। যা আমাদের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে একজন ট্রাকচালক মাসে ৩ হাজার ৮০০ টাকা বেতন এবং গাড়ি চালালে একজন চালক ও খালাসি দৈনিক ৯০ টাকা করে ভাতা পান। প্রদীপবাবু বলেন, “মূল্যবৃদ্ধির কারণে আমরা দাবি করেছি চালকদের মাসিক ১০ হাজার টাকা বেতন এবং চালক ও খালাসিদের দৈনিক ভাতা ২০০ টাকা করতে হবে।” বনগাঁয় ট্রাকমালিকদের সংগঠনগুলির অন্যতম বনগাঁ মটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও সীমান্ত মালিক পরিবহণ সমিতি। ওই দুই সংগঠনের সম্পাদক দিলীপ দাস ও অশোক দেবনাথ বলেন, “৩০ মে শ্রম দফতরের তরফে এ ব্যাপারে আলোচনার জন্য ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকা হয়েছে। ওই বৈঠকের কথা শ্রমিকেরাও জানতেন। তা সত্ত্বেও ওঁরা এক তরফা ভাবে কর্মবিরতি শুরু করেছেন। শ্রমিকদের কমিশন ভিত্তিক বেতন দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল কিন্তু ওঁরা তা মানেননি।” অন্য দিকে, ট্রাকমালিকেরা জানিয়ছে, তাঁদের পক্ষে শ্রমিকদের এই দাবি মানা সম্ভব নয়। এই অবস্থায় দু’পক্ষই তাকিয়ে রয়েছে বৈঠকের দিকে। |