অসমের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিল মককচং-সহ নাগাল্যান্ডের চারটি জেলা। আগামীকাল থেকেই তা লাগু হতে পারে। আজ এমনই ঘোষণা করেছেন আও হো হো (গোষ্ঠী প্রতিনিধিবর্গ) সভাপতি সাঙ্গিউ ইয়াডেন। তিনি বলেছেন, এর জেরে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি করতে বাধ্য হলেও, অসমের রাস্তা ব্যবহার করে কোনও পণ্যই আমদানি করা হবে না। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আজ যোরহাটের জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মককচং-এর জেলাশাসক।
কয়েকটি মহলের বক্তব্য, বৃহস্পতিবার রাতের একটি ঘটনার জেরেই এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কী হয়েছিল সে দিন?
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, অসম সীমানার নাগিনীজান এলাকা থেকে নাগা-গ্রামবাসীরা দু’জন চা শ্রমিককে অপহরণ করে বলে অভিযোগ। পর দিন গুরুতর জখম অবস্থায় অপহৃতদের খোঁজ মেলে। এরপরই ক্ষুব্ধ নাগিনীজানের বাসিন্দারা নাগাল্যান্ড থেকে অসমে ঢোকা কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। নাগাল্যান্ডের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধেরও ডাক দেওয়া হয়।
অসমের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন আও উপজাতি অধ্যূষিত মককচং এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, অসম জোর করে ওই এলাকার অনেক জমি দখল করে রেখেছে। পাশাপাশি সে রাজ্যে নাগাল্যান্ডের গাড়িতে পরপর হামলায় তাঁদের ক্ষতি হচ্ছে।
এ পরিস্থিতিতে এক বৈঠকে আও উপজাতির প্রতিনিধিরা সিদ্ধান্ত নেন, আগামীকাল থেকে ডিমাপুরের জন্য প্রয়োজনীয় পণ্য ঘুরপথে কোহিমা হয়ে মককচং আনা হবে। এতে ট্রাক-প্রতি ৮ হাজার টাকা বেশি খরচ হওয়ায় নিত্যপণ্যের দামও বাড়বে।
ইয়াডেন জানান, মূল্যবৃদ্ধির সমস্যা মেনে নিলেও নাগারা সম্মানের সঙ্গে আপোসে রাজি নন।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, অসমের যোরহাট-মরিয়ানি থেকে প্রতিদিন অন্তত ৪০টি ট্রাকে মককচং, তুয়েনসাং, জুনেবটো ও লংলিং জেলায় পণ্য পরিবহণ করা হয়। আগামীকাল থেকে নাগারা ওই রাস্তায় ট্রাক চালাবেন না। অসম থেকে পাইকারি মালও কেনা হবে না। |