‘শকুন্তলা’ বা ‘ইচ্ছে’। নানা নামে সিউড়ি সদর হাসপাতালে পরিচিত ছিল মাস দু’য়েকের শিশুটি। বর্তমানে শুধু নামগুলি পরিবর্তন হয়ইনি, মায়ের সঙ্গে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গাড়িতে চেপে স্থায়ী ঠিকানা কলকাতায় রওনা দিল শামিয়ানা। মা অভিনেত্রী ও বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। গত ২৩ মার্চ দুবরাজপুর পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে একটি ঘরের বন্ধ দরজার সামনে থলিতে রাখা এক শিশুকন্যাকে পাওয়া গিয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে উদ্ধার করে দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে সিউড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। |
হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীরা ওই শিশু কন্যাকে কখনও ‘ইচ্ছে’, কখনও বা ‘শকুন্তলা’ নামে ডাকতে থাকেন। বুধবার তার স্থায়ী ঠিকানা হয় সাংসদ দত্তক নেওয়ার পরে। সাংসদের কথায়, “আমার ১০ বছরের ছেলে রয়েছে। পরিত্যক্ত এই শিশুর কথা শুনে তাকে দত্তক নিতে রাজি হয়েছিলাম। নিয়ম মেনেই তাকে দত্তক নিয়েছি।” সিউড়ি সদর হাসপাতালের প্রাক্তন সুপার তথা বর্তমানে পুরুলিয়ার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক মানবেন্দ্র ঘোষ বলেন, “শকুন্তলা স্থায়ী পরিচয় পাওয়ায় আমরা খুশি।”
দত্তক নেওয়ার ব্যাপারে পরিবারের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাংসদ। শামিয়ানাকে পেয়ে আপ্লুত বাড়ির সকলেই। তিনি বলেন, “পরানো হবে হংকং থেকে কেনা পোশাক। দিল্লি থেকে কেনা হয়েছে বিছানা ও মশারি।” সিউড়ি নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে যোগ দিতে যাওয়ার আগেই তিনি টেলিফোনে বলছিলেন, দিনের আলো থাকতে থাকতে কলকাতায় পৌঁছতে হবে। আত্মীয়-পরিজন সকলেই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আছে। |