শিয়রে পঞ্চায়েত নির্বাচন। শুরু হয়েছে এলাকা দখলের প্রতিযোগিতা। বিলে মাছ ধরা নিয়ে তৃণমূল ও সিপিএম সংঘর্ষে ৬ জন জখম হয়েছেন। তাঁরা শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। মঙ্গলবার তেহট্টের সরডাঙা এলাকায় ঘটনার পর তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তৃণমূলের দাবি, আহত সকলেই তাদের সমর্থক। দলের জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত বলেন, “আহতদের মধ্যে দু’জনের গুলি লেগেছে। ভোটের আগে সিপিএম হামলা চালিয়েছে।” অভিযোগ অস্বীকার করে তেহট্টের জোনাল কমিটির সম্পাদক সিপিএমের আজাদ আলি শেখ বলেন, “তৃণমূলই আমাদের সমর্থকদের আগে মারধর করেছে।” পুলিশ সূত্রে খবর, বিল নিয়ে উভয় দলের ঝামেলা মেটাতে দিন কয়েক আগে তেহট্টের মহকুমা শাসক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও উভয় দলের মত্স্যজীবী সমর্থকদের নিয়ে আলোচনায় বসেন। সুদীপ্তবাবু বলেন, “দুই দলের সমর্থকদের মাছ ধরার জন্য আলাদা আলাদা দিন ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। সোমবার সিপিএম সমর্থকদের মাছ ধরার কথা ছিল। কিন্তু সে দিন তারা মাছ ধরেনি। নিয়ম মতো মঙ্গলবার মাছ ধরতে নামে তৃণমূল। এ দিন সিপিএম সমর্থকরা হাজির হতেই শুরু হয় মারামারি।” পুলিশ জানায়, মোট ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে। তবে অভিযুক্তরা পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
অন্য দিকে সোমবার রাতে শাসক ও বিরোধী দলের সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়ায় কৃষ্ণগঞ্জের ভাজনঘাট এলাকায়। দু’পক্ষেরই ১০ জন সমর্থক জখম হন। প্রাথমিক চিকিত্সার পর সকলকেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। উভয় দলই অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ জানায়, গ্রামেরই এক যুবককে মারধরের ঘটনা রাজনৈতিক আকার নেয়। সিপিএমের ভাজনঘাট শাখা কমিটির সম্পাদক নাসিরুদ্দিন মণ্ডল বলেন, “রাতে এক তৃণমূল সমর্থক মদ্যপ অবস্থায় গালিগালাজ করছিল। তাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। শাসক দলের পঞ্চায়েত সদস্য ও প্রধান দলবল নিয়ে চড়াও হয়।” অভিযুক্ত ভাজনঘাট টুঙি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের প্রতাপ হালদার বলেন, “গ্রামের এক যুবককে মারছিল সিপিএমের লোকজন। পঞ্চায়েত সদস্য হোসেন মণ্ডলকে সঙ্গে নিয়ে গেলে আমাদের উপর চড়াও হয় সিপিএমের লোকজন।” |
