|
|
|
|
ভোটের রণকৌশল নিয়ে আলোচনা |
কেশপুরের নেতা, কর্মীদের নিয়ে সভা সিপিএমের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
মনোনয়ন নিয়ে তৃণমূল প্রশিক্ষণ শিবির করছে, তখন সিপিএমকে ভাবাচ্ছে কেশপুরের মতো একদা দলের দুর্ভেদ্য ঘাঁটি। কেশপুরের মতো এলাকায় সিপিএমের সংগঠন এখন নড়বড়ে। এই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কী ভাবে প্রার্থী দেওয়া হবে, রণকৌশলই বা কী হবে, সে সব নিয়েই মঙ্গলবার মেদিনীপুরে জেলা পরিষদ হলে এক সভা হয়। উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক দীপক সরকার, জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তরুণ রায়, বিধায়ক রামেশ্বর দোলুই প্রমুখ।
কেন এই সভা? জেলা সিপিএমের এক নেতার কথায়, “পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের রণকৌশল ঠিক কী হবে, তা নিয়ে দলীয় নেতা- কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করতেই সভা হয়েছে। আমরা যা আশা করেছিলাম, তার থেকেও বেশি সংখ্যক নেতা-কর্মী এসেছেন।”
দীর্ঘ দিন ধরে কেশপুর ছিল ‘লালদুর্গ’। অঞ্চলস্তরে বিরোধীদের পার্টি অফিস পর্যন্ত ছিল না। গত বিধানসভা নির্বাচনের সময়ও এখানে লাগাতার রাজনৈতিক কর্মসূচির ‘ঝুঁকি’ নেয়নি বিরোধীরা। পরিবর্তনের পর রাতারাতি পরিস্থিতি পাল্টায়। কেশপুর থেকে সিপিএম প্রার্থী জিতলেও এলাকায় প্রভাব বাড়ে তৃণমূলের। কঙ্কাল কাণ্ডে নাম জড়িয়ে সিপিএমের ‘দাপুটে’ নেতা এন্তাজ আলি, আহমেদ আলিরা এলাকা ছাড়েন। তবে এই সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যবহারের পরিবর্তে তৃণমূল জড়িয়ে পড়ে দলীয় কোন্দলে। এখনও সেই দ্বন্দ্ব চলছে। এ বার পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কেশপুরে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে সিপিএম।
সিপিএম সূত্রে খবর, আগে কেশপুরের নেতা-কর্মীদের নিয়ে ‘গোপন’ সভা কৃষক ভবন বা মেদিনীপুর জোনাল অফিসে হয়েছে। জেলা পরিষদের মতো বড় সভাগৃহে এমন সভা এই প্রথম। এখানে প্রায় দু’হাজার লোক ধরে। জেলা সিপিএমের এক নেতার কথায়, “আমরা দেখতে চেয়েছিলাম, কর্মীদের মনোবল কতটা চাঙ্গা রয়েছে। তাঁরা ভয়ভীতি কাটিয়ে সভায় আসেন কি না।”
ওই নেতাই মানছেন, সব আসনে প্রার্থী দেওয়া যাবে না। যেখানে প্রার্থী দেওয়া যাবে না, সেখানেঅন্য কৌশল নেওয়া হবে। কী সেই কৌশল? দলেরই এক সূত্র জানাচ্ছে, সে ক্ষেত্রে নির্দল প্রার্থীকে সমর্থন করা হবে। কিছু ক্ষেত্রে আবার তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ প্রার্থীকেও পরোক্ষে মদত দেওয়া হতে পারে। |
|
|
|
|
|