|
|
|
|
মনোনয়ন প্রক্রিয়া নির্ভুল করতে তৃণমূলের প্রশিক্ষণ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পঞ্চায়েত ভোটের বাদ্যি বেজেছে। শাসক-বিরোধী দু’পক্ষই এখন মনোনয়ন-পর্ব নিয়ে ব্যস্ত। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে যাতে প্রক্রিয়াগত কোনও ত্রুটি না থাকে, তা নিশ্চিত করতে দলের ব্লক নেতাদের নিয়ে এক প্রশিক্ষণ শিবির করল তৃণমূল। মঙ্গলবার মেদিনীপুর শহরের ফিল্ম সোসাইটির হলে এই শিবিরের আয়োজন করা হয়।
কেন এই শিবির? তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়ের ব্যাখ্যা, “ত্রি-স্তর পঞ্চায়েতের মনোনয়নপত্র কী ভাবে পূরণ করতে হয়, সেই অভিজ্ঞতা অনেকেরই নেই। সামান্য ভুলের জন্যও মনোনয়ন বাতিল হতে পারে। সেই ভুল যাতে না হয়, সেই জন্য এই শিবির।” জেলা সভাপতি ছাড়াও শিবিরে ছিলেন দলের দুই কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎ ঘোষ ও নির্মল ঘোষ, জেলা পরিষদের বিরোধী দলনেতা অরুণ মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। |
|
চলছে প্রশিক্ষণ শিবির।—নিজস্ব চিত্র। |
এ দিনের শিবিরে প্রশ্নোত্তর পর্বও ছিল। উপস্থিত নেতা-কর্মীরা মনোনয়ন নিয়ে নানা প্রশ্ন করেন। জেলা নেতারা উত্তর দেন। মনোনয়ন দাখিলের আগে বেশ কিছু খুঁটিনাটি বিষয়ে নজর দিতে বলা হয়। যেমন, গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থীর ক্ষেত্রে তিনি ওই পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা না-ও হতে পারেন। তবে তাঁর প্রস্তাবককে অবশ্যই ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা হতে হবে। কারা পঞ্চায়েতের প্রার্থী হতে পারেন না, পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্দেশিকা কী, এ সবও জানানো হয় শিবিরে। দলীয় সূত্রে খবর, শিবিরে প্রশ্ন ওঠে ঠিকাদাররা প্রার্থী হতে পারেন কি না। তা শুনেই তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি। চেয়ার ছেড়ে উঠে তিনি বলেন, “কোনও ঠিকাদার প্রার্থী হতে পারবেন না। আমাদের কি প্রার্থীর অভাব পড়েছে?” পরে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দীনেনবাবু বলেন, “মনোনয়নপত্র পূরণের ক্ষেত্রে সামান্য ভুলও যেন না থাকে।”
সর্বত্র যাতে শান্তিতে ভোট হয়, সে দিকেও নজর রাখতে বলা হয় শিবিরে। জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি নির্মল ঘোষ বলেন, “শেখা ও জানার মতো মানসিকতা এবং ইচ্ছে থাকা দরকার। না হলে যে কোনও সময় সমস্যায় পড়বেন। সামান্য ভুলের জন্য মনোনয়ন বাতিল হলে কিছু করার থাকবে না।” এই পরিস্থিতি এড়াতে প্রদ্যোৎবাবুর পরামর্শ, “যদি মনে হয় কিছু বুঝতে ভুল হচ্ছে, নেতৃত্বকে ফোন করবেন।” শিবির শেষে তৃণমূলের জেলা সভাপতি জানান, দলীয় প্রার্থীরা কবে মনোনয়ন জমা দেবেন, তা এখনও ঠিক হয়নি। জেলায় আলোচনার মাধ্যমের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হবে। তবে প্রার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়া অনেকটাই এগিয়েছে। |
|
|
|
|
|