|
|
|
|
কলেজে ফি বৃদ্ধি নিয়েও তৃণমূলে দ্বন্দ্ব |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ভর্তি ফি বৃদ্ধি ঘিরেও তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল। একপক্ষের বক্তব্য, ফি বৃদ্ধি করা ছাড়া উপায় নেই। অন্যপক্ষের বক্তব্য, ফি বৃদ্ধি করা উচিত হয়নি। প্রতিবাদে আন্দোলনে নামারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা। ঘটনা মেদিনীপুর কলেজের। মঙ্গলবার কলেজের পরিচালন কমিটির বৈঠক ছিল। এই বৈঠকেই ভর্তি ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হয়। জানা গিয়েছে, পরিস্থিতি দেখে কলেজের ফিনান্স কমিটি ফি বৃদ্ধির সুপারিশ করেছিল। বৈঠকে সেই প্রস্তাব পেশ করা হয়। সে ভাবে কেউই আপত্তি জানাননি। ফলে, ওই প্রস্তাব অনুমোদন হয়। মেদিনীপুর কলেজের ছাত্র সংসদ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দখলে। আবার কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি প্রণব বসুও তৃণমূল নেতা, মেদিনীপুরের পুরপ্রধান।
এই অবস্থায় তৃণমূলের অন্দরে ফি বৃদ্ধির বিরুদ্ধে প্রতিবাদী স্বর ওঠায় বিস্মিত শিক্ষক মহলের একাংশ। তাদের বক্তব্য, প্রতিবাদ করার থাকলে পরিচালন কমিটির বৈঠকেই করা যেত। তা না করে বাইরে কেন? জানা গিয়েছে, ভর্তি ফি নূন্যতম ৪৬০ টাকা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এই ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। টিএমসিপির জেলা সভাপতি রমাপ্রসাদ গিরির বক্তব্য, “আমরা এই ফি বৃদ্ধি মানব না। আন্দোলন হবে।” কলেজের পরিচালন কমিটির সভাপতিই তো তৃণমূলের নেতা, আবার পরিচালন কমিটিতে ছাত্র প্রতিনিধি রয়েছেন, তিনিও টিএমসিপির নেতা, তাহলে কেন বৈঠকে ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদ হল না? প্রশ্নের সদুত্তর মেলেনি টিএমসিপির জেলা সভাপতির কাছে। অন্যদিকে, পরিচালন কমিটির সভাপতি প্রণববাবু বলেন, “ফিনান্স কমিটি ফি বৃদ্ধির সুপারিশ করেছিল। বৈঠকে তা অনুমোদন হয়। ছাত্র প্রতিনিধিও ছিলেন। ওই সুপারিশের বিরুদ্ধে তেমন আপত্তি ওঠেনি।” কলেজের অধ্যক্ষ সুধীন্দ্রনাথ বাগের বক্তব্য, বাধ্য হয়েই ফি বৃদ্ধি করতে হয়েছে। কেমন? তাঁর কথায়, “টিউশন ফির ৫০ শতাংশ টাকা রাজ্য সরকারকে দিতে হবে। সরকারই এই নির্দেশ দিয়েছে। তাহলে কলেজে যাঁরা অতিথি অধ্যাপক রয়েছেন, তাঁদের মাইনে দেব কী করে? শুধু তো এটাই নয়, বিদ্যুতের খরচ রয়েছে। কলেজের দেখভালের খরচ রয়েছে।” এদিকে, কলেজের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলোও। ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি মহম্মদ সইফুল বলেন, “টিএমসিপি নাটক করছে। ছাত্র সংসদ ওদের দখলে। সংসদের প্রতিনিধিও তো পরিচালন কমিটিতে রয়েছে। বৈঠকে ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদ করল না কেন? ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে আমরা আন্দোলনে নামব।” এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক সৌগত পন্ডার বক্তব্য, “কোনও অন্যায্যা দাবি মানব না। ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে ছাত্রছাত্রীদের নিয়েই আন্দোলন হবে। কলেজের এমন সিদ্ধান্তের ফলে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা সমস্যায় পড়বেন।” |
|
|
|
|
|