টুকরো খবর |
তৃণমূল কর্মীকে মারধরে গ্রেফতার সিপিএমের ১০
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
তৃণমূলের দুই কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল সিপিএমের বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে চন্দ্রকোনা থানার করঞ্জি গ্রামের ওই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনায় আহত দুই তৃণমূল কর্মীকে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। মারধরের অভিযোগে দশ সিপিএম সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এলাকায় পুলিশি টহল চলছে। ধৃতদের মঙ্গলবার ঘাটাল আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ১৪ দিন জেল হাজতের নির্দেশ দেন। তৃণমূলের চন্দ্রকোনা ১ ব্লকের সভাপতি চিত্ত পাল অবশ্য বলেন, “আমাদের কর্মীরা ওই গ্রামের এক চা দোকানে বসে গল্প করছিলেন। আচমকা সিপিএমের লোকেরা টাঙ্গি, লোহার রড নিয়ে চড়াও হয়। হামলায় দলের দুই কর্মী গুরুতর জখম হন।” অভিযোগ অস্বীকার করে সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য গুরুপদ দত্ত বলেন, “তৃণমূলের লোকেরা প্রথমে দলীয় কর্মীদের মারধর করে। এতে আমাদের তিন জন আহত হন। তখন আমাদের কর্মীরাও ওদের উপর চড়াও হন।অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার অভিযোগ মিথ্যে।”
|
কামারশালার বাইরে ইঞ্জিনিয়ারের দৌড়
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
|
শুভেন্দু রানা। |
পড়াশোনার ফাঁকে বাবার সঙ্গে কামারশালায় লোহা পেটাত ছেলেটি। তারপরেও প্রতি বছর প্রথম হত স্কুলে। কোলাঘাট বাজার লাগোয়া বাড়বড়িষা গ্রামের শুভেন্দু রানার রেজাল্ট যে ভাল হবে তা নিয়ে কোনও সংশয় ছিল না কোলাঘাট ইউনিয়ন হাইস্কুলের শিক্ষকদের। আন্দাজ সত্যি করে এ বার মাধ্যমিকে শুভেন্দু পেয়েছে ৬৬৭। বাংলায় ৯১, ইংরাজিতে ৯০, অঙ্কে ৯৯, ভৌতবিজ্ঞানে ১০০, জীবনবিজ্ঞানে ৯৮, ইতিহাসে ৯৭, ভূগোলে ৯২ নম্বর পেয়ে জেলার মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে সে। কিন্তু পরিবারের আর্থিক অবস্থা উচ্চশিক্ষার পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুভেন্দুর বাবা শ্যামলবাবু বলেন, “আর্থিক কারণেই অঙ্ক আর ইংরাজি ছাড়া কোনও বিষয়ে গৃহশিক্ষক দেওয়া যায়নি। নানা সমস্যার মধ্যে যেটুকু পেয়েছে, তাতে আমরা খুব খুশি।” শুভেন্দুর ইচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিকের পর ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করার। স্কুলের বই পড়ার পাশাপাশি মহাপুরুষদের জীবনকথা ও গোয়েন্দা গল্পের ভক্ত শুভেন্দু। বলে, “অঙ্কে ১০০ নম্বর হাতছাড়া হওয়ায় কিছুটা আফশোস হচ্ছে। সামনে ফের উচ্চ মাধ্যমিক। ফের একবার চেষ্টা করব।”
|
আরও আশায় ছিল বিবর্তন
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
টেস্টে ৬৭০ পেয়েছিল। মাধ্যমিকে তার থেকে ৬ নম্বর কম পেয়ে মন ভাল নেই ঘাটাল বিদ্যাসাগর হাইস্কুলের ছাত্র বিবর্তন গুছাইতের। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৬৪। বিবর্তনের কথায়, “আশা ছিল অন্তত ৬৭০ পাবই। কিন্তু এত কম নম্বর দেখে হতাশ লাগছে।” পরে বাবা-মা ও স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা বোঝানোর পর মুখে হাসি ফেরে বিবর্তনের। বাংলায় ৯১, ইংরেজিতে ৯৫, অঙ্কে ৯৯, পদার্থবিজ্ঞানে ১০০, জীববিজ্ঞানে ৯৭, ইতিহাসে ৮৪ ও ভূগোলে ৯৮ পেয়েছে সে। বাবা অসীম দাস স্কুলের শিক্ষক। মা সবিতাদেবী জানান, ক্লাসে প্রথম হওয়া বিবর্তনের অঙ্ক ছাড়া সব বিষয়েই গৃহশিক্ষক ছিল। কম্পিউটারে খেলার পাশাপাশি গোয়েন্দা কাহিনি পড়ে কাটে অবসর সময়। বিবর্তন জানায়, ইঞ্জিনিয়ার হয়ে চায় সে।
|
ফল ভাল হবে জানত গার্গী
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
খড়ার বালিকা বিদ্যালয়ের গার্গী দাস এ বার ঘাটাল মহকুমায় মেয়েদের মধ্যে অন্যতম কৃতী। প্রাপ্ত নম্বর ৬৫৯। বাংলায় ৯২, ইংরাজিতে ৮২, ইতিহাসে ৯১, ভূগোলে ৯৮, পদার্থবিজ্ঞানে ৯৯, জীববিজ্ঞানে ৯৭ ও অঙ্কে ১০০ পেয়েছে। টেস্টে নম্বর ছিল ৬২৪। রেজাল্ট যে আরও ভাল হবে তা জানাই ছিল গার্গীর। আন্দাজ মিলে যাওয়ায় খুশি গার্গী বলে, “বাবা-মা ও শিক্ষকদের চেষ্টায় এত ভাল ফল করতে পেরেছি।” আমির খানের ভক্ত গার্গী। বাবা গৌতম দাস পেশায় শিক্ষক। মা বৃন্দাদেবী জানান, তাঁদের একমাত্র সন্তান ভবিয্যতে চিকিৎসক হতে চায়। এ দিন সকাল এগারোটায় ফল জানাজানি হওয়ার পর থেকেই বাড়িতে আত্মীয়-বন্ধুদের ভিড়। খুশি পাড়ার লোকও। আপ্লুত সহপাঠী থেকে স্কুলের শিক্ষিকারও।
|
পড়িয়ে পড়ে কৃতী তনিমা
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
পড়ার খরচ তুলতে টিউশন। তারপর ভাইবোনদের পড়ানো। তারপরে নিজের পড়া পড়ে এগরার শীপুর কেশবেশ্বর হাইস্কুলের ছাত্রী তনিমা সেনাপতির মাধ্যমিকে প্রাপ্ত নম্বর ৬১২। বিষয়ভিত্তিক নম্বরবাংলা ৯০, ইংরাজি ৮২, অঙ্ক ৯৫, ভৌত বিজ্ঞান ৯৭, জীবনবিজ্ঞান ৮৫, ইতিহাস ৮৩, ভূগোল ৮০। বাড়ি স্থানীয় শুনিয়া গ্রামে। তনিমার ইচ্ছা চিকিৎসক হওয়ার। বাবা গৌরহরি সেনাপতি আশেপাশের গ্রামে গ্রামে ঘুরে ধান, চাল, তেঁতুল ইত্যাদি সংগ্রহ করে হাটে বিক্রি করেন। গৌরহরিবাবুর কথায়, “যা রোজগার করি তাতে সংসারই ভাল ভাবে চলে না, তার উপর পড়াশুনোর খরচ। সাহায্য না পেলে বাইরে রেখে পড়ানো অসম্ভব।” প্রধান শিক্ষক জগবন্ধু কর বলেন, “তনিমা অত্যন্ত মেধাবী। সাহায্য পেলে স্বপ্নপূরণ করার মেধা ওর আছে।”
|
চাষের ফাঁকে পড়ে প্রশান্ত
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
বাবা রিকশা চালান। মা চলাফেরা করতে পারেন না। তাই পড়ার ফাঁকে মাঠের চাষবাস ও সংসারের কাজকর্ম সামলাতে হত। বা বলা ভাল কাজের ফাঁকে পড়াশোনার সময় বার করতে হত। এগরার ছত্রি বিবেকানন্দ বিদ্যাভবন স্কুলের প্রশান্ত গিরির মাধ্যমিকে ৬২৫ নম্বর পাওয়াটা তাই আশ্চর্য বইকি। বিষয়ভিত্তিক নম্বর বাংলা ৮১, ইংরাজি ৮০, অঙ্ক ৯৫, ভৌত বিজ্ঞান ৯৮, জীবনবিজ্ঞান ৯৬, ইতিহাস ৯০, ভূগোল ৮৫। স্থানীয় সাননিহারী গ্রামে বাঁশের বেড়া দেওয়া এক কামরার বাড়ি। প্রশান্তর দাদা সুশান্ত অর্থাভাবে পড়াশুনো ছেড়ে দিনমজুরি করে। প্রশান্তর স্বপ্ন ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার। স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রদীপকুমার দাশের কথায়, “আর্থিক সাহায্য পেলে ভবিষ্যতে প্রশান্তর আরও উন্নতি হবে।”
|
সর্বদলে গরহাজির তৃণমূল
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি ছাড়াই হলদিয়া মহকুমায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের বৈঠক হয়ে গেল মঙ্গলবার। হলদিয়ার মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে ডাকা এই সর্বদল বৈঠকে মূলত নির্বাচনী বিধি সম্পর্কে প্রতিটি দলকে জানানো হয়। এ ছাড়াও মনোনয়নপত্র জমা, সংশোধন ও প্রত্যাহারের খুঁটিনাটি নিয়ে আলোচনা হয় বৈঠকে। বৈঠকে আমন্ত্রণ জানিয়ে সমস্ত রাজনৈতিক সংগঠনকেই চিঠি দিয়েছিলেন মহকুমাশাসক। বামেদের তরফে প্রাক্তন বিধায়ক নিত্যানন্দ বেরা, কংগ্রেসের শহর সভাপতি নরেন পাত্র ও বিজেপির জেলা নেতা শ্যামল চক্রবর্তী-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৭ জন প্রতিনিধি উপস্থিত থাকলেও তৃণমূলের তরফে কেউ আসেননি। মহকুমাশাসক শঙ্কর নস্কর বলেন, “আমি সব দলকেই চিঠি পাঠিয়েছিলাম। তৃণমূলের কোনও প্রতিনিধি কেন আসেননি জানি না।” যদিও এলাকার তৃণমূলের পঞ্চায়েত নির্বাচনী আহ্বায়ক তথা প্রাক্তন বিধায়ক তুষার মণ্ডলের দাবি, “আমরা মহকুমাশাসককের তরফে কোনও চিঠি পাইনি। তাই এ দিনের ভোট সংক্রান্ত সর্বদল বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারিনি।” |
দুর্ঘটনায় মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল প্রাথমিক শিক্ষকের। সোমবার রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ছাই খাদানের কাছে ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কে। মৃতের নাম আসানুল মুকিম (২৭)। বাড়ি মেচেদা সংলগ্ন শান্তিপুর গ্রামে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, পেশায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আসানুর এ দিন পাঁশকুড়ার মেচগ্রামে প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষণ কেন্দ্রের প্রশিক্ষণ ক্লাস শেষে মোটর বাইকে বাড়ি ফিরছিলেন। জাতীয় সড়ক ধরে মেচেদার দিকে ফেরার সময় রাত সাড়ে ৮ টা নাগাদ কোলাঘাট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ছাই খাদানের কাছে একটি লরি তাঁর মোটর বাইকের পিছনে ধাক্কা মারলে ছিটকে রাস্তায় পড়ে যান আসানুল।
|
লরির ধাক্কায় মৃত্যু যুবকের
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে এক মোটর বাইক আরোহীর। মঙ্গলবার দুপুরে দুর্ঘটনাটি ঘটে কোলাঘাটের বরদাবাড়ের কাছে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে। আহত হয়েছেন সঙ্গী আরও দু’জন। মৃতের নাম শেখ সামিদুল (৩২)। আহত শেখ মহিত, শেখ আনোয়ারকে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের সকলেরই বাড়ি স্থানীয় সাগরবাড় গ্রামে, পেশায় রাজমিস্ত্রি। এদিন দুপুরে একটি মোটর সাইকেলে চেপে সামিদুল-সহ তিন জন ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে কোলাঘাটের দিকে আসছিলেন। দুপুর ১টা নাগাদ বড়দাবাড়ের কাছে একই দিকে আসা একটি ছোট লরির সঙ্গে মোটর বাইকের ধাক্কা লাগে। তিন জনই রাস্তায় ছিটকে পড়েন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার করে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে শেখ সামিদুলের মৃত্যু হয়।
|
দুর্ঘটনায় মৃত্যু ছাত্রের
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক স্কুল ছাত্রের। মঙ্গলবার কোলাঘাটের কাছে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে ওই দুর্ঘটনাটি ঘটে। মৃতের নাম স্বপন মাইতি (১৫)। বাড়ি স্থানীয় মেসেড়া গ্রামে। স্বপন দেউলিয়া হীরারাম উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। রাস্তা পার হওয়ার সময় হাওড়া থেকে খড়্গপুরগামী একটি লরি তাকে ধাক্কা মারলে ঘটনাস্থলেই স্বপনের মৃত্যু হয়। লরিটিকে ধরা যায় নি। |
|