|
|
|
|
লামডিং-শিলচর ব্রডগেজ প্রকল্প,
দ্রুত কাজ শেষের নির্দেশ কোর্টের
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর |
লামডিং-শিলচর ২০১ কিলোমিটার দীর্ঘ ব্রডগেজ প্রকল্পের কাজ ১৭ বছরেও শেষ না হওয়ায় অসন্তোষ ব্যক্ত করল গৌহাটি হাইকোর্ট। সম্প্রতি এই সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলার হলফনামায় উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল অর্থাভাবকেই দেরির প্রধান কারণ বলে উল্লেখ করে। ডিভিশন বেঞ্চ সেই যুক্তি খারিজ করেছে।
গৌহাটি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এ কে গোয়েল এবং বিচারপতি এ কে গোস্বামী তাঁদের অন্তর্বর্তী রায়ে বলেন, ২০০৪ সালে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী প্রকল্পটিকে ‘জাতীয় প্রকল্প’ হিসেবে ঘোষণা করেন। তখনই তিনি জানান, এই প্রকল্পের জন্য বাজেটেই প্রয়োজনীয় অর্থের বরাদ্দ করা হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রকের মধ্যে সমন্বয় ঘটিয়ে দ্রুত প্রকল্পটি শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। ২৫ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি।
গত ফেব্রুয়ারিতে জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করেন সিটিজেনস ফোরামের দুই কর্মকর্তা, ধ্রুবকুমার সাহা ও শ্যামলকান্তি দেব। হাইকোর্ট মামলাটি গ্রহণ করে রেল কর্তৃপক্ষকে ৮ মে-র মধ্যে প্রকল্পটির অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করতে বলে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার রাজুকুমার দাস আদালতে হলফনামা পেশ করে জানান, জাতীয় প্রকল্প ঘোষণার আগে অর্থাভাবে কাজ একেবারেই এগোয়নি। পরে উগ্রপন্থী সমস্যা প্রকল্পের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। বন বিভাগের ছাড়পত্র পাওয়া যায়নি। অর্থ ও বন বিভাগের ছাড়পত্র পেয়ে গেলে ২০১৫ সালের মার্চে এই রুটে ব্রডগেজ ট্রেন চালানোর ব্যাপারে আশাবাদী রেল।
প্রধান বিচারপতি গোয়েল ও বিচারপতি গোস্বামী এই সব ‘যদি-কিন্তু’র কথাবার্তা খারিজ করে দেন। তাঁরা বলেন, টাকা কোথা থেকে আসবে, ছাড়পত্র কে কাকে দেবেএ সব সরকারের ব্যাপার। সে জন্য সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার হতে পারে না। কেন্দ্রের উচিত লামডিং-শিলচর ব্রডগেজ প্রকল্পটির কাজ দ্রুত শেষ করা। |
|
|
|
|
|