|
|
|
|
বন্ধ কারখানার জমিতে নতুন শিল্প
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
লোকসানে বন্ধ কারখানার জমি ফেরত নিয়ে তা রাজ্যে বিনিয়োগে আগ্রহী শিল্পপতিদের হাতে তুলে দিতে চায় বিহার সরকার।
নতুন শিল্পের জন্য জমির খোঁজে এমনই ছক কষেছে রাজ্যের শিল্প দফতর। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ‘এক্সিট পলিসি’ নামে ওই পরিকল্পনা দ্রুত পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হবে। সে সবের তদারকি করবে ‘বিহার শিল্প উন্নয়ন বিভাগ’। ওই বিভাগের কর্তারা জানিয়েছেন, শিল্পের জন্য জমি চেয়ে প্রচুর আবেদন তাঁদের কাছে জমা পড়ছে। কিন্তু চাহিদামতো জমির জোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সে কারণেই বন্ধ কারখানার জমি ফেরতের পরিকল্পনা করা হয়েছে। শিল্প দফতর সূত্রের খবর, এ ক্ষেত্রে কোনও বিতর্ক যাতে দানা বাঁধতে না-পারে তা নিয়ে বাড়তি সতর্ক সরকার।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, শিল্প গড়তে সরকারের কাছ থেকে ৯০ বছরের লিজে জমি নিয়েছিলেন অনেক বিনিয়োগকারীই। সে সবের মধ্যে কয়েকটি ক্রমাগত লোকসানের জেরে বন্ধ হয়ে যায়। শিল্প দফতরের হিসেব অনুযায়ী, এই মুহূর্তে বন্ধ কারখানার সংখ্যা প্রায় ৪৫০টি। অব্যবহৃত অবস্থায় দেড়শো একর জমি পড়ে রয়েছে।
শিল্প দফতর জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে সাতটি ‘শিল্প জোন’ তৈরি করতে চায় রাজ্য। তাই ‘এক্সিট পলিসি’ চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যে সব বন্ধ কারখানার জমি সরকার ফেরত নেবে তাদের ক্ষতিপূরণের কথাও ওই নীতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। সরকারি সূত্রের খবর, কোনও বিনিয়োগকারী ২০০৬ সালে জমি নিয়ে দু’বছর পর কারখানা বন্ধ করে দিয়ে থাকলে, ওই দু’বছরের লিজের মাসুলই সরকারকে দিতে হবে। লিজের বাকি সময়ের টাকা বন্ধ কারখানার মালিককে ফেরত দেবে সরকার।
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে শিল্প পার্ক গড়ে তুলতেও আগ্রহী বিহার প্রশাসন। শিল্পের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ গড়তে ‘আও বিহার’ প্রকল্পকেও সক্রিয় করে তোলার পরিকল্পনা হয়েছে। ওই প্রকল্পে ইচ্ছুক জমিদাতাদের নামের তালিকা তৈরি করা হবে। শিল্পের জন্য অনুকূল জমির খোঁজও চলবে সমানতালে। প্রশাসনের কর্তাদের বক্তব্য, বর্তমান পরিস্থিতিতে বন্ধ কারখানার জমি পুনরুদ্ধার করা হলে বিনিয়োগকারীরা বুঝতে পারবেন, কারখানা না-চললে জমি ফিরিয়েও নিতে পারে রাজ্য সরকার। |
|
|
|
|
|