জেঠমলানীকে তাড়াল বিজেপি
কের পর এক ঘটনায় দলের নেতৃত্বকে চটিয়ে তুলেছিলেন তিনি নিজেই। এর প্রতিক্রিয়ায় যেটা অনিবার্য হয়ে উঠেছিল, সেটাই এ বার সেরে ফেলল দল। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে রাম জেঠমলানীকে ছ’বছরের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করল বিজেপি।
এত দিন নরেন্দ্র মোদীর সমর্থন পেয়ে এসেছেন জেঠমলানী। গত কাল বিজেপি সংসদীয় দলের বৈঠকে তাঁকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় মোদীর অনুপস্থিতিতে। সাংসদ অনন্তকুমার আজ সেই সিদ্ধান্তের কথা চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেন। এ দিন রাত পর্যন্ত নিজের বহিষ্কার নিয়ে মুখ খোলেননি জেঠমলানী। তবে বিজেপি নেতৃত্বকে বেকায়দায় ফেলতে এ বার তিনি সংসদের ভিতরে বা বাইরে কোন প্যাঁচ কষবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েছে দলের অন্দরে। কারণ, দল তাঁকে বহিষ্কার করায় এখন তিনি দলহীন সাংসদ হিসেবে রাজ্যসভায় থেকে যেতে পারবেন। গত নভেম্বরে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ জেঠমলানীকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করেছিল বিজেপি।
সে সময়ে দলের তৎকালীন সভাপতি নিতিন গডকড়ীর পুনর্নির্বাচনের বিরোধিতায় সরব হয়েছিলেন তিনি। তাঁর বক্তব্য ছিল, দুর্নীতিতে অভিযুক্ত গডকড়ীকে দ্বিতীয় বারের জন্য সভাপতি করলে আখেরে দলের ভাবমূর্তি খারাপ হবে। দলবিরোধী মন্তব্য করা সত্ত্বেও সে সময়ে তাঁর সমর্থনে এগিয়ে আসেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী মোদী-সহ একাধিক নেতা। বিজেপি-র রাজ্যসভা নেতা অরুণ জেটলি প্রথম থেকেই জেঠমলানীর বহিষ্কারের পক্ষে থাকলেও দলের একটি বড় অংশের সমর্থনে সে যাত্রা বেঁচে যান তিনি। এমনকী, লালকৃষ্ণ আডবাণীর বাড়িতে একটি বৈঠকে রফাও হয় যে, চলতি বছরের শুরুতেই জেঠমলানীর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে দল।
কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত রূপায়িত হওয়ার আগেই ফের বিতর্ক বাধিয়ে বসেন জেঠমলানী।
গত ফেব্রুয়ারিতে দল সিবিআই প্রধান হিসাবে রঞ্জিৎ সিন্হার নিয়োগের বিরোধিতা করলেও প্রকাশ্যেই উল্টো অবস্থান জানান তিনি। লোকসভার বিরোধী নেত্রী সুষমা স্বরাজ ও রাজ্যসভার বিরোধী নেতা জেটলি তো বটেই দলের অধিকাংশ নেতাই জেঠমলানীর ওই কাজ ভাল ভাবে নেননি।
এর পর সংসদের বাজেট অধিবেশনের সময়ই নিজের বহিষ্কার প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেন তিনি।” গত মাসে বিনা আমন্ত্রণেই ঢুকে পড়েন দলের সংসদীয় বৈঠকে। বৈঠকে হাজির নেতাদের উদ্দেশে প্রশ্ন ছোড়েন, কেন তাঁর বরখাস্তের বিষয়টি এত দিন ধরে ঝুলিয়ে রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি, অভিযোগ করেন, বহু দুর্নীতিতে অভিযুক্ত কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সে ভাবে আক্রমণাত্মক না হয়ে বিজেপি নেতৃত্বই আখেরে কংগ্রেসকে সুবিধা করে দিচ্ছে। বিজেপি-র এক নেতার কথায়, “ওই ঘটনার পরে জেঠমালানীর দল থেকে বহিষ্কার হওয়া ছিল কার্যত সময়ের অপেক্ষা।”
গত কাল বিজেপি সংসদীয় দল বৈঠকে বসেছিল ছত্তীসগঢ়ের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য। নরেন্দ্র মোদী ও নিতিন গডকড়ীর অনুপস্থিতিতে ওই বৈঠকে জৈঠমলানীকে বহিষ্কারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় দল।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.