|
|
|
|
রাজ্যপালের দিকেই আঙুল তুলল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
অবশেষে ধরা দিলেন চন্দ্রমোহন ঝা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকর্তা মনজিৎ কউর। শিলং সিজেএম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন মনজিৎদেবী। তবে, আদালত আগামীকাল এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। সিআইডি তদন্ত শুরু হওয়ার দিন থেকেই, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকর্তা মনজিৎদেবী নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু, লুকিয়ে থাকলে সমস্যা বাড়বে বোঝার পরেই গতকাল তিনি আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নেন। আপাতত আদালত তাঁকে ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ভুয়ো পিএইচডি ডিগ্রি ‘বিক্রি’ করার অভিযোগে বন্ধ হওয়ার মুখে মেঘালয়ের চন্দ্রমোহন ঝা বিশ্ববিদ্যালয়। রাজ্যপালের নির্দেশে ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার, ডেপুটি রেজিস্ট্রারকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। খোদ মালিক, আচার্য তথা সিএমজে ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চন্দ্রমোহন ঝায়ের নামেও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গত কাল গুয়াহাটিতে সাংবাদিক সম্মেলন করে সিএমজে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনি উপদেষ্টা এস পি শর্মা দাবি করলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কাউকে বেআইনি পিএইচডি ডিগ্রি দেয়নি। উল্টে, তাঁর অভিযোগ, “রাজ্যপাল রঞ্জিৎ শেখর মুশাহারি কোনও ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকেই এমনটা করছেন।”
এই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে মেঘালয় ও অসমের অন্তত ৪৩০ জন ছাত্র, শিক্ষককে বেআইনি পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ভিজিটর’, মেঘালয়ের রাজ্যপাল নিজেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। অসমের বহু শিক্ষক-অধ্যাপক এই ঘটনায় জড়িত বলে অভিযোগ ওঠায় রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মাও তদন্তের নির্দেশ দেন। মেঘালয়ের মুখ্যসচিব আর এস রাও অবশ্য জানান, সিজেএম বিশ্ববিদ্যালয় ইউজিসি-র নিয়ম মানেনি। ১৯ জন ছাত্রছাত্রীকে এ ভাবে বাইরের ডিগ্রিও দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বেনিয়ম ও বেআইনি কার্যকলাপ থেকে পরিষ্কার, এখানে প্রশাসনিক পরিকাঠামো একেবারেই ভেঙে পড়েছে। এমনটা চললে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে।
রাজ্যপাল নির্দেশ দিয়েছেন, যে সব ছাত্রছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নাম প্রত্যাহার করতে চায়, ১৫ দিনের মধ্যে তাদের কাছ থেকে নেওয়া সব টাকা ফেরত দিতে হবে। শর্মা বলেন, “রাজ্যপাল যে গতিতে ব্যবস্থা নিচ্ছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ পাঠাচ্ছেন, ভবন সিল করা হচ্ছে, তা স্বাভাবিক নয়। এখন অবধি ইউজিসি-র তরফে আমাদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ তোলা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় নিজে যে পিএইচডি ডিগ্রি দিয়েছে তা নিয়ম মেনেই দেওয়া হয়েছে। রাজ্যপাল কোনও তদন্ত ছাড়াই, নিজের নির্দেশের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।” |
|
|
|
|
|