মাঠপুকুর-কাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলর শম্ভুনাথ কাও-সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে চার্জশিট দিল পুলিশ। ২০ মার্চ মাঠপুকুরে খুন হন অধীর মাইতি নামে তৃণমূলের এক কর্মী। অভিযোগ ওঠে, ওই ঘটনায় যুক্ত শম্ভুনাথ কাও। পরে অধীরবাবুর বাড়ি যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশেই শম্ভুনাথ গ্রেফতার হয়।
পুলিশ জানায়, ৬৮ দিনের মাথায় চার্জশিট পেশ হল। এতে তিন অভিযুক্তকে ফেরার দেখানো হয়েছে। তাঁদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আদেশ বহাল রেখেছে আদালত। বাকি যে ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হল, তাঁরা জেল হাজতে। এ দিন তাঁদের আলিপুরে মুখ্য বিচার-বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট উমেশ সিংহের আদালতে হাজির করা হয়। জামিনের আবেদন অগ্রাহ্য করে ৩ জুন পর্যন্ত তাঁদের জেল হেফাজত দেয় আদালত।
চার্জশিটে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে হত্যা, হত্যার চেষ্টা, সশস্ত্র হাঙ্গামা, বেআইনি জমায়েত ইত্যাদি অভিযোগ আনা হয়েছে। কিন্তু ময়না-তদন্তের রিপোর্ট ও টিআই প্যারেডের রিপোর্ট নেই। তা দেখে কাওয়ের আইনজীবী মনোজকুমার ঘোষ ও মৌসুমী দাস ওই চার্জশিটকে চ্যালেঞ্জ করে বলেন, “অসম্পূর্ণ এই চার্জশিট যেন গ্রহণ করা না হয়।” আদালত অবশ্য ওই চার্জশিটই গ্রহণ করে। বিচারক অবিলম্বে সেটি সংশোধন করে পূর্ণাঙ্গ চার্জশিট দিতে বলেন। নির্দেশ পেয়ে তদন্তকারী অফিসার আদালতেই চার্জশিট সংশোধন শুরু করেন।
অভিযুক্তদের আইনজীবীরা প্রশ্ন তোলেন, চার্জশিট পেশ করা মানেই তদন্ত শেষ। এই অবস্থায় অভিযুক্তদের জামিনে ছাড়তে আপত্তি কোথায়? তা ছাড়া শম্ভুনাথ কাও এক জন কাউন্সিলর। তাঁর পালানোর সম্ভাবনা নেই। সরকারি আইনজীবী সুধাংশু দত্ত কাও-সহ ৭ জনের জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে বলেন, “চার্জশিট দেওয়া হয়ে গিয়েছে। ফলে অভিযুক্তদের জামিনের প্রশ্নই ওঠে না। অভিযুক্তেরা প্রভাবশালী ব্যক্তি। জামিন পেলে সাক্ষ্য-প্রমাণ কারচুপির আশঙ্কা আছে।”
|
বেলেঘাটার একটি রঙের কারখানায় রক্ষীর মৃতদেহ পাওয়া গেল। পুলিশ জানায়, নিহতের নাম সাধন সরকার (৬৫)। তাঁর গলায় ক্ষত আছে। কে বা কারা কেন তাঁকে খুন করল, জানা যায়নি। সাধন বস্তিতে থাকতেন। দিনে কাগজ কুড়োতেন। রাতে রক্ষীর কাজ করতেন। মঙ্গলবার রাতে তাঁর স্ত্রী-মেয়ে খাবার দিতে গিয়ে তাঁকে কারখানার একটি ঘরে পড়ে থাকতে দেখেন।
|