ডিভান থেকে টাকা লুঠ
ডিভানের ভিতরে তোষক-বালিশের সঙ্গে বালিশের ওয়াড়ে টাকা-সোনার গয়না রেখেছিলেন দমদম পার্কের রীতা বসু। সোমবার জানলার গ্রিল কেটে তা নিয়ে পালাল দুষ্কৃতীরা। রীতাদেবীর অভিযোগ, লক্ষাধিক টাকা ও কয়েক ভরি সোনার গয়না চুরি গিয়েছে। ল্যাপটপ, মোবাইল বা অন্যান্য দামি জিনিসে হাত পড়েনি।
স্বামীর মৃত্যুর পরে গত ছ’বছর ধরে দমদম পার্কের চার নম্বর ট্যাঙ্কের কাছে একটি বহুতলের দোতলায় ছেলের সঙ্গে থাকেন রীতাদেবী। রেলে চাকরি করেন তিনি। ছেলে তন্ময় ইঞ্জিনিয়ার। তন্ময় জানান, যে ঘরে চুরি হয়, সেখানেই তিনি রাত পর্যন্ত কাজ করেছেন। তিনি বলেন, “কাজ শেষে মায়ের ঘরে গিয়ে শুই। সকালে দেখি, ডিভানের ভিতর লণ্ডভণ্ড। বালিশের ওয়াড়ের ভিতরে প্লাস্টিকের প্যাকেটে রাখা টাকা-গয়না নেই।”
রাতের আঁধারে বাড়ির গ্রিল কেটে ঢুকে টাকা-গয়না চুরি দমদম পার্কে
রীতাদেবীর ফ্ল্যাটে গিয়ে দেখা যায়, যে ঘরে চুরি হয়েছে সেখানকার জানলার লোহার গ্রিল এমন ভাবে কাটা যে এক জন কোনও মতে বাইরে থেকে ভিতরে ঢুকতে পারবেন। পুলিশের অনুমান, জানলার নীচে কার্নিশে দাঁড়িয়েই দুষ্কৃতীরা গ্রিল কেটেছে। পুলিশ জানায়, ওই ডিভানে রাখা লোহার ট্রাঙ্ক এবং আলমারিতে হাত দেয়নি দুষ্কৃতীরা।
মঙ্গলবার ঘটনাটির তদন্ত শুরু করে বিধাননগর কমিশনারেট। সোনার গয়না বাড়িতে কেন রেখেছিলেন? রীতাদেবী বলেন, “বহু দিন ধরেই বালিশের ওয়াড়ের ভিতরে গয়না থাকে। কখনও কিছু হয়নি। তাই লকারে রাখার কথা মনে হয়নি।” প্রশ্ন উঠেছে, ডিভানে বালিশের ওয়াড়ে যে সোনার গয়না আছে তা কী দুষ্কৃতীরা জানত? বিধাননগরের এসিপি প্রবীর রায় বলেন, “খতিয়ে দেখছি। রীতাদেবীর পরিচিতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”
রীতাদেবীর ফ্ল্যাটটি রাস্তার ধারেই। কিছু দূরেই পুলিশ ফাঁড়ি। প্রশ্ন উঠেছে এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত কয়েক মাসে দমদম পার্কের ফ্ল্যাটগুলিতে চুরি হচ্ছে। পুলিশে অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি। যদিও পুলিশের দাবি, কমিশনারেট হওয়ার পরে এলাকায় চুরির সংখ্যা কমেছে। কয়েকটির কিনারাও হয়েছে।
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.