সিবিএসই-র দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় বাণিজ্য বিভাগে ভাল ফল করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে দুর্গাপুরের হেমশিলা মডেল স্কুলের পড়ুয়া স্বপ্ননীল নাথ। ৯৬.৮ শতাংশ নম্বর পেয়েছে সে। শিল্পাঞ্চল তো বটেই, জেলাতেও বাণিজ্য বিভাগে এত ভাল ফলের খবর আর মেলেনি। তবে বাণিজ্য বিভাগে তার কাছাকাছি নম্বর পেয়েছে ডিএভি মডেল স্কুলের পড়ুয়া নিখিল পারশরামকা। তার প্রাপ্ত নম্বর ৯৬.২ শতাংশ।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই স্কুল থেকে এ বার বাণিজ্য বিভাগে ৫১ জন পরীক্ষায় বসেছিল। তার মধ্যে ৪ জন ৯০ শতাংশের বেশি পেয়েছে। স্বপ্ননীল প্রথম হয়েছে। ওই স্কুল থেকেই বিজ্ঞান বিভাগে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে অভিধা চক্রবর্তী। সে পেয়েছে ৯৬.৬ শতাংশ নম্বর। স্কুলের অধ্যক্ষ সৌমেন চক্রবর্তী বলেন, “বাণিজ্য বিভাগে স্কুল তথা জেলায় এমন রেজাল্ট করা খুবই কৃতিত্বের। স্বপ্ননীল তা করে দেখিয়েছে।”
স্বপ্ননীলের আদি বাড়ি হাবড়ায়। বাবা নিখিলবরণ নাথ চাকরি করেন ন্যাশনাল বিল্ডিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকসন কোম্পানিতে। সেই সূত্রেই দুর্গাপুরে থাকতে শুরু করেন তাঁরা। পরে নিখিলবাবু চাকরিসূত্রে যোধপুরে চলে গেলেও মা সোমাদেবীর সঙ্গে ওখানেই থেকে যায় স্বপ্ননীল। তবে পরীক্ষার পরে তাঁরা পাকাপাকি ভাবে হাবড়ায় চলে গিয়েছে। স্বপ্ননীল জানায়, রহস্য-রোমাঞ্চের উপন্যাস পড়ার পাশাপাশি গান শোনাও তার আরেক নেশা। ইতিমধ্যেই আমেরিকার মিসৌরির ড্রুরি বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি নিয়ে স্নাতক স্তরে পড়ার সুযোগ পেয়েছে সে। অগস্ট মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বিদেশে পাড়ি দেওয়ার অপেক্ষাতেই এখন দিন কাটছে তার। ফল প্রকাশের পর থেকেই শুভেচ্ছা জানিয়ে একের পর এক ফোন আসছে দুর্গাপুর স্টেশন বাজারের নিখিলের বাড়িতেও। এখন ডিএভি মডেল স্কুলের গর্ব সে। ডিএভি স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, বাণিজ্য বিভাগে স্কুল থেকে পরীক্ষায় বসেছিল ১২৫ জন। তার মধ্যে ৯০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছে ৪৬ জন। সর্বোচ্চ নম্বর নিখিলের। ইতিমধ্যেই শ্রীরাম কলেজ অফ কমার্সে উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তি হয়েছে সে। স্কুলের অধ্যক্ষ পাপিয়া মুখোপাধ্যায় বলেন, “ওর সাফল্যে স্কুল গর্বিত।”
|