|
|
|
|
২০১৩-এ সাফল্য উত্তরের জেলায় |
রাজ্যে সম্ভাব্য সপ্তম মালদহের অমিত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
মাধ্যমিকে রাজ্যে সম্ভাব্য সপ্তম মালদহের গাজল হাজিনাকু মহম্মদ হাইস্কুলের ছাত্র অমিত কুণ্ডু। স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত অমিত কোনওদিনই স্কুলে প্রথম হয়নি। বরাবরই সে দ্বিতীয় হয়েছে। কেবলমাত্র নবম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেনিতে ওঠার সময় অমিত প্রথম হয়েছিল। এবার মাধ্যমিকে ৬৭৪ নম্বর পেয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে অমিত। বাবা অরচিত্ কুন্ড’র গাজল বাসস্ট্যান্ডে ছোট কাপড়ের দোকান রয়েছে। মা মীরা কুন্ডু গৃহবধূ। অমিতেরা দুই ভাইবোন। বোন দিয়া দ্বিতীয় শ্রেনিতে পড়ে। অমিতের কথায়, “টেস্টে ৬৩৭ নম্বর পেয়েছিলাম। ৬৭৪ নম্বর আশা করিনি। দিনে ৬-৭ ঘন্টা পড়াশুনা করতাম। তিনজন গৃহশিক্ষক ছিলেন। অবসর সময়ে শরত্চন্দ্রের বই পড়ে সময় কাটাই। ক্রিকেট প্রিয় খেলা। শচিন আমার প্রিয় ক্রিকেটার।” অমিত সাতটি বিষয়েই লেটার পেয়েছে। তার প্রাপ্ত নম্বর-বাংলায় ৯০, ইংরেজিতে ৯৬, অঙ্কে ১০০ , ভৌতবিজ্ঞানে ১০০, জীবন বিজ্ঞানে ৯৭, ইতিহাসে ৯৫, ভূগোলে ৯৬। অমিতের প্রিয় বিষয় জীবনবিজ্ঞান। বড় হয়ে চিকিত্সক হতে চায় অমিত। উচ্চ মাধ্যমিকে সে নিজের স্কুলেই পড়বে বলে ঠিক করে ফেলেছে। তাঁর কথায়, “নিজের স্কুলেই উচ্চমাধ্যমিক পড়ব। এই স্কুলের শিক্ষক ও গৃহশিক্ষকদের সাহায্য নিয়েই উচ্চ মাধ্যমিকে ভাল ফল করাই এখন লক্ষ্য।”
স্কুলের ছাত্র মাধ্যমিকে ভালো করায় খুশির হওয়া হাজিনাকু মহম্মদ হাউস্কুলে। প্রধান শিক্ষক শ্যামল প্রসাদ রায় বলেন, “অমিত খুব ভাল ছাত্র। আমাদের আশা উচ্চ মাধ্যমিকেও অমিত ভাল ফল করবে।” অমিতের বাবা অরচিত্বাবু ও মা মীরাদেবী বলেন, “বাড়ি, স্কুল, টিউশন এই নিয়েই ও থাকত। আগামীতে ও আরও ভাল ফল করবে বলে আমাদের আশা।” |
|
|
|
|
|