|
|
|
|
মাধ্যমিকে সম্ভাব্য ষষ্ঠ জলপাইগুড়ির অহীনা
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
জলপাইগুড়ির সুনীতিবালা সদর হাইস্কুলের ছাত্রী অহীনা নন্দী এবার মাধ্যমিকে চারজনের সংগে ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছে। রাজ্যে মেয়েদের মধ্যে তার স্থান দ্বিতীয় এবং জলপাইগুড়ি জেলায় সে প্রথম স্থান আধিকার করেছে। তার মোট প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৫। বাংলায় ৯২, ইংরিজিতে ৯৬, অঙ্কে ১০০, জীবন বিজ্ঞানে ৯৮, ভৌত বিজ্ঞানে ১০০, ইতিহাসে ৯১ এবং ভূগোলে ৯৮। |
|
অহীনা নন্দী। |
অন্যান্য ছাত্রছাত্রীদের তুলনায় অহীনার জীবন একটু আলাদা। কারণ, ময়নাগুড়ি থেকে অহীনা রোজ জলপাইগুড়ি শহরের করলা নদীর পারের ওই স্কুলে পড়তে যাতায়াত করে। বাড়িতে ফেরার পরে বিশ্রাম নিয়ে আবার পড়াশোনা। পাশাপাশি সে স্কুলের অন্যান্য বিষয়েও অংশ নিত। সে জাতীয় স্তরে চিল্ড্রেন ন্যাশনাল সায়েন্স কংগ্রেসে রাজ্য থেকে নির্বাচিত হয়ে অংশ নিয়েছে।
জলপাইগুড়ি সুনীতিবালা সদর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা অপর্ণা বাগচী বলেন, “স্কুলের সমস্ত বিষয়ে অহীনা অংশ নিত ময়নাগুড়ি থেকে। রোজ যাতায়াত করলেও সে স্কুলে আসেনি এমন দিন ছিল না বললেই চলে। স্কুলে বরাবর প্রথম পাঁচ জনের মধ্যে থাকত। তবে টেস্টে সে এবার প্রথম হয়েছিল। অহীনার প্রিয় বিষয় অঙ্ক। রসায়ন, উচ্চ মাধ্যমিকও সে ওই স্কুল থেকেই পড়বে বলে ঠিক করেছে। পড়াশোনার পাশাপাশি অহীনার হবি বই পড়া, সাইকেল চড়া এবং ছবি আঁকা। তার প্রিয় লেখক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রিয় বই চাঁদের পাহাড়। ক্রিকেট খেলা দেখতে তার ভাল লাগে। প্রিয় ক্রিকেটার শচিন তেন্ডুলকর। |
|
শিলিগুড়ির একটি স্কুলে। |
রবিবারের আইপিএল ফাইনালে সে সমর্থন করেছিল চেন্নাই সুপার কিংস দলকে। সেই দল হেরে যাওয়াতে রাতে মনটা খারাপ ছিল তার। কিন্তু সকাল হতেই মাধ্যমিকের ফল শোনার পরে তার মন ভাল হয়ে যায়। অহীনার বাবা ক্ষেত্রীয় গ্রামীণ ব্যাঙ্কের মৌলানি শাখার কর্মী অহীন্দ্রবাবু এবং মা সর্বাণী দেবী জলপাইগুড়ি জেলা স্কুল পরিদর্শকের অফিসের সহকারি পরিদর্শক। দুজনেই একই সুরে বলেন, “ভাল ফলের জন্যে একজনের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। তিনি শিশির জোয়ারদার অহীনার ছোট বয়স থেকে তিনি নিখরচায় ওকে বরাবর পড়াতেন।” ভাল রেজাল্টের জন্যে তার প্রেরণা কে? অহীনার উত্তর, “আমার দাদু হরিপ্রসন্ন দত্ত। তিনি সেচ দফতরের একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মী।” |
—নিজস্ব চিত্র। |
|
|
|
|
|