এক দশক পরে ফের মাধ্যমিকের প্রথম দশের মেধা তালিকায় নাম রয়েছে পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠের পড়ুয়ার। গতবার এই মেধা তালিকায় তিনটি স্থানের দখল নিয়েছিল পুরুলিয়া জিলা স্কুল। এ বার রাজ্যের মেধা তালিকায় নাম রয়েছে পুরুলিয়ার দুই পড়ুয়া, রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠের অভীক হালদার এবং পুরুলিয়া রাষ্ট্রীয় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ঐশ্বর্য রায়। দু’জনেরই প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৪। |
আদতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের বাসিন্দা অভীক পঞ্চম শ্রেণি থেকেই বিদ্যাপীঠের ছাত্র। তার কথায়, “এখানকার পরিবেশ আমাকে সাফল্য পেতে সাহায্য করেছে। শিক্ষকেরাও খুব সাহায্য করেছেন।” সে জানায়, টেস্টের পর আর ক্লাস থাকে না। তবু সে বাড়ি যায়নি। স্কুলে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছিল। রাতের হাওড়া-আদ্রা-চক্রধরপুর প্যাসেঞ্জার ধরে সোমবার সকালেই পুরুলিয়ায় পৌঁছেছে অভীক। চিকিৎসক হতে চাওয়া এই ছাত্র বলে, “রেজাল্ট রেরনোর আগের দিন বলে কোনও টেনশন হয়নি। ভাল ফল হবে আশা করেছিলাম। তা বলে মেধা তালিকায় থাকতে পারব, সেরকম আশা ছিল না। সেটা থাকতে পেরে ভাল লাগছে।”
এক দশকের বেশি সময় পরে ফের মেধা তালিকায় উঠে আসায় খুশির হাওয়া রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠেও। প্রধান শিক্ষক স্বামী শক্তিপ্রদানন্দ বললেন, “ভাল লাগছে। আমরা তো ছাত্র গড়ার কারিগর। এটা আমাদের কাছে ভাল খবর।” খুশির হাওয়া রাষ্ট্রীয় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়েও। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শাশ্বতী অধিকারী জানালেন, অনেক কাল পরে তাঁদের স্কুলের কেউ রাজ্যস্তরের মেধা তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে।
স্কুলকে গর্বিত করেছে যে, পুরুলিয়া শহরের রেণী রোডের বাসিন্দা সেই ঐশ্বর্য তাঁর ভাল ফলের যাবতীয় কৃতিত্ব স্কুলের শিক্ষিকাদের পাশাপাশি বাবা-মাকে দিতে চায়। বাবা গৌতম রায় পুরুলিয়া দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষায়তনের শিক্ষক। মা সম্পূর্ণা ঘোষ রায় সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্পে কর্মরত। তাঁরা দু’জনেই জানালেন, পড়ার ব্যাপারে মেয়েকে কখনও চাপ দিতেন না। ঐশ্বর্য ভীষণ ভালবাসে কার্টুন দেখতে। তার কথায়, “কার্টুন দেখে টেনশন কাটাই।” ভবিষ্যতে তারও ইচ্ছে চিকিৎসক হওয়া।
|