বাড়ির আশপাশে ভালো স্কুল ছিল না। পড়াশুনার পরিবেশও ছিল না উপযুক্ত। তাই কচি বয়সেই আদতে হুগলির আরামবাগের বাসিন্দা সুদীপ ঘোষ চলে আসে চাকদহে দাদার বাড়িতে। দাদা মুকুল ঘোষ পেশায় গৃহ শিক্ষক। ২০০৮ সালে চাকদহ পূর্বাচল বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি
হয় সুদীপ।
|
সুদীপ ঘোষ।
নিজস্ব চিত্র। |
স্কুলে বরাবর প্রথম স্থানাধিকারী সুদীপ এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষায় পঞ্চম হয়েছে। তার প্রাপ্ত নম্বর বাংলায়-৯০, ইংরেজিতে ৯৫, গণিতে ১০০, ভৌতবিজ্ঞানে ১০০, জীবন বিজ্ঞানে ৯৮, ইতিহাসে ৯৬ এবং ভূগোলে ৯৭। সুদীপের এই সাফল্যে ঘোষ বাড়িতে নেমেছে খুশির জোয়ার। এ দিন সকালেই চাকদহে চলে এসেছেন বাবা দুলাল ঘোষ।
পেশায় ব্যবসায়ী দুলালবাবু বলেন, “দাদা-বৌদির কাছে না এলে ছেলে এত ভাল ফল করতে পারত না। ছেলের এই সাফল্যে আমরা সকলেই গর্বিত।” আর দাদা মুকুলবাবু বলেন, “আমি কেবল ওকে পড়াশুনার সুযোগ করে দিয়েছি। ওর চেষ্টা ও আগ্রহের কোনও খামতি ছিল না।” বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তিলক রঞ্জন রায় বলেন, “স্কুলে সুদীপ বরাবর প্রথম হত। আমরা নিশ্চিত ছিলাম ও ভালো ফল করবে। কিন্তু তা বলে মেধা তালিকায় প্রথম পাঁচের মধ্যে ঠাঁই পাবে সেটা ভাবতে পারিনি। এ বছর আমাদের স্কুল থেকে ১৮৪ জন পরীক্ষা দিয়েছিল। উত্তীর্ণ হয়েছে ১৮১ জন। ৭৭ জন প্রথম বিভাগ ও ৩০ জন
স্টার পেয়েছে।”
রাজ্যের মধ্যে পঞ্চম হয়ে সুদীপের সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, “ভালো ফল হবে জানতাম। তাই বলে রাজ্যের মধ্যে সেরাদের তালিকায় স্থান পাব তা ভাবিনি।” কৃতী এই ছাত্রের রোজনামচা কী ছিল? সুদীপ জানায়, নিয়ম করে সারাদিনে ১০-১২ ঘণ্টা করে পড়াশুনা করতাম। সাত জন গৃহ শিক্ষক ছিল ছিল তার। ক্রিকেট-ফুটবল পাগল সুদীপ সুযোগ পেলেই নিয়ম পড়ত মাঠে। মেসির ভক্ত সুদীপ তার কৃতিত্বের জন্য স্কুলের শিক্ষকদের অবদানের কথা উল্লেখ করে বলে, গৃহ শিক্ষক ছাড়াও স্কুলের শিক্ষকরাও সব সময় সাহায্য করেছে। |