আশা ছিল অন্তত ৬৭৫ পাওয়ার। কিন্তু ইংরেজিতে নম্বর কমে যাওয়ায় রাজ্যের সেরা কুড়ির দৌড় থেকে ছিটকে গিয়ে মন খারাপ সুমনা কোলের। এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৬৬৬ নম্বর পেয়ে মুর্শিদাবাদের অন্যতম কৃতী সে।
|
সুমনা কোলে।
নিজস্ব চিত্র। |
বাঁকুড়া বিষ্ণুপুরের আদি বাসিন্দা সুমনারা। তার বাবা বাবা সুদর্শন কোলে সাগরদিঘি তাপবিদ্যুত্ কেন্দ্রে সহকারী ম্যানেজার পদে কর্মরত। সেই সূত্রেই তাপবিদ্যুত্ কেন্দ্রের নিজস্ব স্কুল থেকেই পড়াশোনা করেছে সুমনা। অঙ্ক ও ভৌত বিজ্ঞানে ১০০, জীবনবিজ্ঞানে ৯৯ পাওয়া সুমনা ইংরেজি মাধ্যমের ছাত্রী হয়েও বাংলায় পেয়েছে ৯০। সুমনার কথায়, ‘ইংরেজিতে ৮৭ নম্বর পেতেই পারি না। আমি মাধ্যমিক দেওয়ার আগে যতগুলো পরীক্ষা দিয়েছি সবেতেই ৯৪ এর উপর নম্বর পেয়েছি। এ বার কি হল কে জানে।”
সুমনার স্কুলের পর্ষদের অনুমোদন না থাকায় স্কুলের বারো জন ছাত্রী এ বারে পরীক্ষা দিয়েছিল সাগরদিঘির হরহরি হাই স্কুল থেকে।
সুমনার কথায়, “ভবিষ্যতে আইআইটি বা মেডিক্যালে ভর্তির ইচ্ছে রয়েছে।’’ পড়াশোনার বাইরে সুমনার শখ ছবি আঁকা। সুমনা বলে, ‘‘বিজ্ঞানে বাড়তি নম্বর পেতে এই ছবি আঁকার অভ্যাসটা খুব কাজে দিয়েছিল।’’
সুদর্শনবাবু বলেন, “অফিসের কাজ সামলে সময় পেলে আমিই বিজ্ঞান বিষয়টা দেখতাম। ভূগোল, ইতিহাস, বাংলা পড়ত ওর মায়ের কাছে।’’ মা সুমিত্রাদেবীর সঙ্গে এখন সুমনা কলকাতার সল্টলেকের নিজেদের আবাসনে। মাধ্যমিকে জেলা থেকে সেরা হওয়ার খবরটা পৌঁছে দিয়েছে বাবাই। মায়ের কথায়, “ওর ইচ্ছের বিরুদ্ধে কখনও বাধ সাধিনি। আমরা চাই ভবিষ্যতে ও বড় হোক নিজের ইচ্ছেতেই।” এমন আনন্দের দিনে সাগরদিঘির বাড়িতে বাবা আনিয়েছিলেন মেয়ের প্রিয় খাবার গোলাপজাম ও খাসির মাংস। মেয়ে জেলায় মাধ্যমিকে সেরা হয়েছে এই খবর ছড়িয়ে পড়েছে সাগরদিঘির আশপাশেও। সাগরদিঘি তাপবিদ্যুত্ কেন্দ্রের এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মামুন হাসান বলেন, “সুমনা বরাবরই প্রথম হয়েছে স্কুলে। ওর থেকে এমন ফলই আশা করেছিলাম।” |