|
|
|
|
পড়ার কথা বলতে হয় না ঋত্বিকাকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটাশপুর |
সুখের হাট বসেছে পটাশপুর থানা এলাকার খড়িকাপাটনায়। এলাকার মেয়ে ঋত্বিকা জানা মাধ্যমিকে ৬৭৩ পেয়ে
|
ঋত্বিকা জানা।
নিজস্ব চিত্র। |
রাজ্যে কৃতীদের সারিতে সম্ভাব্য অষ্টম স্থানে।
বাগমারি নারী কল্যাণ শিক্ষাসদনের ছাত্রী ঋত্বিকা দিনে আট থেকে দশ ঘণ্টা পড়ত নিয়মিত। মা সুতপাদেবী ওই স্কুলেরই প্রধান শিক্ষিকা। গণিতের শিক্ষিকা সুতপাদেবী বলেন, “মেয়েকে কোনও দিন পড়ার কথা বলতে হয়নি। নিজের মতো করে পড়াশোনা করেছে। ওর রেজাল্টের জন্য আমাদের স্কুলও রাজ্যে প্রথম সারিতে আসায় ভাল লাগছে।” ঋত্বিকা জানায়, প্রিয় বিষয় জীবনবিজ্ঞান। বড় হয়ে চিকিৎসক হতে চায় সে। বাবা পুষ্পেন্দুবিকাশ জানা টিকরাপাড়া অম্বিকাময়ী হাইস্কুলের জীববিদ্যার শিক্ষক। উচ্চ মাধ্যমিক পড়বে বাবার স্কুলেই। বাংলায় ৯৩, ইংরাজিতে ৯০, গণিতে ৯৯, ভৌতবিজ্ঞানে ১০০, জীবনবিজ্ঞানে ৯৬, ভূগোলে ৯৯ ও ইতিহাসে ৯৬ পেয়েছে ঋত্বিকা।
অবসর সময়ে গোয়েন্দা কাহিনি হাতে পেলে আর কিছু চাই না। গান, আবৃত্তি, ছবি আঁকার চর্চা তো আছেই। আর আছে চুটিয়ে টিভি। বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আড্ডাটা তেমন হয়ে ওঠে না। বোনের সঙ্গে খুনসুটির পর সময় পেলে তবে তো। ঋত্বিকা বলে, “মা আমার সব থেকে ঘনিষ্ঠ বন্ধু। বাবা-মা’র অনুপ্রেরণাই জীবনে লড়াইয়ের শক্তি।” |
|
|
|
|
|