বিধায়ক তহবিলের টাকা খরচই হয়নি
ড়ে রয়েছে বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন তহবিলের টাকা। বছর শেষে বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন তহবিলে ২০১১-১২ ও ২০১২-১৩ অর্থবর্ষে জেলা পেয়েছে ২১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা। তার মধ্যে খরচ হয়েছে প্রায় ৭ কোটি ৬৯ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ শতাংশের হারে ৩৫.১৪ শতাংশ। ২০১১-১২ আর্থিক বছরের টাকা খরচ প্রায় সম্পূর্ণ। তবে প্রায় দু’মাস আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে ২০১২-১৩ অর্থবর্ষ। অথচ ওই আর্থিক বছরের টাকা এখনও কেউই খরচ করতে পারেননি। সবে সেই টাকায় কাজ শুরু হয়েছে।
বর্তমানে বিধায়কেরা বছরে ৬০ লক্ষ টাকা পান। এক অর্থবর্ষে পাওয়া টাকার ৩০ শতাংশ অর্থ খরচ করলে পরের ধাপের টাকা পাবেন একজন বিধায়ক। সেই নিরিখে অনেকেই দু’বছর মিলিয়ে ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা পেয়েছেন, আবার নতুন আর্থিক বছরেও টাকা পাবেন। তবে তার মানে এই নয়, সব প্রকল্প রূপায়িত হয়েছে।
খরচের গতি মন্থর কেন?
যদিও মন্থর গতির কথা মানতে নারাজ প্রশাসনিক কর্তারা। জেলা পরিকল্পনা ও উন্নয়ন আধিকারিক প্রণব ঘোষ বলেন, “খরচের হিসেব আসতে কিছুটা দেরি হয়। ফলে, প্রকৃত খরচের সঙ্গে হিসেবে কিছুটা ফারাক থাকেই। আমরা ২০১৩-১৪ আর্থিক বছরের জন্যও ১২ জন বিধায়কের পরের ধাপের টাকা চাইতে চলেছি। কারণ, খরচের দিক দিয়ে তাঁরা এগিয়ে রয়েছেন।” তবে যাতে আরও দ্রুত প্রকল্প রূপায়ন হয় ও খরচের হিসেব দ্রুত আসে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ করা হবে বলেও প্রশাসন জানিয়েছে। তবে প্রশাসনের পরিসংখ্যান কিন্তু অন্য কথা বলছে। বিগত দু’টি আর্থিক বছরে পাওয়া ২১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকার মধ্যে ২০ কোটি ৪০ লক্ষ টাকার ৮৮২টি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়। তার মধ্যে মঞ্জুর হওয়া ৭১৪টি প্রকল্পের জন্য প্রায় ১৫ কোটি ৭২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। এখনও পর্যন্ত মাত্র ৩৬৫টি প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। খরচ হয়েছে প্রায় ৭ কোটি ৬৯ লক্ষ টাকা।
খরচের দিক দিয়ে সব থেকে এগিয়ে রয়েছেন খড়্গপুর সদরের কংগ্রেস বিধায়ক জ্ঞানসিংহ সোহনপাল। তারপরেই রয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নারায়ণগড়ের সিপিএম বিধায়ক সূর্যকান্ত মিশ্র। ২০১১-১২ ও ’১২-১৩ মিলিয়ে খরচের পরিমাণ ৪৫.১৮ শতাংশ। আর গত দুই অর্থবর্ষ মিলিয়ে ১২ জন বিধায়ক ছাড়া বাকি সকলেরই খরচ ৩০ শতাংশের নীচে। এর মধ্যে রয়েছেন শাসক ও বিরোধী উভয় পক্ষের বিধায়কেরাই। সেই দলে ঢুকে পড়েছেন এলাকায় না থাকতে পারা বিধায়ক সুশান্ত ঘোষও। গত দুই অর্থবর্ষে তাঁর খরচের পরিমাণ ৪৪.৮৪ শতাংশ (অবশ্য ২০১২-১২ আর্থিক বছরে ৬০ লক্ষ টাকা পেলেও ২০১২-১৩ আর্থিক বছরে তিনি ৬০ লক্ষের পরিবর্তে ৩০ লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন)।
অন্য বিধায়করা একাধিক প্রকল্পে অর্থ দিলেও সুশান্তবাবু কেবলমাত্র গড়বেতা বাসস্ট্যান্ডের উন্নয়নেই যাবতীয় টাকা দিয়েছেন। এ ব্যাপারে সুশান্তবাবুর ব্যাখ্যা, “আমি চেয়েছি বিডিও-র মাধ্যমে অর্থ ব্যয় হোক। যেহেতু এলাকায় নেতারা নেই, সাধারণ কর্মী-সমর্থকদের পক্ষে অর্থ নয়ছয় হলে তা প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। তাই বিডিও-র মাধ্যমে বাসস্ট্যান্ডের উন্নয়ন করতে চেয়েছি।” গড়বেতার রাজনৈতিক মহলে অবশ্য অন্য চর্চা চলছে। বলা হচ্ছে, একটি প্রকল্পে টাকা দিয়ে যাতে সকলের নজরে আসা যায়, সে জন্য সুশান্তবাবু বাসস্ট্যান্ডকে ঝাঁ-চকচকে করতে পুরো অর্থই দিয়ে দিয়েছেন। যা করে সকলের কাছেই নিজের উন্নয়নের বার্তা পৌঁছে দিতে পারবেন।

খরচে সেরা তিন
বিধায়কের নাম দল গত দুই অর্থবর্ষে খরচ
জ্ঞানসিংহ সোহন পাল
(খড়্গপুর সদর)
৪৯%
সূর্যকান্ত মিশ্র
(নারায়ণগড়)
৪৫.১৮%
শ্রীকান্ত মাহাতো
(শালবনি)
৪৪.১৬%


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.