|
|
|
|
|
আইপিএলের শুরুতে সচিন
আমাদের বলে দিয়েছিল, এ বারই শেষ
অনিল কুম্বলে |
|
রবিবারের সান্ধ্য ইডেনে আমাদের ছ’বছরের লম্বা একটা প্রতীক্ষা শেষ হল। এই মরসুমে শুরু থেকেই নিজেদের মধ্যে আলোচনায় আমরা বারবার একটা নিখুঁত ম্যাচ খেলা নিয়ে আলোচনা করতাম। বরিবারের ফাইনালে কিন্তু চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে আমাদের শুরুটাকে কোনও ভাবেই নিখুঁত বলা চলে না। তবে শুরুটা নিখুঁত না হলেও শেষটা কিন্তু শুধু নিখুঁতই নয়, সর্বাঙ্গসুন্দর হল!
ম্যাচের শেষ বল পড়ার আগেই আমাদের চ্যাম্পিয়ন হওয়া নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। ডাগআউটে শুধু অপেক্ষা চলছিল সরকারি ভাবে ম্যাচ শেষ হওয়ার। তার পরেই সবাই ছুটে ঢুকে পড়ি মাঠে। বাধন ভাঙা উৎসব পালনের দৃশ্যগুলো টেলিভিশনের পর্দায় সবাই দেখেছেন। তার মধ্যেই আইপিএল থেকে সচিনের অবসর ঘোষণাটা অনেকের কাছে অপ্রত্যাশিত ধাক্কার মতো লেগে থাকতে পারে। অনেকে ভাবছেন, চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় মুহূর্তটা দারুণ বেছে নিল সচিন। আমরা, ওর মুম্বই ইন্ডিয়ান্স সতীর্থরা কিন্তু এই মরসুমের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামার আগেই জানতাম এটাই সচিনের শেষ আইপিএল।
|
|
মরসুমের শুরুতেই সচিন ঠিক করে নিয়েছিল যে, আর খেলবে না। সেই মতো নিজের সিদ্ধান্ত টিমকে জানিয়েও দিয়েছিল। টিমের তরফে ওকে আরও একটা মরসুম খেলার জন্য অনুরোধ করা হলেও ও সিদ্ধান্ত বদলাতে রাজি হয়নি। তাই এ বার আমরা যদি চ্যাম্পিয়ন না-ও হতাম, তা হলেও কিন্তু সচিনের সিদ্ধান্ত এক থাকত। সে ক্ষেত্রেও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের শেষ ম্যাচের শেষে আইপিএল থেকে অবসর নিত ও। তবে চ্যাম্পিয়নের ট্রফিটা হাতে নিয়ে সরে যেতে পারাটা অসাধারণ হল। মাথা উঁচু করে, সম্মান নিয়েই ছাড়ল।
আসলে আইপিএল না জেতা পর্যন্ত বুঝে ওঠা যায় না যে এখানে চ্যাম্পিয়ন হতে পারাটা ঠিক কত বড় সাফল্য! আমাদের দলেরও ব্যাপারটা একক্ষণে মাথায় ঢুকতে শুরু করেছে। রবিবার রাতে আমরা একটা ছোটখাট উৎসব সারলেও জমিয়ে বিজয়োৎসব পালন বলতে যেটা বোঝায়, সেটা হয়নি। কারণ, দলের মালিক মুকেশ আর নীতা অম্বানী রবিবার দলের সঙ্গে ছিলেন না। মেয়ের গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ওঁদের নিউ ইয়র্ক যেতে হয়েছিল। তবে সোমবার রাতে অম্বানীরা নিজেদের মুম্বইয়ের বাড়িতে বিজয়োৎসবের আয়োজন করেছেন। আইসিসি-র সভায় যোগ দিতে সোমবার সকালে লন্ডন যাওয়া ঠিক ছিল। কিন্তু দলের অনুরোধে পিছিয়ে দিতে হল। |
|
|
|
|
|