|
ভোররাতে নিঃশব্দে শহর ছাড়লেন ভারত অধিনায়ক |
ট্রফি উৎসর্গ আর শ্যাম্পেন স্নান
করিয়ে সচিন বরণ রোহিতদের
রাজর্ষি গঙ্গোপাধ্যায় • কলকাতা |
|
মধ্যরাতে শ্যাম্পেন-স্নান।
ড্রেসিংরুমেই রিকি পন্টিংকে হিন্দি গানের সঙ্গে নাচিয়ে দেওয়া।
হাতে কেক নিয়ে সচিন তেন্ডুলকরকে তাড়া হরভজন সিংহর।
দিলদরিয়া রোহিত শর্মার সৌজন্যে সিএবি কর্মীদের ঢালাও অর্থপ্রাপ্তি।
আবেগের টুকরো-টুকরো রবিবাসরীয় ছবি। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের প্রথম আইপিএল ট্রফি জয়ের কিছুক্ষণের মধ্যেই যা ঘটে গেল পরপর। চ্যাম্পিয়ন হয়ে অহেতুক সময় খরচে আর যেতে চাননি রোহিত। এই প্রথম মুম্বইয়ের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পেয়েছিলেন, আর পেয়েই কি না চ্যাম্পিয়ন! মাঠে বিজয়োৎসব শেষ হতে না হতে ড্রেসিংরুমে ঢুকে খুলে ফেলেন দু-দু’টো শ্যাম্পেনের বোতল। যা দিয়ে আগে স্নান করানো হয় সচিনকে। পরে কাটা হয় কেক, এবং সেখানেও সবার আগে টার্গেট প্রিয় ‘সচিন পাজি’। পাশাপাশি রোহিত ঘোষণা করেন, এই ট্রফি তিনি উৎসর্গ করছেন সচিনকেই।
|
দিনভর সচিন |
|
|
কলকাতা ছাড়ার মুহূর্ত। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস |
মুম্বই পৌঁছে। ছবি: পিটিআই |
|
হবে না কেন? সচিনকে এ বার ট্রফিটা দিতে মুম্বই এতই মরিয়া ছিল যে, কলকাতা নয়, ফাইনালে ওঠার প্ল্যান ছকে ফেলে বেঙ্গালুরুতেই। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে হারার পর। রোহিত শর্মাই যা বলে গেলেন। “আসলে গত ছ’বছর ধরে সচিন পাজি চাইছিল ট্রফিটা জিততে। এত দিন প্লে অফ পর্যন্ত যেতে আমাদের সমস্যা হচ্ছিল না। কিন্তু চূড়ান্ত পর্বে পারছিলাম না।”
সঙ্গে হোটেলে বসে মুম্বই অধিনায়কের সংযোজন, “গত তিন বছর ধরে আমি মুম্বইয়ে খেলছি। কিন্তু একবারও ট্রফি না জেতার আক্ষেপ ছিলই। এ বার অনিল ভাই, সচিন পাজি আর রিকি পন্টিং থাকায় আমাদের টিমের বিশাল লাভ হয়েছে। আমাদের মতো থিঙ্ক ট্যাঙ্ক আর কোনও টিমেরই ছিল না। বেঙ্গালুরুতে হারার পরই আমরা আলোচনায় বসেছিলাম। ওখানেই চূড়ান্ত প্ল্যানিং করে ফেলা হয়, কী ভাবে ফাইনালে ওঠা যাবে।”
বাকিটা ইতিহাস। যা এসেছে চেন্নাই সুপার কিংসের মতো মহাশক্তিধর টিমকে চূর্ণ করে। যে ব্যাপারটা সবচেয়ে তৃপ্তি দিচ্ছে রোহিতকে। সচিনকে। |
‘‘এ বার অনিল ভাই, সচিন পাজি আর রিকি পন্টিং থাকায় আমাদের টিমের বিশাল লাভ হয়েছে। আমাদের মতো থিঙ্ক ট্যাঙ্ক আর কোনও টিমেরই ছিল না। বেঙ্গালুরুতে আরসিবি ম্যাচটা হারার পরই আমরা সবাই মিলে আলোচনায় বসেছিলাম। ম্যাচ ধরে ধরে ওখানেই চূড়ান্ত প্ল্যানিং করে ফেলা হয়, কী ভাবে ফাইনালে ওঠা যাবে।’’ রোহিত শর্মা |
|
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরপরই আবেগাপ্লুত সচিন এক ঘনিষ্ঠকে বলেন, ফাইনালে নামতে না পেরে বিমর্ষ ছিলেন কিছুটা। মুম্বই টিমটা তিনি নিজের মতো তৈরি করেছিলেন। তাই চেয়েছিলেন, ফাইনালে খেলতে। তবে শেষ পর্যন্ত সিএসকে-র মতো টিমকে যে ভাবে হারিয়ে মুম্বই জিতেছে, তাতে তিনি গর্বিত। সচিন মনে করেন, প্লেয়ার ধরে ধরে বিচার করলে মুম্বইয়ের চেয়ে এগিয়ে সিএসকে। এটাও বলেন, ক্রিকেটজীবনের আরও একটা আকাঙ্ক্ষা তাঁর পূর্ণ হল। রোহিত শর্মাদের সৌজন্যে।
আর ধোনি? তিনি কী করলেন?
সূর্যের আলো তখনও ফোটেনি। বাইপাসের ধারের হোটেল থেকে সস্ত্রীক বেরিয়ে গেলেন। সবার অলক্ষ্যে, নিঃশব্দে শহরকে বিদায় জানিয়ে।
|
|