|
|
|
|
|
অ্যামওয়ে ইন্ডিয়া কর্তা চিট
ফান্ড আইনে ধৃত
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
|
এ বার চিট ফান্ড আইনে গ্রেফতার হলেন অ্যামওয়ে ইন্ডিয়া-র চেয়ারম্যান ও সিইও উইলিয়াম এস পিঙ্কনি। একই সঙ্গে ধরা পড়েছেন সংস্থার দু’জন ডিরেক্টর সঞ্জয় মলহোত্র এবং অংশু বুধরাজ। ‘আর্থিক অনিয়মের’ অভিযোগে সোমবার এখানে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে কেরল পুলিশের অপরাধ দমন শাখার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। অ্যামওয়ের এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, তারা পুলিশের সঙ্গে সব রকম সহযোগিতা দীর্ঘ দিন ধরেই করে আসছে।
১৯৭৮ সালের ‘প্রাইস চিট্স অ্যান্ড মানি সার্কুলেশন স্কিম (নিষিদ্ধকরণ) আইন’ ভাঙার অভিযোগে ২০১১ সালে ওয়েনাড় পুলিশের অপরাধ দমন শাখা এই তিন কর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে বলে জানিয়েছে। তার ভিত্তিতেই এ দিন তাঁদের গ্রেফতার করা হল। প্রত্যক্ষ বিপণন সংস্থা অ্যামওয়ে-র এই তিন কর্তাকে এ মাসের গোড়ার দিকেই জেরা করে ওয়েনাড় অপরাধ দমন শাখার পুলিশ। এই মাল্টি লেভেল মার্কেটিং বা বহু স্তর বিশিষ্ট বিপণন সংস্থার কর্তাদের সোমবারও জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা ছিল। সে জন্য থানায় ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
কোঝিকোড়ে অ্যামওয়ের জনৈক বিক্রয়কারী বৈশাখী ২০১২ সালে অভিযোগ জানান যে, তিনি ঠিক মতো প্রাপ্য পাননি। তার ভিত্তিতেই অ্যামওয়ের দফতরে তল্লাসি চালায় পুলিশ। ত্রিশূর ও কন্নৌরেও গত বছর হানা দেয় পুলিশ। এই তিন জায়গায় সংস্থার গুদামগুলি বন্ধ করে দিয়ে পণ্যসামগ্রীও আটক করা হয়। অ্যামওয়ের বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, ২০১২ সালের এই মামলার জন্যই ২০১৩-র ৩ মে কেরল হাইকোর্ট পিঙ্কনি, মলহোত্র ও বুধরাজকে আগাম জামিন মঞ্জুর করে। তবে ২০১১ সালের যে-অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁদের ধরা হয়েছে, তার জন্য তাঁদের কাছে কোনও সমন পাঠানো হয়নি।
অ্যামওয়ের বিবৃতিতে আরও দাবি, কেরল পুলিশের অপরাধ দমন ও গোয়েন্দা শাখার সঙ্গে তারা সব রকম সহযোগিতা করছে ২০১২ সালে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর থেকেই। পিঙ্কনি, মলহোত্র এবং বুধরাজও সব সময়েই নির্দিষ্ট দিনে হাজিরা দিচ্ছেন। সংস্থার দাবি, সব তথ্য ও নথিপত্রও তাঁরা পুলিশের কাছে দাখিল করেছেন।
একই ভাবে ২০১১ সালে আনা মামলার ব্যাপারেও পুলিশ চাইলেই সংস্থার কর্তারা সহযোগিতা করতেন। কারণ, তাঁরা নাগরিক হিসেবে সংস্থা পরিচালনার ব্যাপারে আইন মেনেই চলেন।
|
এক নজরে |
• বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ডিরেক্ট সেলিং (প্রত্যক্ষ বিপণন) সংস্থা।
• পণ্য দোকানে বিক্রি হয় না। বরং ব্যক্তিগত ভাবে সরাসরি তা ক্রেতার হাতে পৌঁছে দেন সংস্থার কোনও ‘সদস্য’।
• সদর দফতর আমেরিকার মিশিগানে।
• ব্যবসা ছড়ানো ৮০টিরও বেশি দেশে। কর্মী সংখ্যা অন্তত ১৩ হাজার।
• প্রসাধনী, পুষ্টিকর খাবার, ওষুধ ইত্যাদি মিলিয়ে প্রায় সাড়ে চারশো পণ্য।
• বছরে ব্যবসার অঙ্ক ১০৯০ কোটি ডলার (প্রায় ৬১ হাজার কোটি টাকা)।
• ভারতীয় শাখা অ্যামওয়ে-ইন্ডিয়ার বছরে ব্যবসা দু’হাজার কোটি টাকারও বেশি। পূর্ণ সময়ের কর্মী সংখ্যা ৫০০। |
|
|
|
|
|
|