পুলিশি নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে ৩১ মে, শুক্রবার কলকাতায় আইন অমান্য করা হবে বলে জানিয়ে দিল বামফ্রন্ট। সারদা-কাণ্ডে সিবিআই তদন্ত, ছাত্র-নেতা সুদীপ্ত গুপ্তের মৃত্যুর বিচার বিভাগীয় তদন্ত-সহ ৭ দফা দাবিতে ওই দিন রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে বামেদের সভার অনুমতি দিয়েছে পুলিশ। তার পরেই আইন অমান্য করবে বামেরা।
আলিমুদ্দিনে সোমবার ফ্রন্টের বৈঠকের পরে ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, “আইন অমান্যের জন্য পুলিশি অনুমতি নিতে হয় না।
আইন অমান্যের পরে আমাদের গ্রেফতার করে জেলে নিয়ে যাওয়ার জন্য পুলিশকে গাড়ির ব্যবস্থা করতে হবে।” পুলিশ যদি বাম কর্মীদের গ্রেফতারের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা না করে? বিমানবাবুর জবাব, “ওরা
যদি মনে করে গ্রেফতার না-করে
লাঠি চালাবে, তা হলে আমরা মোকাবিলায় প্রস্তুত!”
কলকাতার পুলিশ কমিশনার সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ দু’দিন আগেই বিভিন্ন দলের সঙ্গে বৈঠক করে বলেছিলেন, আইন অমান্য সামলানোর ক্ষেত্রে পুলিশের পরিকাঠামোগত অসুবিধা রয়েছে। তাই সব দলকেই তিনি আইন অমান্য কর্মসূচি আপাতত বন্ধ রাখতে বলেন। বিমানবাবুর অভিযোগ, “রাজ্য গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বিরোধী। তাই আইন অমান্য কর্মসূচি বন্ধ করতে চাইছে।” একই অভিযোগ কংগ্রেসের।
কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-সংসদ ভোটের দাবিতে ২ এপ্রিল বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলির আইন অমান্য ছিল। তার পরে বাসে করে ছাত্রদের আলিপুর জেলে নিয়ে যাওয়ার পথে মাথায় আঘাত লেগে সুদীপ্তের মৃত্যু হয়। দু’মাস পরে কলকাতায় আবার বড় মাপে আইন অমান্য কর্মসূচি নিয়েছে বামেরা। একই দিনে প্রতিটি জেলাতেও আইন অমান্য করা হবে। গত বছর ধর্মতলায় ফ্রন্টের আইন অমান্য কর্মসূচিতে প্রয়োজনীয় বাসের ব্যবস্থা ছিল না। বামেদের মধ্যেই প্রশ্ন উঠেছিল, এই ‘লোক দেখানো’ আইন অমান্যের কী দরকার?
তবে পুলিশকে স্বস্তি দিয়ে বামেদের পরের দিন তাদের আইন অমান্য বাতিল করেছে বিজেপি। |