চেহারায় হুবহু মিল। মিল বজায় থাকল স্কুল ছাড়ার পরীক্ষাতেও। সল্টলেকের এপিজে স্কুলের
ছাত্রী যমজ বোন নন্দিতা ও নম্রতা বাগচী সিবিএসই-র দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় একই গ্রেড পেয়েছেন। দু’জনেই ‘এ+’।
স্কুলের পরীক্ষাতেও নম্বর থাকত গায়ে গায়ে। দ্বাদশ শ্রেণিতে গিয়েও একই রকম ফল করে বেশ উচ্ছল দুই বোন। আট বছর বাদে ফের এমন যমজ দুই শিক্ষার্থীর কীর্তির নজির মিলল এ রাজ্যে। ২০০৫ সালে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার এক প্রান্তিক কৃষক পরিবারের যমজ ছেলে রজত ও রাকেশ সরকার মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৫৭৭ নম্বর পেয়েছিল। |
নন্দিতা ও নম্রতা বাগচী। —নিজস্ব চিত্র। |
উদাহরণ ছিল তার আগেও। রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্ত এবং ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন অধ্যাপক অতীশ দাশগুপ্তের বেলায়। স্কুল ফাইনালে একই নম্বর পেয়েছিলেন তাঁরা।
রজত ও রাকেশের একই নম্বর পাওয়ার খবরে খুবই মজা পেয়েছিলেন দাশগুপ্ত ভাইয়েরা। উৎসাহ দিয়েছিলেন গাইঘাটার দুই কিশোরকে। তাদের পড়াশোনায় সাহায্য করার আশ্বাসও দিয়েছিলেন।
সল্টলেকের এ-জে ব্লকের বাসিন্দা ধ্রুবজ্যোতি ও সুমনা বাগচীর যমজ মেয়ে নন্দিতা আর নম্রতার ইচ্ছা-অনিচ্ছা, ভাল লাগা-মন্দ লাগা হুবহু এক। যদিও গ্রেড-এর বিচারে সিবিএসই-র পরীক্ষায় তাঁদের একই অবস্থান হলেও নম্বরে সামান্য ফারাক রয়েছে। নম্রতা পেয়েছেন ৯৭.৪, আর নন্দিতা ৯৭ শতাংশ। তবে গ্রেড একই। আর এই মিলটাই বাগচী পরিবারের আনন্দ দ্বিগুণ করে দিয়েছে। বাড়িতে সারা ক্ষণ যাঁদের একই রকম দেখেন, দেশজোড়া পরীক্ষাতেও যে তাঁরা একেবারে গা ঘেঁষে থাকবে, এতটা আশা করেননি কেউই।
নন্দিতা বা নম্রতাও তা ভাবেননি। তাঁরা যে একই রকম, তাঁদের ভাবনাচিন্তাতেও যে প্রায় পুরোটাই মিল, সেটা বিলক্ষণ বোঝেন তাঁরা। কিন্তু সেটা যে এ ভাবে মার্কশিটেও দেখা যাবে, সেটা ভাবনার বাইরে ছিল। এর পরের চাওয়াটা আবার এক। দু’জনেরই ইচ্ছে ডাক্তার হওয়া। |