চিকিৎসক হতে চায় দুই কৃতী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • সিউড়ি ও রামপুরহাট |
একটা স্বপ্ন সফল। এ বার স্বপ্ন আরও বড়। দু’জনেই বড় হয়ে ডাক্তার হতে চায়। একজন রামপুরহাট গালর্স হাইস্কুলের সুনন্দা মুখোপাধ্যায়। মাধ্যমিক পরীক্ষায় তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৩। তার থেকে এক নম্বর কম পেয়েছে বীরভূম জেলা স্কুলের ছাত্র অয়ন চট্টোপাধ্যায়। সুনন্দার নাম মধ্যশিক্ষা পর্ষদ প্রকাশিত মেধাতালিকায় জায়গা করে নিলেও অয়নের তা হয়নি। তাই খুশির মধ্যেও তার মনে রয়ে গিয়েছে কিছুটা আফশোস। তবে সোমবার ফলপ্রকাশের পরে দুই বাড়িতেই বয়ে যায় খুশির হাওয়া। |
|
|
সুনন্দা ও অয়ন।—নিজস্ব চিত্র। |
|
সুনন্দা বা অয়ন কখনই স্কুলের পরীক্ষায় এক টানা প্রথম হয়নি। কিন্তু জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় তারা স্কুলের প্রথম স্থান দখল করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে।
সুনন্দার বিষয়ভিত্তিক প্রাপ্ত নম্বর: বাংলায় ৯২, ইংরেজিতে ৯২, অঙ্কে ৯৯, ভৌতবিজ্ঞানে ৯৯, জীবন বিজ্ঞানে ১০০, ভুগোলে ৯৬, ইতিহাসে ৯৫। তার বাবা অলোক মুখোপাধ্যায় রামপুরহাট ১ ব্লকের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। মা স্মৃতি মুখোপাধ্যায় স্বাস্থ্যকর্মী। তাঁরা জানান, সব বিষয়েই সুনন্দাকে টিউশন দেওয়া হয়েছিল। তবে জীবন বিজ্ঞানই তার প্রিয় বিষয়। ভবিষ্যতেও সে ডাক্তার হতে চায়।
অয়নের প্রাপ্ত নম্বর: বাংলায় ৯৫, ইংরেজিতে ৯১, অঙ্কে ১০০, ভৌতবিজ্ঞানে ১০০, জীবন বিজ্ঞানে ৯৮, ইতিহাসে ৯৫ এবং ভূগোলে ৯৩। সিউড়ির রবীন্দ্রপল্লীর বাসিন্দা জেলা স্কুলের এই ছাত্রের সাফল্যে খুশি স্কুলের প্রধান শিক্ষক অশোক সাহা। তিনি বলেন, “ও যেমন মেধাবী, তেমনি ভদ্র ও শান্ত স্বভাবের। ওর এই ফল প্রত্যাশিতই ছিল।” উচ্ছ্বসিত অয়ন নিজেও। বলে, দিনে ৮-১০ ঘণ্টা করে পড়তাম। আট জন শিক্ষকের কাছে টিউশন নিয়েছি। বড় হয়ে ডাক্তার হতে চাই।” ছেলের ফলে খুশি জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের করণিক কর্মী জয়দেব চট্টোপাধ্যায় ও মা যূথিকা চট্টোপাধ্যায়। তাঁদের কথায়, “ছেলে পরিশ্রম করে ভাল ফল করছে। ভীষণ আনন্দ পেয়েছি। তবে ভূগোল বা ইতিহাসে আরও কিছু নম্বর বেশি পেলে মেধাতালিকায় আসতে পারত। এই একটাই আফশোস রয়ে গেল।” |